রথযাত্রার মেলা

রথযাত্রার মেলা
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

সবাই টানিছে রথ সবুজ ডাঙায়,
বসেছে রথের মেলা গ্রাম সীমানায়।
রথযাত্রা ধূমধাম সারাদিন ধরে,
এসেছে সবাই রথে নববস্ত্র পরে।

জয় জগন্নাথ বলি উঠে জয়ধ্বনি,
জননীর হস্ত ধরি চলে সোনামনি।
জন কোলাহলে ভরে মেলার প্রাঙ্গন,
দোকানের পাশে ভিড় করে লোকজন।

হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি মহা কোলাহল,
ঝুমঝুমি, বাঁশি আর রবারের বল।
কাঠের পুতুল বেচে ও পাড়ার বিশু,
পুতুল পেয়েছে তাই খুশি ছোটশিশু।

দিনশেষে মেলা ভাঙে ঘরে চলে সবে,
ছুটিছে গোরুর গাড়ি, উচ্চ কলরবে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

3 thoughts on “রথযাত্রার মেলা

  1. আহা !! কী অসামান্য একটি সময় আমরা পেরিয়ে এসেছি। আজকাল সব কিছু অচেনা অবিশ্বাস্য মনে হয়। মনে হয় আমরা যেন কোনকালেও আমাদের ছিলাম না। :(

  2. ছোটকালে রথে যেতাম । বন্ধুদের নিয়ে মজা করতাম। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।