গাঁয়ে আছে স্নেহছায়া …….আছে মায়া আমার গাঁয়ের কবিতা-৮ (অষ্টম পর্ব)

গাঁয়ে আছে স্নেহছায়া …….আছে মায়া
আমার গাঁয়ের কবিতা-৮ (অষ্টম পর্ব)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

মাটিতে নিকানো ঘর, মাটির পাঁচিলে,
জোড়াশালিকের রোজ সেথা দেখা মিলে।
কাক দুটি বাড়িময় করে চিত্কার,
কভু আসে কবুতর উঠানে আমার।

মাটির উঠানে ধান খেতে আসে হাঁস,
চড়ুই বাড়ির চালে সুখে করে বাস।
বাড়ির বেড়ার ধারে পুকুরের পাড়ে,
মুরগীরা ডাক দেয় রোজ বাঁশঝাড়ে।

আমার বাড়ির পাশে তরুর শাখায়,
বনটিয়া আসে যায় পাখি গীত গায়।
সারাদিন কেটে যায় পাখিদের সাথে,
সাঁঝের আঁধার নামে চাঁদ উঠে রাতে।

মাঝরাতে কভু শুনি পেঁচা উঠে ডেকে,
প্রভাতে অরুণ হাসে লাল রং মেখে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

10 thoughts on “গাঁয়ে আছে স্নেহছায়া …….আছে মায়া আমার গাঁয়ের কবিতা-৮ (অষ্টম পর্ব)

    1. সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। অনুপ্রাণিত হলাম। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি
      জয়গুরু!

  1. গাঁয়ে আছে স্নেহছায়া …….আছে মায়া আমার। আমারও কবি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    1. সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। অনুপ্রাণিত হলাম। প্রিয়কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
      জয়গুরু!

  2. মাটির উঠানে ধান খেতে আসে হাঁস,
    চড়ুই বাড়ির চালে সুখে করে বাস।
    বাড়ির বেড়ার ধারে পুকুরের পাড়ে,
    মুরগীরা ডাক দেয় রোজ বাঁশঝাড়ে।

    কী অসাধারণ একটি শব্দ চিত্র। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    1. সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। অনুপ্রাণিত হলাম। প্রিয়কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
      জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। অনুপ্রাণিত হলাম। প্রিয়কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
      জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। অনুপ্রাণিত হলাম। প্রিয়কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
      জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।