শিউলি ঝরানো সকালে শরতের কবিতা শারদ সংকলন-১৪২৭ ষষ্ঠ পর্ব

শিউলি ঝরানো সকালে শরতের কবিতা
শারদ সংকলন-১৪২৭ ষষ্ঠ পর্ব

কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

শরতের নীলাকাশে সাদামেঘ চলে ভেসে
পূরব গগনে রবি উঠে,
গাঁয়ের পথের বাঁকে ফুলবনে ফুলশাখে
টগর বকুল ফুল ফুটে।

সোনালী কিরণ ঝরে অজয়ের নদীচরে
দুইধার ভরা কাশ ফুলে,
নয়ন দিঘির ঘাটে দুপুরে সাঁতার কাটে
ছেলেরা শালুকফুল তুলে।

জল নিয়ে যায় বধূ মাথায় ঘোমটা শুধু
পরনে আলতা পেড়ে শাড়ি,
নদীঘাটে স্নান সেরে দ্রুতপদে ঘরে ফেরে
রাঙাপথ ধরে আসে বাড়ি।

অবশেষে পড়ে বেলা মাঠে ফুটবল খেলা
চাষীরা আসে আপন গাঁয়ে,
দিনশেষে সাঁঝ হলে, ঘরে ঘরে দীপ জ্বলে
নামে আঁধার পথের বাঁয়ে।

মন্দিরে কাঁসর বাজে ঢাক বাজে ঢোল বাজে
দুর্গাপূজা আর দেরি নাই,
পূর্ণিমার চাঁদ উঠে একে একে তারা ফুটে
বাজে দূরে সাঁঝের সানাই।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “শিউলি ঝরানো সকালে শরতের কবিতা শারদ সংকলন-১৪২৭ ষষ্ঠ পর্ব

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।