জলে সন্তরণ
ক্লান্তির ঘোর হতে উঠে আসি
তোমার হাওড়ের জলে সুচতুর করি স্নান।
চৈত্র খরায় তোমার ওষ্ঠে ওষ্ঠ রেখে
তৃষ্ণা মেটাই।
আমাদের অন্তর জানে উত্তাপের ভাষা
জানে শীত গ্রীষ্ম বিষয়ক অনুক্ত শব্দমালা।
আমরা নেমে পড়ি, নিবিড় আলিঙ্গনে
খসে পড়ে স্বর্গ ও মর্তের আচ্ছাদন।
এরপর পরষ্পর পরষ্পরে হত্যা লিখি,
এবং পুনরায় জীবিত করি। অতঃপর
যৌথ নদীর স্রোতে নৌকা ভাসাই।
আমার বৈঠা জানে জলের গভীরতম উচ্ছ্বাস
জানে প্রবল প্লাবনে ঢেউয়ের ব্যাকরণ।
তোমার বুকের ভূমধ্য আল বেয়ে
যে জোয়ার ছুটে গেছে গোপন অভিমুখে
আমার নৌকা জানে –
সে জোয়ার ও জলে সন্তরণ।
আমি জলের মাঝি,
জেনো হাঙ্গরেও নেই কোন ভয়।
strong>জীবন বৃত্তান্ত
কি রকম সুদৃশ্য
ঝুলে থাকে জীবনের দেয়ালে
মানুষের বৃত্তান্ত গুলো-
কত শত জনে, কত কী!
আমি উঠে এসেছি হাওরের জল হতে
গায়ে মেখে মাছেদের আঁশটের ঘ্রাণ,
শালুকের লালা!
কাদার শিলালিপি দেখে
আমাকে ডেকেছে ভদ্রমহোদয়
‘গেয়ো ভুত কোথাকার’!
আমার একটি শূন্যস্থান ছিল
জীবনের অমোঘ নিয়তি ছিল,
অথচ সেখানে শব্দ সেঁটে দিয়ে কিছু
লিখবার মতো কোন বৃত্তান্ত ছিল না।
এ ইতিহাস প্রকাশ্যে হয়েছিল লেখা দেশপ্রেম ছিল তার নাম :: পাখিদের ডানায় রাখা ছিল বিগত দিনের খতিয়ান অথচ আমরা পালকের বুনন শিল্পে মোহাবিষ্ট হয়ে শিখতে চেয়েছিলাম কারুশিল্প। অনাবিষ্কৃত থেকে গেছে তাই দানব বধের গল্প গাঁথা বরং অধিকতর আজ তা হয়ে গেছে পৌরাণিক তত্ত্ব পুরাণ! আমাদের কেউ বিংশ শতাব্দীতে এসে সে তত্ত্ব পুরাণ ঘেঁটে একদিন আবিষ্কার করেছিলাম বধ্যভূমির কঙ্কাল, বুলেটের তিলক আঁকা বিচ্ছিন্ন খুলি! বাম পাঁজরে অগণিত স্প্রিন্টারের ক্ষত। আমাদের ইতিহাস প্রিয় কেউ কেউ বিজ্ঞানাগারে কঙ্কাল, খুলি, হাড়ের ব্যবচ্ছেদে নিমগ্ন হয়ে খুঁজে দেখতে চেয়েছি কতোটা তীব্র ছিল আঘাতের ক্ষত অথচ আমরা জানি নি, কতোটা ভেতরে জাগলে রক্তে রক্তে দ্রোহ, ত্রিশ লক্ষ দক্ষ কারিগরের নিপুণ বুননে, একটি পতাকা লাল সবুজে শিল্প হয়ে ছিল। … প্রিয় ব্লগার সুমন আহমেদ। আজ তাঁর শুভ জন্মদিন। আসুন জানাই আমাদের প্রিয় ভালোবাসা এবং অভিনন্দন। দীর্ঘজীবি হোন।
জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ হোক ব্লগিং।
ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।