আমার নাম দুঃখমতি
জন্মের পর দুঃখ লেপ্টে আছে।
মাথা, কোমর, হাটু, গোড়ালি
দুঃখে ভরপুর! শুধু মধ্যাংশ কিছু পরিমাণ
সুখদ, পেট দেখে যেকেউ
সুখী ভেবে নেয়। পেটের জন্য
দুঃখবাদী জীবন পাত্তা পায় না।
শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথা
বসে পড়লে উঠতে পারিনা
কোনরকম দাঁড়ালে পুনরায় বসতে
কষ্ট হয়। কষ্ট সহ্য করে বসে গেলেই
সুখ। আমার সমস্ত সুখ খাবারে,
দাঁড়িয়ে খাবারে যুথ পাই না
পেটের ভারে শ্বাস কষ্ট হয়;
বসে গেলেই আরাম, প্রচুর খাবার।
দুঃখ কাউকে বুঝাতে পারিনা
‘ঘরের কর্তী রুদ্র মূর্তি’; ছেলেমেয়েরা
হেসে মরে। বন্ধুদের কাছেও
আজকাল দুঃখ বিকায় না।
দুঃখের আলাপে মুখ বন্ধ করে
দিতে আসে, অথবা পাত্তা দেয় না।
জানতাম খাবারে অনিহা
থাকলে দুঃখ জেঁকে বসে কিন্তু
আমার ক্ষেত্রে বিপরীত,
প্রচুর খাই; তবু দুঃখ তাড়াতে পারিনা।
দুঃখ কে কেউ দুঃখ ভাবে না,
অথচ আমি প্রচণ্ড পরিমাণ দুঃখী;
কারো কাছে মন খুলে দুঃখের
গল্প করতে পারি না, ঠেকায় পড়ে
আপনাদের জানালাম একটু সমব্যথী হবেন!
আর আমি হলাম পৃথিবীতে থাকা সকল দুঃখীদের মধ্যে অন্যতম একজন।
শুভকামনা থাকলো, শ্রদ্ধেয় কবি।
শুভ কামনা প্রিয় কবি প্রিয় আবু মকসুদ ভাই।