আষাঢ়ে বাদল নামে… জল ঝরে অঝোর ধারায় কবির কলমে বর্ষার কবিতা (তৃতীয় পর্ব)

আষাঢ়ে বাদল নামে… জল ঝরে অঝোর ধারায়
কবির কলমে বর্ষার কবিতা (তৃতীয় পর্ব)

কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

আকাশেতে জমে মেঘ
কালো চারিধার,
ঘন কালো মেঘমালা
ছাড়িছে হুংকার।

ঝম ঝমা ঝম রবে
নামিল বাদল,
পথে ঘাটে বয়ে যায়
ঘোলা কাদাজল।

গাছে গাছে পাখি সব
ভিজিছে বর্ষায়,
আকাশে বিজুলি ধারা
অম্বর গর্জায়।

সারাদিন জল ঝরে
নাহিক বিরাম,
আষাঢ়ে বাদল নামে
ঝরে অবিরাম।

অজয়ের নদীঘাটে
দেখি কেহ নাই,
তরণী কূলেতে বাঁধা
নাই মাঝিভাই।

ফুঁসিছে অজয় নদী
প্রবল প্লাবনে,
আষাঢ়ের কালোমেঘ
ডাকে ঘনে ঘনে।

চাষীসব চাষ করে
মাঠে সারাদিন,
সারাদিন জল ঝরে
কভু রিমঝিম।

কভুবা বাদল ঝরে
মুষল ধারায়,
বন্যার জল বহে
গাঁয়ের রাস্তায়।

দিকে দিকে কলরব
করে হায় হায়,
নীড় হারা পাখি সব
ভেজে বরষায়।

অজয়ের দুই কূলে
ভাঙে গাছপালা,
বরষার ঘোলা জলে
ভরা নদী নালা।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “আষাঢ়ে বাদল নামে… জল ঝরে অঝোর ধারায় কবির কলমে বর্ষার কবিতা (তৃতীয় পর্ব)

  1. ভর বাদলে টাপুর টুপুর সুর-মূর্চ্ছনা হৃদয়ে দোলা জাগিয়ে যায়। ঈদ মোবারক কবি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।