হাসপাতালের বিছানায় কৃত্রিম যন্ত্র আবৃত যে শরীর
তার নির্মল শৈশবের দিকে তাকালে মায়া লাগে
দুরন্ত কৈশোর উদ্বেলিত করে, তার তারুণ্য
স্পর্ধিত অধিকারে অনুপ্রাণিত করে।
স্খলিত যৌবন কিয়ৎক্ষণের জন্য দিকভ্রান্ত
করলেও মনুষ্য বিভ্রান্তি শেষে ফিরে আসায়
আশাবাদী করে, দিন শেষে ঘরে ফেরার
তাড়না তাকে শুদ্ধ মানুষ হতে প্রণোদনা দেয়।
পরবর্তী অধ্যায়ে তাকে পাই শুদ্ধ মানুষের
দলে। পরিবার আরাধ্য এই ব্যক্তি নিহিত দায়িত্বে
নিষ্ঠাবান থেকে জীবন উদযাপনে এগোয়,
তাকে আমরা অবলোকন করি সাফল্যের মঞ্চে।
সারা জীবন কঠোর পরিশ্রম শেষে সে যখন
নির্ঝঞ্ঝাট অবসরের দাবিদার, তৃপ্ত হৃদয়
অবসাদ ঝেড়ে যখন প্রশান্তি-মুখি হচ্ছে, সুখী
সূর্যমুখী তছনছ করে হাজির হয় কোভিড-১৯।
মোটামুটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তার জীবন কেটেছে
কঠিন অসুখ তাকে তেমন ছুঁতে পারেনি
নিয়মানুগ সময় ধরে হেঁটেছে, সতর্ক পদক্ষেপ
অহেতুক জটিলতা থেকে তাকে মুক্ত রেখেছে।
তবু শেষ রক্ষা হলো না, সব সতর্কতা ডিঙিয়ে
করোনা তাকে আক্রমণ করে। আপাত স্বাস্থ্যবান
এত সহজে কাবু হবে কেউ ভাবেনি। এখন সে
সব ভাবনার ঊর্ধ্বে। কৃত্রিম যন্ত্র তারা খুলে নিয়েছে।
আপনার সাথে সাথেও সময়ের স্বাক্ষী হয়ে রইলাম প্রিয় কবি আবু মকসুদ ভাই।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো অফুরান। সুন্দর লিখেছেন