দুটো বিরাট ষাঁড় পাশাপাশি গায়ে গা লাগিয়ে সটান দাঁড়িয়ে আছে। দৃষ্টি নৈর্ঋতে। ছবিয়ালা যেন এই ভঙ্গিতে রেখে গালে তুলি ঠেকিয়ে ঘাড় বাঁকিয়ে দেখছে। একটু ওপাশে উঁকি দিলেই পাতার ঝালর পরা একটা লোক ল্যাদনা হাতে গোবেচারা মুখ। কপালে হাত রেখে দূর ঠাওর করে। ওই যে হোতা সত্যি একটা ছাগল-চড়ানী বৌ দুপুর হয়ে বসে আলের মাথায়, গালে হাত। মাথায় তার আধখানা ঘোমটায় আধলা চাঁদ উঠেছে দিনের বেলা। হাতের পাঁচন মাটিতে অবহেলায়। তার চারপাশে হাত কয়েকের ভেতর কয়েকটা পোষা ছাগল, দুটো ভেড়া ছানা। তাদের গায়ে পুরু লোম, ঘিয়ে রঙের, কোঁকড়ানো। সামনে রোগা নয়ানজুলি। তাতে একটা বাঁশের ডগালি কয়েকটা ডগা বার করে রেখেছে, আসলে পা বাড়িয়ে। কাউকে ল্যাং দেবার বাহানায়। পানকৌড়ি সেসব গেরাহ্যিমাত্র না করে, বৌটাকেও, সেই ল্যাং সমান ডগায় বসে ডানা মেলে দিয়েছে। একদিকের খুঁট জড়িয়ে অন্যদিকের আঁচল শুকোচ্ছে যেন। সারা মাঠে এখানে ওখানে টিয়াপাতা রঙা বোরো ক্ষেত। বাকিটা ধূ ধূ, ফসলহীন।
ব্যাস! এটুকুই। এটুকুই যেন কী একটা গুমরে মরছে।
একদিকের খুঁট জড়িয়ে অন্যদিকের আঁচল শুকোচ্ছে যেন। সারা মাঠে এখানে ওখানে টিয়াপাতা রঙা বোরো ক্ষেত। বাকিটা ধূ ধূ, ফসলহীন।