হিরন্ময় ঘৃণা

2869

রাতের তীব্রতায় উড়ে যায় গৃধিনীর
ডানার নীচে থাকা শ্বেতশুভ্র বরফের নির্মাণ।
আকীর্ণ শহরের প্রলুব্ধ রঙ চোখের কোণে
রক্তজবা হয়ে জেগে ওঠে স্বপ্নের ঘোরে।
নিস্তব্ধতা জানিয়েছে আজ ইন্দ্রচাপ ছুঁড়ে দিলে
রামধনুর বুকে আঘাত লাগে না কোন।
ইচ্ছের নীলাভতম সুর জন্মে বিষণ্ন শহরের মিছিলে মিছিলে,
তারপর ছড়িয়ে পড়ে, গেরুয়া মাটির সাথে মানুষের পায়ের নীচে।

আমার বুকের মাঝে চাপাপড়া সবুজ ঘাস
উজাগর হয়ে জেগে থাকে শিশিরজলে মুখ ভিজাবে বলে।
তবু আমি অনাকাঙ্ক্ষার বেড়াজাল ছিঁড়ে আগাগোড়া
শরীরটা নিয়ে হেঁটে যেতে পারি না বুনোহাঁসের ডানার নীচে।
রাতের কিনারায় পড়ে থাকা বিশাল আকাশ তার
সমস্ত শরীর জুড়ে অসংখ্য নক্ষত্র নিয়ে
হারিয়ে যায় আগুনের আস্তাবলে।

জেনে রেখো
ক্ষেতের শস্য তুমিও কেটে ফেলে দিয়েছিলে কাদাজলে
সেই থেকে অভুক্ত হাড় ও করোটি পড়ে আছে পায়ের নীচে;
একে তুমি রুচি বলো, সংস্কৃতি বলো কিংবা হুলিয়া কিচ্ছু যায় আসে না।
কিছু পুরুষের ঔরসে জন্মনেয়া জন্মগত দাগ
আজন্ম থেকে যাবে শিরকাটা নির্বোধ প্রেমিক হয়ে।

1 thought on “হিরন্ময় ঘৃণা

  1. জেনে রেখো
    ক্ষেতের শস্য তুমিও কেটে ফেলে দিয়েছিলে কাদাজলে
    সেই থেকে অভুক্ত হাড় ও করোটি পড়ে আছে পায়ের নীচে;
    একে তুমি রুচি বলো, সংস্কৃতি বলো কিংবা হুলিয়া কিচ্ছু যায় আসে না। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।