কুলু কুলু বয়ে চলে গাঁয়ের অজয় নদী বইছে অজয় আপন বেগে (ষষ্ঠ পর্ব)

কুলু কুলু বয়ে চলে গাঁয়ের অজয় নদী
বইছে অজয় আপন বেগে (ষষ্ঠ পর্ব)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

নামটি অজয় নদী
সুশীতল জল,
কুলু কুলু বয়ে চলে
সদা অবিরল।

নদীচরে বক বসে
শালিকেরা আসে,
পানকৌড়ি ডুব দেয়
কভু জলে ভাসে।

জল নিতে আসে বধূ
রাঙাপথ ধরে,
কলসীতে জল নিয়ে
চলে নিজ ঘরে।

বালকেরা স্নান করে
অজয়ের ঘাটে,
স্নান হলে দলে দলে
রাঙাপথে হাঁটে।

রাঙাপথ এসে মিশে
গ্রাম সীমানায়,
আঁকাবাঁকা গলিপথ
গাঁয়ের রাস্তায়।

অজয়ের নদীঘাটে
পড়ে আসে বেলা,
ক্রমে ক্রমে সাঙ্গ হয়
দিবসের খেলা।

অজয় নদীর ঘাটে
সূর্য পড়ে ঢলে,
সোনালী কিরণ ঝরে
অজয়ের জলে।

অবশেষে সন্ধ্যা নামে
অজয়ের ঘাটে,
শেয়ালেরা হাঁক দেয়
চাঁপাডাঙা মাঠে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “কুলু কুলু বয়ে চলে গাঁয়ের অজয় নদী বইছে অজয় আপন বেগে (ষষ্ঠ পর্ব)

  1. কুলু কুলু বয়ে চলে গাঁয়ের অজয় নদী
    বইছে অজয় আপন বেগে …
    অভিনন্দন কবি মি. লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।