কালী কালী মহাকালী…… কালরাত্রি দেবী চণ্ডিকা আগমনী গীতিকবিতা (প্রথম পর্ব )

কালী কালী মহাকালী…… কালরাত্রি দেবী চণ্ডিকা
আগমনী গীতিকবিতা (প্রথম পর্ব )

তথ্যসংগ্রহ ও কলমে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

1

[মা কালী কখনও মা, কখনও মেয়ে। তবে ভুল হলে তিনি যেমন রেগে যান তেমনই বুকে জড়িয়ে ভালোবাসেন। তাই এই শক্তির কাছে সকলেই নত। তিনি কালী। হিন্দু পুরাণ মতে, কালী দুর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী’ শব্দটি ‘কাল’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। এই শব্দের অর্থ ‘কৃষ্ণ’ (কালো) বা ‘ঘোর বর্ণ’। হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত-এ যে ভদ্রকালীর উল্লেখ আছে, তা দেবী দুর্গারই একটি রূপ। মহাভারত-এ ‘কালরাত্রি’ বা ‘কালী’ নামে আরও এক দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ইনি যুদ্ধে নিহত যোদ্ধা ও পশুদের আত্মা বহন করেন। কালীপুজো শক্তির পুজো। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে নাশ করে শুভশক্তির বিজয়মধ্যেই রয়েছে কালীপুজোর মহাত্ম্য।]

আগমনী গীতিকবিতা (প্রথম পর্ব )
কলমে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

কালী কালী মহাকালী এসো মাগো ধরাতলে,
তব পূজা করি মাগো ব্যথায় ভরা অশ্রুজলে।
তোমার নামে তোমার গানে
জাগে পুলক হৃদয় প্রাণে,
কালী কালী আদ্যাশক্তি আবির্ভূতা ভূমণ্ডলে।
কালী কালী মহাকালী এসো মাগো ধরাতলে।

দয়াময়ী তুমি যদি মা খড়্গ কেন তব কর তলে,
চামুণ্ডারূপিণী কালী নর মুণ্ডমালা কেন তব গলে?
মন সঁপেছি তারা নামে,
এসো মাগো ধরা ধামে,
আবাহন স্তুতি জানি মা ভাসি সদাই নয়ন জলে।
কালী কালী মহাকালী এসো মাগো এ ধরাতলে।

কে বলে মা তোমায় কালী তুমি মা ভুবন মোহিনী,
যার রূপে মা ভুবন আলো তুমি কালী করালবদনী।
শ্যামা মায়ের চরণ তলে,
শিব কেন পড়ে ভূতলে,
শিবদ্যুতি চামুণ্ডাকালী তুমি মা গো নৃমুণ্ড মালিনী।
কে বলে মা তোমায় কালী তুমি মা ভুবন মোহিনী।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “কালী কালী মহাকালী…… কালরাত্রি দেবী চণ্ডিকা আগমনী গীতিকবিতা (প্রথম পর্ব )

  1. শ্যামা মায়ের চরণ তলে,
    শিব কেন পড়ে ভূতলে,
    শিবদ্যুতি চামুণ্ডাকালী তুমি মা গো নৃমুণ্ড মালিনী।
    কে বলে মা তোমায় কালী তুমি মা ভুবন মোহিনী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।