সময় থাকলে পড়তে পারেন-
মাঝে মাঝে শরীরের দিকে তাকায় আর আশ্চর্য হয়। একটি শরীরে কত লক্ষ নিওরন, কোষ ও কলা থাকে আমার জানা নেই। তবে সাধারণ মানুষ হিসেবে এতটুকু জানি- এই শরীরে সুন্দর নিয়ম মেনে চলে। যেমন আমরা খাই সেটা থেকে রক্ত , পুষ্টি ও শক্তি তৈরি, হাড় ও রক্ত- মাংস তৈরি হয়। শরীরে প্রশ্রাব পায়খানা আলাদা আলাদা জায়গায় জমা হয় এবং সেগুলো শরীর মলমূত্র হেসেবে ফেলে দেয়। আমরা যদি শরীরের দিকে তাকায় অবাক হয়ে যাবো। চোখ কান কণ্ঠ মাথা কি সুন্দর নিয়ম মেনে চলে।
যেমন আমরা কণ্ঠের মাংস নড়িয়ে কত সুন্দর কথা বলি। জিহ্বা দিয়ে বিভিন্ন স্বাদ নিই, ত্বক দিয়ে অনুভব করি। আবার মন দিয়ে, মস্তিষ্ক দিয়ে ভাবি বা চিন্তা করি বা উপলব্ধি করি। শরীর এমন একটি প্রক্রিয়া আজ যৌবন কাল বার্ধক্য নিয়ম মেনে চলে। এখানে প্রতিনিয়ত নতুন রক্ত তৈরি হয়, কোষ তৈরি হয়। শরীরটাকে আল্লাহ সুন্দর করে চামড়া দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন।
আবার আমরা যে শরীর নিয়ে আছি সেটা কত বড় জীবাণু সমুদ্র বা রোগ বালাই মোকাবেলা করে টিকে আছে-ভেবেছেন কি? মাঝে মাঝে ভাবি মাত্র তিন দিন যদি প্রশ্রাব পায়খানা আল্লাহ বন্ধ করে দেন কিংবা শরীরে যদি মাত্র দুই দিন কঠিন কোন ব্যাধি হয়- তাহলে কি করে থাকতে পারব। কিংবা কয়েক মিনিট যদি অক্সিজেন না পায় তাহলে—?
(‘বস্তুত চোখ তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হচ্ছে বক্ষস্থিত হৃদয়।’ – আল কোরআন)
‘বস্তুত চোখ তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হচ্ছে বক্ষস্থিত হৃদয়।’ সুমহান বাণী। আমীন।