শেখ রাসেলের কররেখা

ikh-R

বিশ্বের এই অভিযাত্রী আলোয় আরও একজন মানুষের নাম
যুক্ত হতে পারতো বড় গর্বের সাথে। আরও দুটি হাতের
কররেখা দেখে পুলকিত হতে পারতো টুঙ্গিপাড়ার আকাশ।
না- ভুল বললাম,
আলোকিত হতে পারতো এই বাংলার মাটি, বিশ্বে ছড়িয়ে
ছিটিয়ে থাকা প্রতিটি বাঙালীর রোজনামচার পাতা।

সিলিকন ভ্যালি থেকে পুরো দুনিয়ায় বিচ্ছুরিত হচ্ছে যে
জ্ঞানের জ্যোতি, একজন শেখ রাসেলের চোখ ধারণ করতে
পারতো সেই ঝলক। সেই বিনয়ী চাঁদের সাথে জীবনের
গল্প বলতে বলতে একজন শিশুর জানা হয়ে যেত
মহান একাত্তর, প্রিয় বিজয়ের অমর উপাখ্যান।

পঁচাত্তরের সেই রক্তাক্ত ভোরে, জনক ও মা-ভাই হারিয়ে
আমরা যারা কেঁদেছিলাম- তাদের দাবী একটিই ছিল
এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের বিচার চাই। চাই এমন এক স্বদেশ,
যেখানে আমরা শোধ করতে পারবো মুজিবের রক্তঋণ।

আজকের এই বাংলায় আমি কোটি তরুণের চোখে
শেখ রাসেলের সেই স্বপ্ন দেখি। দেখি সোনার ফসলে
ভরে যায় যে বাংলাদেশ- সেই জমিনে জমিনে লুকিয়ে থাকে
তাঁর ছায়া। পদ্মা-সুরমা-যমুনার হাওয়ায় ভেসে যাওয়া নিঃশ্বাস।

আপনি সেই নিশ্বাস বহন করে চলেছেন, হে গণমানুষের নেত্রী।
তাঁর কররেখায় আপনি আঁকছেন এই প্রজন্মের জন্য
যে সবুজ সীমারেখা- তার মাঝেই জেগে উঠছে আমাদের
আস্থা ও অস্তিত্ব। জেগে উঠছে জাতির জনকের সেই শাণিত আঙুল।

1 thought on “শেখ রাসেলের কররেখা

  1. এই প্রজন্মের জন্য –
    যে সবুজ সীমারেখা- তার মাঝেই জেগে উঠছে আমাদের …
    আস্থা ও অস্তিত্ব। জেগে উঠছে জাতির জনকের সেই শাণিত আঙুল। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।