২৬ শে জানুয়ারি (প্রজাতন্ত্র দিবসের কবিতা)

২৬ শে জানুয়ারি (প্রজাতন্ত্র দিবসের কবিতা)
কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ছাব্বিশে জানুয়ারি মোরা পালন করি
প্রজাতন্ত্র দিবস আজিকে,
প্রভাতে উঠিল রবি মেঘেঢাকা লাল ছবি
আবীর মাখানো পূর্ব দিকে।

ভারত মৃত্তিকা পরে জাতীয় পতাকা উড়ে
প্রফুল্লিত সবাকার প্রাণ,
দেশের সকল জাতি পুলকে উঠিল মাতি
গাহে ভারতের জয়গান।

ভারতের অগ্নিশিশু নেতাজি সুভাষ বসু
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ,
বিনয় বাদল নাম দিনেশের সংগ্রাম
কত শহীদের প্রাণনাশ।

আজিকার দিনে তাই স্মরণ করিতে চাই
দিল যারা প্রাণ বলিদান,
সংগ্রাম আমরণ করিলেন অনশন
গাহি তাহাদের জয়গান।

বন্দে মাতরম ধ্বনি তাই দিকে দিকে শুনি
অরুণ প্রভাত আজি জাগে,
এক জাতি এক প্রাণ আজি গাহে জয়গান
উঠিছে অরুণ নব রাগে।

https://www.youtube.com/watch?v=Yucq4RrXbNk&t=64s

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “২৬ শে জানুয়ারি (প্রজাতন্ত্র দিবসের কবিতা)

  1. আজিকার দিনে তাই স্মরণ করিতে চাই
    দিল যারা প্রাণ বলিদান,
    সংগ্রাম আমরণ করিলেন অনশন
    গাহি তাহাদের জয়গান। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  2. আমাদের প্রতিবেশী ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। সাথে নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।