কেন ডাকো

e8bcdd5a25ace5947c0278da930a2fdc

তবু কথা থাকে
বলেছেন একজন। সন্ধ্যের পরেও কথা থাকে;
রক্ষিতার মত সঙ্গোপনে রাতের নির্জন কথা
দুপুরের শেষ মৃত্যুর পরেও থেকে যায় অপরাহ্নের সংলাপ।

কোন এক গোপন ঈঙ্গিতে চারটি চোখের রঙ বদলে- যাওয়ার মত
আবেশে স্পন্দিত, বৃষ্টির পরেও মেঘ-মেঘ আকাশে ভাসে
শুভ্র কথার কাফন।

আমি ঘুমহীন চেয়ে চেয়ে দেখি
দু’চোখের দরিদ্র পারদ ঝরে ঝরে পড়ে
শতাব্দীর নোংরা কোলে।
কথা বলি না, কেননা
কথা না- বলার করেছি সংরক্ত পণ
একান্তে, নিঃশব্দে, জানে না ঘনিষ্ঠতমা।

ঘোর তমসার নীল জলশয্যাতে
তখন অনন্ত বীটোফেনের সিম্ফনি
অবাক তৃষ্ণার্ত রঙের ধরায় অবিরল বয়ে গেলে
তুমি এসে কেন ডাকো
হে নারী, হে কবিতার প্রসূতি, হে বিষণ্ণ প্রকৃতি !!!

e8bcdd5a25ace5947c0278da930a2fdc12

স্মৃতি থেকে নেয়া প্রিয় লিখা।

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter