রক্তে লেখা মাতৃভাষা

রক্তে লেখা মাতৃভাষা
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শত শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা
আমাদের মাতৃভাষা,
ভাষার তরে জীবন দিয়ে যাঁরা
দিয়ে গেল ভালবাসা।

হাসিমুখে প্রাণ দিল বলিদান
বাংলা ভাষার তরে,
তাদের শোকে বাংলা মায়ের
দুই চোখে অশ্রু ঝরে।

বাংলা আমাদের জন্মভূমি মা
বাংলা আমাদের ভাষা,
বাংলার গর্বে ফুলে উঠে বুক
জাগে নব নব আশা।

রক্তমূল্য দিয়ে কিনেছি আমরা
মাতৃভাষা স্বাধীনতা,
বহুদিন পরে মায়ের আজিকে
ঘুচিল দুঃখ ব্যথা।

বাংলায় মোরা কথা বলি আর
বাংলায় গাহি গান,
বাংলার শ্যামল মাটিতে ফলে
সোনার ফসল ধান।

আসিছে অমর একুশে ফেব্রুয়ারী
শুনি তারই আহ্বান,
মাতৃভাষা দিবসে নিলাম শপথ
রাখিব ভাষার মান।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “রক্তে লেখা মাতৃভাষা

  1. রক্তমূল্য দিয়ে কিনেছি মাতৃভাষার স্বাধীনতা। আমার মায়ের ভাষা আমার অহংকার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।