আমি আর প্লক্ষতরুণী

(উন্মেষ কবিতা)
অন্তরীক্ষ দরদালান, ধুলোমেঝেয় বাচ্চা ছেলে হয়ে ছুটছে
নোনার শুকনো পাতা, লেজখসা টিকটিকি, ভাঙা চুড়ির রুবাই
ওদের এনো না। চাবি হাতে নেমে এসো মা, বাবা, দিদিমা, দু’ভাই

ব্যথা-শব্দে দরজা খোলে, দোতলার ঝুল বারান্দায়
চটের আসন পেতে বসো শান্ত ক’রে মৃতের হরমোন
আর ডাকছি দু’জনকে — পুষ্পল কুমার বসু, শৌণক বর্মন

আস্থা রেখেছিল যারা। নিরুদ্দেশ জ্যাঠা ঋষি অরবিন্দসম,
পদ্মপিসি — পুব-পাকিস্তান থেকে যেন মুকুর
বিনিময় করে পেল ঘর (গতকাল পর্যন্ত নিকোনো), পানিফলের পুকুর…

শোনো, আমি রাতে একতলার ছাদে এই বইটি হাতে
উঠব… টবে অনেক ঘৃতকুমারী, গোলাপবাগান, মাথার পেছনে —
যেখানে লাগলে মানুষ বাঁচে না — আধখোলা চাঁদ ঝুলে আছে, তাই জোছনের

চারদিকে কাশ্মিরী শালের ছই, আমরা যে উপনিবেশের
ছেলেমেয়ে! আর পাঠ করছি নিজের শোলোক
আত্মসুমুখে, ভাবতে পারিনি অন্তরীক্ষে এত লোক!

দিদা, তুমি ওভাবে রেলিংয়ে ঝুঁকো না, পড়ে যাবে
কী বলছ? শরীরে চারটে স্তন, পাশের সাদাছায়া মেয়েটা কে?
বলব লেখার শেষে গিয়ে, পরিশিষ্টে সে-ই থাকে

তাহলে আসন্ন শুরু, মাথার ওপর ছোট পুষ্পবৃষ্টি হোক

2 thoughts on “আমি আর প্লক্ষতরুণী

  1. ধারাবাহিক এই কবিতার মুগ্ধ পাঠক হিসেবে নিজেকে যুক্ত রাখতে পেরে আমি আনন্দিত। অভিনন্দ প্রিয় কবি প্রিয় চন্দন ভট্টাচার্য। ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশা। ধন্যবাদ। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় অপার মুগ্ধতায় বাক্য বুণন, 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।