এগারো
গ
পাড়ার ক্লাবের পুজো, মিষ্টি প্যান্ডেল
কাল ফুলটু মজা, আজ জাগছে ক্যান্ডেল
পুজো-খসা দুব্বো ওড়ে, বাতাসে করাত
দেবীর আহারপাত্রে শেষ-খণ্ড রাত
আবাসন-গেট খুলে সহসা কে নামে?
ঘুমের ভেতর, কোনও দণ্ডিত আরামে
বিদ্যুৎরেখার নাক, হাসলে টোল পাবে
তিন সহস্রাব্দ স্থির কোমল রেখাবে
শীতের বিচ্ছেদ-গন্ধ, পকেটে দু’হাত
ছেলেটি হাঁটছে, দেবীদৃষ্টি ফলো করে
অন্তর্বাস আড়ালের স্তনদুটি তার
নম্র ক’রে মুখ তুলল কবির ওপরে
ফিরে যাবে, তবু কেন হঠাৎ নেউটি
পেছনে তাকায়, বুকে শিহরণ ফোটে
কিচ্ছু নেই, প্যান্ডেলের দেবীপীঠ ফাঁকা
একটি মেয়ে হেঁটে আসছে সাদা হাউজকোটে
বারো
অনেক আনন্দশব্দ নিয়ে বাতাস নীল রঙ আপনাচ্ছে
তোমাকে খালি পায়ে দেখে আমিও স্লিপার খুললাম
খুব কাছে এসেছ ব’লে চোখে পড়ল তুমি ত্রিনেত্রী, মূর্তিকার শেষ তুলির টানে কপাল মুছে দেয়
কিশোরের মারদাঙ্গা থেকে যুবকের ভিখিরিপনা
এক একটা ময়দাভর্তি টিনের ড্রামে পড়ে গিয়ে, ভ্রূ পর্যন্ত সাদা, আমি যে আবার উঠে দাঁড়িয়েছি
সে তোমার সঙ্গে চা-বাগানের রাস্তায় হাঁটব বলেই
যার ভেতরে চিতাবাঘিনী টুঁ শব্দে বাচ্চা দিচ্ছে
খুব কাছে এসেছ বলে ভুলে গেছি সব প্রার্থনা
শুকতারা, ভেগা নক্ষত্র… পরিচিত চ্যানেলগুলো জুম করছে
বরং প্রশ্নই রাখি —
কবিতা কি মিনিংয়ের সীমা পার হয়ে যাবে? তাহলে, আর্ট আর অ্যাট্রাকটিভনেস হাত ধরে থাকবে না কোনওদিন!
আকাশ প্রান্তঘুমে পাশ ফিরে শোয়ার শব্দ করল
তাছাড়া পিঁপড়ে, রঙপেনসিল, ওষুধের খালি টিউব — যাদের কখনও দুচোখের পাতা এক করতে নেই, সবার দিকে একবার নির্ভারযোগ্য চোখে তাকিয়ে তুমি বললে
“পাখি যখন পাখি, তার কাছে
প্যারাশুট লাগেজ মাত্র”।
ডান হাতে ঝিকমিক মুকুট, আস্তে ক’রে হাতে নিই বাঁ করতল
ওমনি মুখ নীচু, হাসিরক্তে শরীর ডুবে যাচ্ছে — “লেখা শেষ হোক। আমি ঘরে ফিরব না!”
তেরো
জরির মুকুট তার সঁপে দিয়ে গেল
আমার কাতর হাতে। এরপর জিনা
বদলে যাবে কতদূর, ভেবে ভয় করে!
পুজোমাঠে ফিরে যাচ্ছে উষ্ণীষহীনা…
কাব্যপাতা বন্ধ করি ভোরের হাওয়ায়;
বাক, দিদা, মৃতজন প্রণাম করতঃ।
আবার মিলিত হবো কোনও অকেশানে;
অন্তরীক্ষ, বাকি ফুল উজাড় করো তো!
.
[গ্রন্থ : ‘ছোট পুষ্পবৃষ্টি হোক’]
ভীষন সুন্দর লেখা, শুভেচ্ছা সতত
ধারাবাহিক এই লিখাটির প্লট বা প্রেক্ষাপট কখনও ভীষণ কঠিন মনে হলেও শেষ বিচারে এটা স্বীকার করতেই হবে … আপনার এই লিখাটিও শব্দনীড়ের অলংকার হয়ে থাকলো। অভিনন্দন প্রিয় কবি চন্দন ভট্টাচার্য দা। ভালো থাকবেন নিয়মিত লিখবেন।
সময়ের অভাবে আপনার লেখা "আমি আর প্লক্ষতরুণী'র পর্বগুলো পড়া হয়নি। এটা আমার জন্য দুর্ভাগ্য।
অপূর্ব প্রকাশ পেয়েছে কবি
শুভকামনা রইল।