দলই বাগানে গিয়েছিলাম
পরিত্যক্ত ছেলেবেলার খোঁজে
পেয়েছি, অত্যন্ত ভারী বিধায় উঠাতে পারিনি
ওজনদার ছেলেবেলা ওখানে পড়ে আছে
আমাকে তার কোন প্রয়োজন নাই
তখনকার কালে সাঁতার বিশেষজ্ঞ
হিসাবে খ্যাতিমান ছিলাম
ব্রজেন দাসের পরে সমীহে
উচ্চারিত হতো নাম
আমার গুরু কোর্ট মসজিদের পুকুর
এখন অস্তিত্ব নাই, গুরুর অভিশাপে
আজ নামহীন গোত্রহীন
আস্তুম উল্লার কাছে অনেক ঋণ
চায়ের অনেক টাকা পাওনা
পাঁচশিকা যোগার হতো না
বলে আস্তুমের স্ত্রীর কটাক্ষ
এখন আমি আড়াইশ টাকার
কফি পান করি তবু
আস্তুমের চায়ের স্বাদের
ধারেকাছেও যায় না
আবুলের আখনির চেয়ে
মজাদার অমৃত
জগতে আছে বলে তখনো মানি নি
এখনো মানি না
আবুলের সাথে আখনিও কবরস্থ হয়েছে
বিকল্প আবুলের
তিতকুটা বিরিয়ানির
প্রতি বিন্দুমাত্র আগ্রহ জাগে না
বকশী বেকারীর সজলদা
মকদ্দুস ভাই বলে
যেভাবে ডাক দিতেন
মনে হতো অগ্রজের
স্নেহ উপছে পড়ছে
চুরাশির বন্যায় তলিয়ে যাওয়া
বকশী বেকারী উঠে দাঁড়াতে পারে নি
সজলদা আকাশের তারা হয়ে
ক্রমাগত স্নেহের আওয়াজ দিচ্ছেন
আমি এড়িয়ে যাচ্ছি
অনেক কাজ বাকী
আছে, পিছনের ডাকে বারবার
ফিরে যাওয়া সম্ভব না
বিকেলের রোদে সকাল উঁকি দেয় ঠিক
কিন্তু সন্ধ্যার গতির কাছে হার মানে
আমিও পরাজিত সৈনিকের মতো
ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি
জীবানুভূতির শব্দপ্রকাশ পড়লাম প্রিয় কবি আবু মকসুদ ভাই। শুভেচ্ছা।
জীবনের গল্প। ধারাবাহিক প্রকাশ পেলে আমাদের পড়ার সুযোগ হবে।
অনেকদিন পর আপনার লিখা পড়লাম। আশা করবো ভালো ছিলেন।
আমিও পরাজিত সৈনিকের মতো
ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আরো অধ্যায় পড়তে চাই কবি মকসুদ ভাই।
নিয়মিত হোক।
গুগলি কিংবা ফিরে যাওয়া।
আমি এড়িয়ে যাচ্ছি
অনেক কাজ বাকী
আছে, পিছনের ডাকে বারবার
ফিরে যাওয়া সম্ভব না
* অসাধারণ…