গুপ্ত বাস

যতোই করো ছাল চাতুরী, আমি তো
তোমার একান্ত সাম্রাজ্যে অবাধে বসত করি,
যতোই থাকো গোপনে; নির্জনে। জানো তো
আমি ঠিকই পৌঁছে যাই, প্রমত্ত গমনে!
আলো-আঁধারীর বৃত্ত ভেঙ্গে, জাদুকরী
ভালবাসায় মিশে যাই সীমান্ত বিহঙ্গে।
নানান আয়োজনে খুলে নিই ফটকের পর ফটক
আপাদ মস্তক দখল করে-
নিশ্চিন্ত মনে হস্তক্ষেপ করি সাম্রাজ্যের গুপ্ত ধনে!
তুমি জানতে
সীমানা প্রাচীরে আমাকে পারবেনা রুখতে।

তুমি রাগলে আমি ডুব দিই মদিরা স্রোতে,
তিক্ততায় নাক কুঁচকলে, অবাক করে দিই
এক ঝাঁক চুম্বন এঁকে তোমার অধরা চিত্তে!
একবার ঘৃণা করলে বেশ
প্রবহমান ঝর্ণার মত আমিও পেলাম নব উন্মেষ;
সে বার দেখেছো উদ্যমীত অরণ্যের মত
বিদ্বেষ শূন্য আমার প্রেম, চির উষ্ণ অশেষ।
আমি তো চিরন্তন, দুর্বিনীত
শেকড়ের শেকড় আমি বিস্তৃত তোমার প্রাণে
আড়াল কিংবা উপেক্ষা ছেড়ে
আমি তো বেঁচে থাকব তোমার রাজ্যে
একান্ত গোপনে-সংগোপনে!

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

2 thoughts on “গুপ্ত বাস

  1. তুমি রাগলে আমি ডুব দিই মদিরা স্রোতে,
    তিক্ততায় নাক কুঁচকলে, অবাক করে দিই এক ঝাঁক চুম্বন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।