বিস্তৃত ললাট চার বাই চার লেনের অ্যাসফল্টের এক্সপ্রেসওয়ে
হঠাৎই বুকের ভেতরের লুকানো ফাটল বমি করে বাইরে
ভয়ঙ্কর দ্রুত গতির দুই চার ছয় আট কিম্বা আরও বেশী চাকারা
হোঁচট খেয়ে এ ওর ঘাড়ে হুমড়ি খেয়ে থেমে যায়;
ফাটলের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে প্রথম প্রস্তর যুগের বিশাল এক আয়না,
তার ফ্রেম বেয়ে ছড়িয়ে পড়ে গলিত লাভার উড়ন্ত বাস্প
ধোঁয়াটে অস্বচ্ছ আয়না ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হলে তার গর্ভে
শুধু নিকষ কালো পাক খেয়ে উঠে যাওয়া ধোঁয়ার ছায়া আর কঙ্কালের স্তুপ।
6 thoughts on “আয়না”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
চমৎকার আয়নার মুখ কবি দা
‘ধোঁয়াটে অস্বচ্ছ আয়নায় নিকষ কালো পাক খেয়ে উঠা ধোঁয়ার ছায়ায় কঙ্কালের স্তুপ।’
সুললিত রচনাশৈলী।
আয়নার গর্ভে 'ধোঁয়ার ছায়া আর কঙ্কালের স্তুপ' দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা জানতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
সুন্দর লিখেছেন।
কবির কবিতায় মানুষ পোড়া গন্ধ পাচ্ছি। আমারা কিছু দুরন্ত দুর্দান্ত মানুষ তো যুগে যুগে পুড়া এমনি করে দগ্ধ হচ্ছি।
ধোঁয়াটে অস্বচ্ছ আয়না ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হলে তার গর্ভে

শুধু নিকষ কালো পাক খেয়ে উঠে যাওয়া ধোঁয়ার ছায়া আর কঙ্কালের স্তুপ।