শ্বাসের কষ্ট, জ্বরের প্রকোপ
বেড়ে যাওয়ায় তাকে যখন
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল
শেষ মুহূর্তে হাত ধরেছিলাম
কম্পিত ঠোটে আঙুল ছুঁইয়েছিলাম
চোখের কোনে অশ্রু উদয় হলে
নিরব টিস্যু দিয়ে মুছেছিলাম।
রাতের নিস্তব্ধতায় সাইরেন বাজিয়ে
অ্যাম্বুলেন্স ছুটে গিয়েছিল
দরজার কপাট ধরে অপলক
অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম।
মানুষের অসহায়ত্বে মানুষ এসে দাঁড়ায়
এতদিন তাই জেনে এসেছি
এই মহামারী ভিন্ন শিক্ষা দিচ্ছে
ছ’ফুটের দূরত্বে দাঁড়াতেও
ভয় পাচ্ছে মানুষ, হঠাৎ বেখেয়ালে
দূরত্ব কমে গেলে ভূত গ্রস্থের মত
পালিয়ে যাচ্ছে মানুষ।
অ্যাম্বুলেন্স চলে গেলে একাকীত্ব
আঘাত করতে থাকলো
বাইরে সুনসান নীরবতা, ঘরে করোনাক্রান্ত
নিজের শ্বাসের শব্দে উদ্বিগ্ন।
হয়তো এ যাত্রা বেঁচে যাব
পরাস্ত হতে হতে জীবনকে আঁকড়ে ধরে
দ্বিতীয় জন্মের পথে হয়তো হাঁটতে পারব।
তাকে ফিরিয়ে দিতে ফিরবে না অ্যাম্বুলেন্স,
যুদ্ধে সে পরাস্ত, কৃত্তিম যন্ত্রের আয়ু ফুরিয়েছে
কিছুক্ষণ বিশ্রাম শেষে অন্য কোন আয়ুর
বর্ধিতাংশ হিসাবে কাজ করবে।
নিরব টিস্যু চোখের জল আটকাতে পারছে না
ভাবছি পৃথিবীতে মানুষ কি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে
যদিও থাকে চোখের জলের বন্যায়
তারাওতো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
করোনা মহামারী কালও পৃথিবীর মানুষ নিঃসন্দেহে মোকাবেলা করবে ইনশাল্লাহ।
এই মহামারি করোনাভাইরাস পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা থাকবে। আপনি লিখে রাখছেন। আমারও লিখে রাখার পরিকল্পনা আছে।
শুভকামনা থাকলো।
সুন্দর কথা দিয়ে সাজিয়েন আপনার লিখনশৈলী।