গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা আমার গাঁয়ের কবিতা (দশম পর্ব)

গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা
আমার গাঁয়ের কবিতা (দশম পর্ব)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

গাঁয়ে আছে ছায়া মমতা ও মায়া
আছে মাটির কুটির,
গ্রাম সীমানায় নদী বহে যায়
স্নিগ্ধ অজয়ের তীর।

ছায়া সুশীতল দিঘি ভরা জল
রাজহাঁস খেলা করে,
কাঁখেতে কলসী গাঁয়ের বধূরা
জল নিয়ে চলে ঘরে।

গাঁয়ের রাখাল বাঁশি বাজে তার
বাজে রাখালিয়া সুর,
সেই সুর ভাসে আকাশে বাতাসে
দূর হতে বহু দূর।

গাঁয়ে মাঝখানে মুদির দোকানে
চাল ডাল বেচে হরি,
ভক্তদাস গায় খঞ্জনী বাজায়
হাতে একতারা ধরি।

পড়ে আসে বেলা সবে করে খেলা
বাগদি পাড়ার মাঠে,
পশ্চিমের পানে দিবা অবসানে
সূর্যি ডোবে নদীঘাটে।

আঁধার নেমেছে বটের তলায়
নেমেছে আঁধার কালো,
রাঙাপথ বাঁকে বটতরু শাখে
জোনাকিরা দেয় আলো।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা আমার গাঁয়ের কবিতা (দশম পর্ব)

  1. কবিতায় অসাধারণ এক পরিচিত দৃশ্য ফুটে উঠেছে। দারুণ। অভিনন্দন মি. ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. অসাধারণ লেখা । পড়ে ভালো লাগলো। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।