কাঁঠালের বিচি চেনাবে বলে
সেকি প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা,
উনপঞ্চাশ নামতা শেখাতে
ক্লান্তি নাই। জল পড়ে টুপটুপ,
স্নাত না হওয়া পর্যন্ত
মিলত না নিস্তার।
বাজারের ফর্দ ভুলে না যাই
ঘন ঘন মুঠোফোনের তাড়া
বেখেয়ালি জুতার ফিতা
দুর্ঘটনার কারন হবে
ভেবে নিচু হয়ে…
পাশের জমি অভুক্ত পড়ে আছে
ধনেপাতার আঁচড়ে
দুমুঠো বেশি খাওয়া যাবে।
সার্টের গায়ে হলদে দাগ
মুখ মলিন, একটু বেশি ডিটারজেন্ট
শুভ্রতা ফিরিয়ে দেয়।
জীবিকার প্রয়োজনে ঘর বাহির,
চেয়ারে এলিয়ে দেওয়া
চোখে ক্লান্তি নামলে
হাতপাখা বাতাস ক্লান্তি তাড়িয়ে দেয়।
অতিরিক্ত পরিশ্রমে অনীহা ছিল
অল্পে তুষ্ট, প্রয়োজনের পরিধি বাড়িয়ে
অহেতুক অশান্তি চাইতে না।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমিও কিছু চাইনি।
জীবনকে জীবনের
মাপে মাপতে চেয়েছি।
কাঁঠালের বিচির চাটনি প্রিয় খাবার
অনর্গল আওড়ে যেতে পারি
পঞ্চাশের নামতা
আদিগন্ত বৃষ্টিতে ভিজে বিরহী কোকিল।
ফর্দ বুকে সেঁটে বাজারে যাই,
ফিতা বাধতে ভুল করি না।
অবসর এখন ধনেপাতার
পড়শি। ধোপাদুরস্ত সার্টে মুছি মলিনতা।
অখণ্ড অবসর ফ্যানের বাতাসে
ক্লান্তির গান গায়। পরিশ্রম দিয়েছে মুক্তি।
তোমার চাহিদা পূর্ণতা
দিয়েছে, তুমি শুধু পাশে নাই!
অখণ্ড অবসর ফ্যানের বাতাসে
ক্লান্তির গান গায়। পরিশ্রম দিয়েছে মুক্তি।
তোমার চাহিদা পূর্ণতা
দিয়েছে, তুমি শুধু পাশে নাই! অর্ধাঙ্গিনী।
সুকোমল নির্মাণ কৌশল ।