আমার গাঁয়ের মাটি সোনা সম খাঁটি গাঁ আমার মাটি আমার (নবম পর্ব)

আমার গাঁয়ের মাটি সোনা সম খাঁটি
গাঁ আমার মাটি আমার (নবম পর্ব)

কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ছোট গাঁয়ে ছোট ঘর মাটির উঠান,
রাঙাপথে তরুশাখে পাখিদের গান।
পূবদিকে ওঠে রবি প্রভাত সময়ে,
অদূরে অজয় নদী সদা চলে বয়ে।

গাঁয়েতে নয়নদিঘি কালো তার জল,
পাড়ে তার তালগাছ ছায়া সুশীতল।
হাঁসগুলি ঘোলাজলে কোলাহল করে,
ভেসে চলে অবিরাম সারাদিন ধরে।

ছোটগাঁয়ে হাটতলা গাঁয়ের মাথায়,
রবিবারে হাট বসে বটের ছায়ায়।
হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি চিত্কার করে,
বেলাশেষে সকলেই ফিরে যায় ঘরে।

আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের মতন,
কবিতায় লিখে কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “আমার গাঁয়ের মাটি সোনা সম খাঁটি গাঁ আমার মাটি আমার (নবম পর্ব)

  1. নিজের গ্রাম নিয়ে লেখা কবিতা পড়ে মুগ্ধ হলাম শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। 

    আশা করি ভালো থাকবেন।          

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।