অক্ষিরসে তুমি নেই

অকষ্মাৎ যেন খুলে গেলো আগলের ঝাঁপ
থাকে শুধু মারণ উদ্ভাস আকাশ- পাতাল।
ব্যাকরণে অনুক্ত সূত্রের তীখনো ফলা ছিন্ন করে
জরাজীর্ণ মোহ আমার।

আর সুখ শীতের কুন্ডলী ধোঁয়া ছেড়ে
ফাল্গুন- বিকেল, দেখো, হিলহিলে সরীসৃপ
প্রজ্ঞা নিয়ে অস্তিত্বের একান্ত চাতালে প্রথম
জন্মের শেষ চিহ্ন রেখে যায়…

শোন, কান পেতে বধির হয়ে শোন-
পরিশুদ্ধ ঘন্টা ঐ বেজে চলে নিরন্তর…
কালের বিবস্ত্র বক্ষ দীর্ণ করে সেই ধ্বনি
ক্রমাগত কাবু করে যাবতীয় স্বরের বৈভব।

অক্ষিরসে তুমি নেই…

স্বপ্নদ্রষ্টা ভ্রান্ত বিশ্লেষণে নিজেই যেন আজ
নিজস্ব গরলে দ্রবিভূত। তাই ল্যবরেটরির
অম্ল- ক্ষার- রসায়নে সোমত্ত সনেটদ্বয়
বিভ্রমে আকন্ঠ ডুবে থাকে। সমস্ত ঋণের দায়
একাকী আমার শুধু, তুমি নির্দ্ধিধায় নগ্ন সুখে
যত খুশি পান করো পাঁচতারা হোটেলের বারে।

কারণ অক্ষিরসে তুমি আর নেই।

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter