আমি যখন আয়নার সামনে দাঁড়াই
অন্য কোন মুখাবয়বে একটা দেখতে পাই একটা মুখ
ধু ধু প্রান্তরের মত চুল গুলো রুক্ষ্ণ, কোটর বৃত্তে অচেনা অক্ষীসার
যেন গভীর গিরিখাতের ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে কালের ওষ্ঠাগত প্রাণ;
মনের অজান্তে আপন হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতেই ভেঙ্গে খান খান-
বালির প্রাসাদের মত ঝর ঝর করে গুটে গেল সমস্ত নিশান!
…… তারপর আর খুঁজে পাইনি নিজেকে। যদিও
পৃথিবীর বিশাল প্রান্তর আর মহাকাশের সপ্ত তল্লাট জুড়ে চলছে আত্ম-অভিযান!
অবিশ্রাম বিচরণে আমি তৃষিত পাখির মত ক্লান্ত সীমাহীন
ফেলে আসা দৃশ্যপটের পেছনে ক্ষুধা পীড়িত জনপদ
দুর্ভিক্ষের কবলে লুটিয়ে পড়া মায়ের দুধ-শূন্য স্তন চুষতে চুষতে-
ক্লান্ত নবজাতক নিঃশব্দে পাড়ি দেয় চিরনিদ্রার কোলে!
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপন মুখের স্থলে
আমি যে, বার বার দেখতে পাই সেই নবজাতকের মুখ!
বিধ্বস্ত প্রাসাদের ভেতর আগুনের সুরম্য মহল
চির লাবণ্য জড়ানো দেয়াল নিংড়ে বেরিয়ে আসে কল্লোলিত সহস্র কণ্ঠস্বর!
অ-সহিষ্ণু চিৎকার, আহাজারি…অগণিত মুখাবয়ব। অজস্র বিক্ষিপ্ত অন্তর,
বাইজী ঘরের ঘুঙুর ধ্বনি, তীরের মতো বিদ্ধ হয় আমার আত্মায়;
অসহায় মায়ের কোলে যুদ্ধাহত সৈনিকের রক্তাক্ত দেহ নিথর হতে হতে
যে দাবী, যে আকুতি রেখে যায় ; আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে –
আমি আপন মুখাবয়বে খুঁজে পাই সেই আকুতি ভরা মুখচ্ছবি!
দর্পণ ছেঁড়ে আমি পালাতে চেয়েছিলাম ঘৃণ্য কাপুরুষের মত।
কিন্তু কোথায়, পৃথিবীর কোন কোণে লুকবো আমি ?
কতক্ষণ, কতকাল- ফেরারির মত থাকবো আত্ম গোপনে!
তমাল অন্ধকার ঘিরে সমাজের সুশীলেরা মেতে আছে উলঙ্গ নৃত্যে
গোপন কুঠরি গুলো রতি উন্মত্ত মাতালদের হাতে,
নির্জন বন,পাহাড় উজাড় হতে হতে শূন্য
চার দিকে এতো অতৃপ্তি, এতো আক্রোশ, ঈর্ষা ঘৃণা; যে-
আত্ম দর্পণে নিজেকেই আর যায় না চেনা।
দা উ দু ল ই স লা ম।
চার দিকে এতো অতৃপ্তি, এতো আক্রোশ, ঈর্ষা ঘৃণা; যে-
আত্ম দর্পণে নিজেকেই আর যায় না চেনা।
সঠিক বলেছেন কবি দাউদুল ইসলাম ভাই।
দারুণ এবং অসাধারণ কবিতা। শুভেচ্ছা নেবেন প্রিয় কবি দাউদ ভাই।
…… তারপর আর খুঁজে পাইনি নিজেকে। যদিও
পৃথিবীর বিশাল প্রান্তর আর মহাকাশের সপ্ত তল্লাট জুড়ে চলছে আত্ম-অভিযান!
হাজার কথার এক কথা।
আত্ম দর্পণে নিজেকে আর যায় না চেনা।
আপনার আত্ম দর্শনে সত্যই মুগ্ধ হলাম কবি ভাই।
কোটর বৃত্তে অচেনা অক্ষীসার
যেন গভীর গিরিখাতের ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে কালের ওষ্ঠাগত প্রাণ;
পাঁচ তারকা রেটিং দিলাম স্যার। অল দ্য ভেরি বেস্ট।
তমাল অন্ধকার ঘিরে সমাজের সুশীলেরা মেতে আছে উলঙ্গ নৃত্যে
গোপন কুঠরি গুলো রতি উন্মত্ত মাতালদের হাতে,
* চমৎকার শব্দ চয়ন…
অনেক সুন্দর।
ভালো লিখেছেন কবি দাউদ ভাই।
আমি নিজে এরকম। যা আপনার কবিতার মাঝে নিজেকে খুঁজে পেয়েছি।
শুভকামনা সহ শুভেচ্ছা অবিরত।