মানচিত্র ফেটে গেলে

aa

মানচিত্র ফেটে গেলে কেঁপে ওঠে কুমারীর মণি
সদরের দরোজায় কড়া নাড়ে বেখাপ্পা ব্যর্থতা
কি দিয়ে ঢাকব, বল, জীবনের আড়ষ্ঠ নগ্নতা
পাকা ধানে মই দিয়ে চলে যায় দুপুরের শনি।

তীরন্দাজ ছোঁড়ে তীর, শিকারের দেহ ছিন্নভিন্ন
মহাপ্রস্থানের ছাপ পড়ে আছে নিরুদ্ধ সৈকতে
বিষাদের বরপুত্র ধাবমান শূন্যে, ছায়াপথে
চরাচরে বর্ম নেই, কামিনী ও কাঞ্চন নিশ্চিহ্ন।

গন্ধকের ঝুড়ি কাঁধে হেঁটে যায় রৌদ্রের সন্ততি
চা-বাগানে কচি পাতা বাঁধা পড়ে তামস আশ্লেষে
প্রথম মৃত্যুর দাগ লেগে থাকে মিহি শুভ্রকেশে
টিলার ওপারে নদী যেন নিজস্ব নিয়মে বেগবতী।

মানচিত্র ফেটে গেলে কেঁপে ওঠে কুমারীর মণি
পাকা ধানে মই দিয়ে চলে যায় দুপুরের শনি।।

b

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter