খালিদ মোশারফের কবিতা এর সকল পোস্ট

খালিদ মোশারফের কবিতা সম্পর্কে

তবুও থামিনি আমি ''''''''''''''''''''''''''''''''''''''' তোমার যাত্রা শুভ হক এ কথা কেউ আমাকে বলেনি আমি কবিতা লিখতে বসলাম। পকেটে ময়লা মন তবু আমার যাত্রার শুভক্ষণ হঠাৎ গাড়ী নষ্ট হল নামলাম হাটলাম অনেকদূর তবুও থামিনি তোমার যাত্রা শুভ হক এ কথা কেউ আমাকে বলেনি ।

আরণ্যক স্বর্গীয়

প্রতিদিন পাহাড়ের ঢালু থেকে আরণ্যককে নামতে দেখা যাবে
ওর ভেতরে যেন ইশ্বর আছে –এমন মনে হবে
দূর থেকে ফিরে আসবে আরণ্যক আর হাঁটবে
ওকে স্বর্গীয় মনে হবে

আরণ্যক শহরে চলবে গ্রামে ও পাহাড়ে
তাকে ছোট, বড় সব-ই মনে হবে
ওকে মনে ইশ্বরে লালিত একটি খাঁটি শিশু
আমি আরণ্যককে অনেক দূর থেকে দেখেছিলাম
ও যেন আমার গায়ের ঘাম
মাথার চুল ও ভালবাসা
ওর স্বর্গীয় স্বভাবকে আমি খুব ভালবেসেছিলাম

আরণ্যক বলত –আমি বাঁচতে বাঁচতে ক্লান্ত হয়ে গেছি
আমাকে আরো বাঁচতে হবে
এভাবেই আমার যাত্রা চলছে ও চলবে
আমি তার সাধারণ কথাগুলোকে অসাধারণ ভাবতাম
ওর ছায়ায় ছায়ায় ছুটে বেড়াতাম
থাক না আরণ্যকের আরেকটু কষ্ট
ও বেঁচে থাকুক
কষ্ট আছে বলেই আমি ওর নাম দিলাম আরণ্যক
গায়ে ওর ময়লা লাগে বলেই আরণ্যক
ওকে খুব মানায়
ওর স্বর্গীয় স্বভাবটা আমার খুব ভাল লাগে
খুব সহজেই ও সব কিছু স্বীকার করে নেই।

সময় থাকলে পড়তে পারেন

সময় থাকলে পড়তে পারেন-
মাঝে মাঝে শরীরের দিকে তাকায় আর আশ্চর্য হয়। একটি শরীরে কত লক্ষ নিওরন, কোষ ও কলা থাকে আমার জানা নেই। তবে সাধারণ মানুষ হিসেবে এতটুকু জানি- এই শরীরে সুন্দর নিয়ম মেনে চলে। যেমন আমরা খাই সেটা থেকে রক্ত , পুষ্টি ও শক্তি তৈরি, হাড় ও রক্ত- মাংস তৈরি হয়। শরীরে প্রশ্রাব পায়খানা আলাদা আলাদা জায়গায় জমা হয় এবং সেগুলো শরীর মলমূত্র হেসেবে ফেলে দেয়। আমরা যদি শরীরের দিকে তাকায় অবাক হয়ে যাবো। চোখ কান কণ্ঠ মাথা কি সুন্দর নিয়ম মেনে চলে।

যেমন আমরা কণ্ঠের মাংস নড়িয়ে কত সুন্দর কথা বলি। জিহ্বা দিয়ে বিভিন্ন স্বাদ নিই, ত্বক দিয়ে অনুভব করি। আবার মন দিয়ে, মস্তিষ্ক দিয়ে ভাবি বা চিন্তা করি বা উপলব্ধি করি। শরীর এমন একটি প্রক্রিয়া আজ যৌবন কাল বার্ধক্য নিয়ম মেনে চলে। এখানে প্রতিনিয়ত নতুন রক্ত তৈরি হয়, কোষ তৈরি হয়। শরীরটাকে আল্লাহ সুন্দর করে চামড়া দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন।

আবার আমরা যে শরীর নিয়ে আছি সেটা কত বড় জীবাণু সমুদ্র বা রোগ বালাই মোকাবেলা করে টিকে আছে-ভেবেছেন কি? মাঝে মাঝে ভাবি মাত্র তিন দিন যদি প্রশ্রাব পায়খানা আল্লাহ বন্ধ করে দেন কিংবা শরীরে যদি মাত্র দুই দিন কঠিন কোন ব্যাধি হয়- তাহলে কি করে থাকতে পারব। কিংবা কয়েক মিনিট যদি অক্সিজেন না পায় তাহলে—?

(‘বস্তুত চোখ তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হচ্ছে বক্ষস্থিত হৃদয়।’ – আল কোরআন)

তু‌মি আমার শাকচুন্নি

তু‌মি আমার শাকচুন্নি
তু‌মি মর‌লে গরু জবাই ক‌রে মাংস বেলা‌বো
হ‌বে অনেক পু‌ন্যি
তু‌মি আমার শাকচুন্নি
তু‌মি প্র‌তি‌দিন ব‌েঁ‌চে থাক
আ‌মি প্র‌তি‌দিন ম‌রি
রাত হ‌লে বেশ ভা‌লোই লা‌গে
সকাল হ‌লে – তোমার কা‌লো ত্ব‌কের চেহারা
ম‌নে হয় ভুত পেত্নী
তু‌মি আমার শাকচুন্নি

তোমার হা‌তের রান্না খে‌য়ে তৃ‌প্ত হ‌য়ে ম‌রি
‌তোমার ধোয়া জামা প‌রে রাস্তা দি‌য়ে চ‌লি
প‌রের সুন্দর বউ দেখ‌লে ভা‌বি ব‌লে ডা‌কি
হা ক‌রে , ফ্যাল ফ্যাল ক‌রে চোখ ছানা ক‌রে ফে‌লি
তু‌মি হ‌য়ে যাও আবার আমার শাকচুন্নি

প্র‌তি‌দিন অনেক ভা‌লো ভা‌লো কথা ব‌লো তু‌মি
‌তোমার আদর খে‌য়ে খে‌য়ে রাত দিন শুধু ম‌রি
আদরগু‌লো ফু‌রি‌য়ে গে‌লে
তু‌মি হ‌য়ে যাও আবার আমার শাকচুন্নি

তোমার হা‌তের চা খে‌য়ে
‌তোমার খুব প্রশংসা ক‌রি
‌টি‌ভি খু‌লে সুন্দর নারী দেখ‌লে
তু‌মি আবার হ‌য়ে যাও আমার শাকচুন্নি।

কল্পনার রাজ্য

একবার দিন মজ‌ুর সা‌জি
একবার কাঠু‌রে সা‌জি
একবার সা‌জি ধনকু‌বের
এভা‌বে আয়নায় দে‌খি নি‌জে‌কে
তারপ‌রে নি‌জের আসল রুপটাও দে‌খি
হাঁট‌তে হাঁট‌তে স্বর্গে যায়
হুর‌দের নাচ দে‌খি
হুর‌দের পেট নাভী স্তন দে‌খি
তারপর বাড়ী আসার পথে
নরকটাও একট‌ু দে‌খে আসি
আগু‌নের শ্যাঁক, পুঁজের শরবত দে‌খে
‌দৌ‌ড়ে বাড়ী পা‌লি‌য়ে আসি
এইভা‌বে রুপ পাল্টা‌চ্ছি
ছোট বেলায় ভাবতাম বৃ‌ষ্টি হ‌লে ব্যা‌ঙের ছাতার নী‌চে আশ্রয় নে‌বো
কতবার যে আশ্রয় নি‌য়ে‌ছি
‌কিন্তু সব-ই ম‌নে ম‌নে ঘ‌টে
ম‌নে ম‌নে রাজা হয়
ম‌নে ম‌নে কবর খু‌ড়ি
ম‌নে ম‌নে যা খুশি তাই ক‌রি
আকাশ ও পৃ‌থিবীর মা‌ঝে
ধ‌ু‌লো বা‌লির সা‌থে গড়াগ‌ড়ি ক‌রি
তারপর ছেড়া জামা গা‌য়ে দি‌য়ে পা‌গো‌লের
মত সুখ খুঁ‌জি।

.
খা‌লিদ মোশারফ।

নিম্নোক্ত বইগুলো মুহাম্মদ স. সম্পর্কে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের বর্ণনা সম্পর্কে লেখা

বইগুলো রকমারিতে অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন।

১। হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ বেদ পুরানে আল্লাহ ও হযরত মোহাম্মদ,
লেখক: বেদপ্রকাশ উপাধ্যায়।

২। পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থ সমূহে হযরত মুহাম্মদ স. এর আগমনের পূর্বাভাস ও একটি পর্যালোচনা
লেখক: রুহুল আমিন।

৩। নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (দ.)
লেখক: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
(এই বইতে এ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ আছে )

৪। What the Bible Says About Muhammad
by Ahmed Didat

৫। হযরত মুহাম্মদ স. ও ভারতীয় ধর্মগ্রন্থ
লেখক: এম.এ. শ্রীবাস্তব।

৬। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে মোহাম্মদ স. এর বর্ণনা
লেখক: জাকির নায়েক।

শিশুদের গল্প (খালিদ মোশারফ)

দুঃখ কষ্ট মুছে যায় নিজের শিশুদের কাছে আসলে
এক নিমেষেই কয়েকশো চুমু খায় শিশুদের গায়ে
অপূর্ব এক ভালোলাগা জিনিস নিজের শিশুগুলো
শিশুরা লাথি দেয় আর আমি ওদের পায়ে চুমু দিই
নিজের শিশুদের সর্দি ভরা মুখে চুমু দিই
আদর করে একেক নামে ডাকি
মনে হয় পৃথিবীর সব শিশু যেন ভালো থাকে
মনে হয় পথ শিশু ,এতিম ও দুস্থ শিশুদের কথা
কখনো দেখেছেন ছেঁড়া জামা গায়ে দেওয়া শিশু
ক্ষুধার্ত শিশু, ধুলা-বালি মাখা শিশু
ওরা পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে আপনজন
আমি আমার শিশুকে যতটুকু ভালোবাসি
সৃষ্টিকর্তা অনাহারি শিশুকে আরো ভালোবাসে
ময়লা ও সর্দি মাখা মুখের হাসি ও কান্নাভরা শিশুদের
ভালোবাসুন, অসহায় শিশুকে ভালোবাসুন
কোমলমতি প্রতিটি অসহায় শিশুকে ভালোবাসুন
এর চেয়ে ভালো কিছু আর কি হতে পারে?

জীবন মানেই কি নিয়ম?

জীবন মানেই কি নিয়ম?

জীবনকে জিজ্ঞাসা করলাম
ত্রিশতো পার হয়ে এলে
আর কত দিন বোঝা নিয়ে বেড়াবে?

জীবন বলল অপেক্ষা কর
না হয় আরো ত্রিশ বছর বাঁচবে!
আমি বললাম, আরো ত্রিশ বছর!
কত দীর্ঘ সময়! কত দিন লাগবে পার হতে!
জীবন বলল তাড়াতাড়ি কিসের!
এভাবেই চলে যাবে
যে ভাবে যাচ্ছে

আমি বুঝিনা মানুষ অনেক দিন বেঁচে
থাকতে চাই, তারা কি পাই?
আর মাত্র ত্রিশ বছর যদি বাঁচি
কত কত দীর্ঘ সময়
পাড়ি দিতে হবে ভাবছি!
জীবনের বহু নাটক যেন দেখে ফেলেছি
এখন নিঃশ্বাস নিতেও ভয় লাগে
যেন নিঃশ্বাসও একটি নাটকীয়তা!

জীবন মানে বিধি নিষেধ
ভুল করলেই শাস্তি
জীবন মানে আসলে কি শুধু নিয়ম আর নিয়ম
শুধু ভয় লাগে সকাল উঠতে হবে
নিয়ম মাফিক গাড়ি চালাতে হবে
নিয়ম মাফিক অফিস যেতে হবে
নিয়ম মাফিক কথা বলতে হবে
শুধু নিয়ম, নিয়ম আর নিয়ম!

নিয়ম সমাজের ভাল’র জন্যে তাও জানি
কিন্তু নিয়ম –ই কি আমার শান্তি নষ্ট করছে
নাকি অন্য কিছু, বুঝছি না!

এখনও স্বপ্ন দেখি

এখনও স্বপ্ন দেখি

জানো তোমরা আমি এখনও স্বপ্ন দেখি
দেখতে দেখতে জীবনের অর্ধেক পার
এখন-ও আমাকে নিয়ে স্বপ্নেরা খেলা করে

যেই-ই ভাবি আর কইদিন-ইবা বাঁচব
তারচেয়েরও বেশী স্বপ্নেরা আমার সাথে কথা বলে
সেদিন স্বপ্নেরা এসে বলেছিল
তোমার আর-ও কিছু করার আছে
তোমার অনেক কিছু পাবার আছে
তোমার জন্যে আসল পুরস্কারটা তোলা আছে
তোমার আসল কাজটা বাকি আছে
আমার কি বাকি আছি,প্রাপ্য আছে
তা আজ অবধি আমি আবিষ্কার করতে পারলাম না
সারাদিন কাজ শেষে কর্মক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘরে ফিরি
সবার মত আমার বউ বাচ্চা সংসার কাজ আছে
এর মাঝে স্বপ্নেরা আমাকে বলে
তোমার আরো কিছু করার আছে
তোমার আসল পুরস্কারটা বাকি আছে।

আগুন জ্বলে

আগুন জ্বলে

আমার ভেতরে আগুন জ্বলে
বুকে মাংসে মনে প্রাণে আগুন জ্বলে
আমার আগুন জ্বলে কেন-কষ্ট আছে বলে!
না সেরকম নয়,কষ্ট সবার আছে
তাহলে আগুন জ্বলে কেন?
সে আগুন কেমন হতে পারে?
কি পেলে সে আগুন নিভতে পারে?
সারাদিন খেটে খেটে আমি ক্লান্ত হয়না কেন
আমার ঘুম আসে না কেন রাত্রিতে
কেন আগুন আমায় বাঁচিয়ে রাখে
আগুন আমায় ভালবাসে
আমিও ভেসে চলি আগুনকে ভালবেসে।

স্বর্গীয় আরণ্যক-১১

স্বর্গীয় আরণ্যক-১১
————
আরণ্যক জেনে রাখিস সে মেয়েটা তোকে
ভাল জেনেছে
আরণ্যক তোকে খুব যত্ন করে সে মেয়েটা
উপরে তুলে রেখেছে
আরণ্যক খুব কষ্ট পেয়েছিলি বুঝি!
তুই-ও কষ্ট পেতে জানিস তাহলে!
এখানে তোর দুটো কথা শুনবে বলবে
মেয়েটি তোর পাশে আড়ি পেতে থাকে
এখানে রৌদ্র বৃষ্টি অতিক্রম করে
তোর কাছে একটি মেয়ের দৃষ্টি ভেসে ওঠে
এখানে খাঁ খাঁ দুপুরে মেয়েটি তোর কাছে
অদৃশ্য হয়ে আসে
সেই মেয়েটি তোকে খুব ভাল জেনেছে
সে মেয়েটি তোকে যত্ন করে তুলে রেখেছে।

ঈসা আ. মুসা আ. মুহম্মদ স.


ঈসা আ. মুসা আ. মুহম্মদ স.
…..
ঈসা মুসা মুহম্মদ
সেই কবে গেছ চলে
ঈসা মুসা মুহম্মদ
তোমাদের ভালবেসে
ঈসা মুসা মুহম্মদ
তোমাদের শিক্ষা রয়ে গেছে
ঈসা মুসা মুহম্মদ
মানুষ ভালবাসে
ঈসা মুসা মুহম্মদ
অগোনীত অনুসারি আছে
ঈসা মুসা মুহম্মদ
তোমরা আসবে আর না তাহলে?
ঈসা মুসা মুহম্মদ
তোমাদের দরকার আছে
ঈসা মুসা মুহম্মদ
যায় তোমাদের খুঁজে
ঈসা মুসা মুহম্মদ
মুক্তি তোমাদের পথে
ঈসা মুসা মুহম্মদ
থাকতে চাই তোমাদের সাথে
ঈসা মুসা মুহম্মদ
সত্য প্রভুর পথে ।


মুহম্মদ তোমার পরে নবী নেই
জানিয়েছ আমাদেরকে
তোমার পরে নবী থাকলে দেখতে
যেতাম তাকে
নবী কত মিষ্টি জিনিস
বুঝেছি মহম্মদকে
নবীর চাইতে বড় মানুষ
নেই সারা দুনীয়াতে
মুহম্মদ তুমি বলেছিলে
ঈসা নবী আবার আসবে
তোমার অনুসারি হয়ে
ঈসা নবী এলে পারে
দেখতে যাব তাকে
মুহম্মদ তোমার বাণী খুব মিষ্টি লাগে
মুহম্মদ তোমার দান রয়েছে
আমাদের-ই সাথে।

ঈসা আ. ও মুহম্মদ সা. সেই কবে গেছ চলে

ঈসা (আ.) মুহম্মদ (সা.) সেই কবে গেছ চলে
—————–
আমাদের মনগুলোতে মরিচা ধরে গেছে
সত্যিকারের প্রভু, খোদা ভুলে গেছে
সেই কবে প্রিয় মুহম্মদ চলে গেছে
প্রিয় ইব্রাহিম, প্রিয় মুসা কবে চলে গেছে
আমাদের ধরাই হে প্রভু মুহম্মদের
হে প্রভু ইব্রাহিমের হে প্রভু তাওরাতের
প্রভু তুমি কোরআন ও যবুরের
আমরা ভুলে গেছি তোমার সত্যকে
কে পাঠাবে দয়া প্রভু, তুমি ছাড়া যে
হে মুহম্মদ, ঈসা, মুসা চলে গেছ সেই কবে
আমরা শান্তি পাচ্ছি না যে
আমাদের বুক ভরা কষ্ট, দুনিয়ায়
শান্তি এল না যে, কে পথ দেখাবে
হে মুহম্মদ তোমার কথা জানব বলে
ছুটে যায় দেশান্তর মক্কা মদিনাতে
সত্যকে জানব বলে যায় মন ছুটে যায়
কোরআন হাদিস ও খোদার সৃষ্টিতে
মুহম্মদ তোমার সময় যদি জন্ম নিতে পারতাম
ঈসা তোমার দুটো কথা যদি শুনতে পারতাম
ইব্রাহিম তোমার সত্য মুখখানা যদি দেখতে পারতাম
মুসা তোমার আরাধনা যদি দেখতে যেতে পারতাম
তাহলে মনে হয় আমাদের এরকম হত না
কি হল ঈসা, মুসা, মুহম্মদ আমাদের
সেই গেছ কবে চলে,আমরা খুব পড়ে মনে
আমরা পথ চেয়ে থাকি কবে যাব চলে
তোমাদের কাছে আসমানের উপরে
অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ে বসে তোমাদের জন্য
করি দোয়া, তোমাদের কথা পড়ি বসে বসে
কবে পাব আমরা মুহম্মদ, ঈসার মত নেতা
আমাদের ধরাধমে পৃথিবীতে প্রতি স্থানে
হয়ত সেইদিন আমরা শান্তি পাব
ঈসা, মুহম্মদের মত নেতার কথা শুনে
নেতৃত্ব ছায়াতলে, তাদের মত নেতার নেতৃত্বে
দাও প্রভু এই তোমার এই পৃথিবীতে
ঈসা, মুহম্মদ, মুহম্মদের মত নেতৃত্ব এনে।

প্রভুর প্রতি দায়বদ্ধ

প্রভুর প্রতি দায়বদ্ধ


বান্দা তোমাকে খুব ভালবেসেছিলাম
তোমার মঙ্গল চেয়েছিলাম
তাই তোমাকে বিপদে ফেলেছিলাম
তোমার এত কষ্ট ছিল দেখে নাও
অনেক তুমি কেঁদেছিলে
অনেক ধৈরযের সাথে অনেক পথ
তুমি হেটেছিলে

দুনিয়ায় তুমি সুখ পাওনি বটে
এখানে তোমার জন্যে সুখ আছে
এই নাও মণি মুক্তোর রাজ প্রাসাদ
সুস্বাদু ফল অগোনীত আনন্দ আছে
তোমার জন্য নিষেধ ছিল যা পৃথিবীতে
এখানে উপভোগ কর সেগুলো অনাদিকাল ধরে
এই নাও তোমার মনে যা চাই তা আছে
আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি তোমার তরে
এখানে কোন বৃদ্ধ নেই কষ্ট নেই রোগ নেই
এখানে শুধু সুখ ও স্বর্গীয় মুহূর্ত আছে
যা তোমায় চিরজীবন ছায়া দিবে

বান্দা পৃথিবীটা অনেক বড় ছিল
তার চেয়েও বড় পৃথিবীর বাইরে যা আছে
অসীম জগতের প্রভু আমি
ভেবে দেখ আমার পুরস্কার ও দান
কত বড় হতে পারে।


বান্দা এ যত্ন করে রাখছ শরীর ও চুলগুলোকে
তুলেছ বিল্ডিং বাড়ী করেছ গাড়ী বাড়ী
জান তা এক দিন শেষ হবে
বান্দা একদিন তোমাকে প্রভুর কাছে ফিরে যেতে হবে।

অনেক দিয়েছে তোমাকে প্রভু
তা দিয়ে কি করেছিলে
নিজের জমানো সম্পদ কোথায় খরচ করেছিলে
তোমার সকাল বিকাল কোথায় খরচ করেছিলে
কখনো কি প্রভুর কথা ভেবেছিলে
কখনো হিসাব দিতে হবে তা মনে রেখেছিলে
কখন প্রভুর দানের মাঝে প্রভুকে ধন্যবাদ দিয়েছিলে।

বান্দা তোমাকে বিনা কারনে সৃষ্টি করা হয়নি
বিনা কারনে তুমি কি কিছু তৈরি করেছিলে
তুমি দুনীয়া থেকে কি নিয়ে এসেছ
তা আজ দেখানো হবে।

আরণ্যকের আধ্যাত্ম

প্রীয়সী আরণ্যক রাখালকে ঠেকিয়না
ঘুরে বেড়াতে দাও
খালি গায়ে পরনের কাপুড়ে
লেগে রোদ, বৃষ্টিতেও ভেজে অারণ্যক
চুলের বাধনে বেধ না তাকে
শাড়ীর বাধনে বেধনা
খুব কায়দা করে পথ চলা
পাশ কাটানো আরণ্যক রাখাল
বহুদিন থেকে ধ্যানের পাতা
দাড়ি ও আলো চেহারা
পাহাড়ের উপরে অরন্যের মাঝে
স্বর্গের এক চাবি পেল প্রভূর ক্ষমতাতে
পেল সম্পদ বৃদ্ধির চাবি
জ্ঞান বৃদ্ধির চাবি
দুশ্চিন্তা দূরিকরণে এক চাবি
আর কল্যানের চাবি
সাত বছর ধ্যানে থেকে
পাহাড়ে সে দেখেছিল আলো
হাতে তার লাঠি , বকরির পাল
খোলা আকাশটা কাছে
বুকে আরাধনা
প্রভূর দেওয়া জ্ঞান করে তার সাথে খেলা
জ্ঞান চিন্তায় তার প্রভুর ক্ষমা
প্রভূর আশীর্বাদ
প্রভূর দয়া ও ক্ষমতা
অফরন্ত দানকে স্বীকার করে
প্রভূর প্রশস্তি গাওয়া
আরণ্যক রাখাল।

বইয়ের নামঃ আরেক পোশাকের টানে

বইয়ের নামঃ আরেক পোশাকের টানে
লেখকের নামঃ খালিদ মোশারফ
প্রচ্ছদেঃ রাজিব দত্ত
ভূমিকা দিয়েছেনঃ ভাস্কর চৌধুরী,কবি ও কথাসাহিত্যিক
পরিবেশকঃ রকমারি ডটকম
প্রকাশনঃ বেহুলা বাংলা

বেহুলা বাংলা, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত আরেক পোশাকের টানে কবিতা গ্রন্থটি (৮৮টি কবিতা সংকলিত) কেউ যদি সরাসরি ডাক যোগে পেতে চান তাহলে এই নম্বরে ০১৭৭৬১৬২২২৮ আপনার ঠিকানা এস এম এস করুন এবং ১৫০ টাকা বিকাশ করুন। কয়েকদিনের ভেতেরে লেখক আপনাকে বইটি ডাকযোগে পাঠিয়ে দেবেন। উক্ত ফোন নম্বর লেখকের। এছাড়া কয়েক দিন পর থেকে ইনশা আল্লাহ মেহেরপুরের রাজ্জাক লাইব্রেরি ও দোয়েল বুক হাউজে পাওয়া যাবে।
নেটে রকমারিতে এই বইটি পাওয়া যাবে। এছাড়াও ঢাকায় কনকর্ড টাওয়ার ,বাংলা বাজার ও বিবিধ লাইব্রেরিতে বইটি পাওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও বইটি প্রকাশক কর্তৃক সিলেট, চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের বিবিধ লাইব্রেরিতে সীমিত আকারে মার্কেটিং হবে ইনশা আল্লাহ।