জলের আঙুর


এক বর্ষায় সব পালটি খেয়ে গেছে হুতাশন।
পাতায় পাতায় এমন প্রফুল্ল গাঁট
সমস্ত পাখির মুখ খুলে গিয়ে;
নারকোলডাঁটির দুপাশে ঘন দুর্গাভুরু তোলা,
তাতে জলকুহেলি।
এমন নবরত্ন কারাদণ্ড সবুজ চেপে ধরেছে
আমাদের…
গাছই উচ্চারণ করছে আর পল্লব সহ্য করব না।
এই বর্ষার পেছন পেছন এল উদ্দালক
খুনের হুমকি থেকে বেঁচে;
মনের মধ্যেও ফের আরম্ভ চালু শুরু, ভাই,
জলের মোড়লি; আর তাতে পাছা-উবদি হাঁস


মাতাল-বিরক্ত পথ, টর্চ হাঁটছে
এক্কা-দোক্কা লাফ দিয়ে দিয়ে
কচি-শসা রাস্তাটায় বৃষ্টির লবন মাখানো

সব উঠোনে ঘুরে গেছে সবুজ প্যারামবুলেটার
সাদা ফুলতোলা ফ্রকের জলশিশু
তার মধ্যে আধ-শোয়া

ভেজা, হিম, ভিতু কাক হয়ে
এডাল-ওডাল উড়ে বসছে প্রেম


মনসিজ পানির ভেতরে বৃষ্টির আচ্ছন্ন ফুল
কোমর পর্যন্ত অতিকায়

ছাদ তুলতে ওস্তাদ মিস্তিরি ত্রিপলের নীচে
বালিতে পাথরকুচি — চালের উদরে ডাল —
ঠেসে দিয়ে হাভাতে ইঁটের ছোট হিল্লে করে দিল

একবার আটচালা ছেড়ে, মাটির গৌরাঙ্গ, তুমি
উঠোনে দাঁড়াও। কত আস্ত থাকে দেখি
চোখ, চূড়া, দুটি ছিচরণ!

.
(‘নবরত্ন কারাদণ্ড সবুজ’ কাব্যগ্রন্থ থেকে)

1 thought on “জলের আঙুর

  1. কবিতায় চমৎকার উপমা পড়লাম প্রিয় কবি চন্দন দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।