আমি আছি নিথর দাড়িয়ে
এক খণ্ড জমি দখল করে
সালাম, বরকতের রক্ত যেখানে
স্তরে স্তরে গিয়েছিল জমে,
রক্ত স্নানিত সেই পিচ ঢালা পথে ৷
এই আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে
ভাষা আন্দোলনের নীরব স্বাক্ষী করে,
ইতিহাসের স্বাক্ষী করে৷
আমি দাড়িয়ে আছি সেই খানটাতে
যেখানে আমাকে গড়া হয়েছে,
অথচ, আজ মনে হয় ______
বুঝি আমার নির্মাণ ব্যার্থ হয়েছে !
কালের বিবর্তনে আমাকে ভুলে যাচেছ,
শুধু একবারই আমি উদ্ভাসিত হই
এই বাংলার বক্ষস্হলে
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টায়ে
যখন ফেব্রুয়ারির “২১” আসে,
এগার মাস পড়ে যখন “২১” আসে
ফুলে ফুলে আমায় ভরিয়ে তোলে ৷
তবুও আমার প্রশ্ন রইলো
চুরি করা ছাড়া ক’টা ফুল দিয়েছো আমারে ?
আমি “২১”
আমি শহীদের রক্তে রাঙ্গানো মিনার
আমি এই বাঙ্গালী জাতির উৎস
আমিই এই স্বাধীনতার উৎস
গৌরব ভরে স্মরণ করো আমারে
নয়তো !!!!
তোমাদের ঘরে যে আগামী প্রজন্ম আছে
তারা ভুলে যাবে একুশ,
ভুলে যাবে ভাষা আন্দোলন,
ভুলে যাবে শহীদদের,
ভুলে যাবে শহীদ মিনারের ইতিহাস ৷
3 thoughts on “শহীদ মিনারের গল্প”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
অপূর্ব পাঠে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
একুশ আমাদের অলংকার, একুশ আমাদের অহংকার। বাংলা ভাষা আর বাঙ্গালী জাতি এই পৃথিবীতে যতদিন আছে এবং থাকবে শহীদ মিনারের গল্প এদিক সেদিক ঘুরিয়ে এমনটাই থাকবে। পরিস্থিতি আর সংস্কৃতির বিচারে এই অনাদর আমাদের সইতেই হবে।
ভালো লাগলো।