প্রতিশ্রুতি

চলার পথে সামাজ রক্ষায় দেই যত প্রতিশ্রুতি
মোড়ল মুখে যতসব শুনি জনসেবার খাস বুলি
যাদের কথা ফাঁকি-বাজি তাতেই চলে কলকাঠি
লোক সমাজে চলতে সত্য-মিথ্যার প্রতিশ্রুতি।
প্রতিশ্রুতি ঠিকঠাক সুযোগ খুজেন আছে ফাঁক
জনতার কাছে ছলÑচাতুরি যতদিন টিকা যাক
ক্ষমতা থাকে যতক্ষন জনসেবা করে ঢেড় গুণ
কর্মের চেয়ে বেশি বকন প্রতিশ্রুতি তাতে খুন।
সম্প্রতি সমাজের রীতি মোড়লের কত প্রতিশ্রুতি
দিন-রাত খুঁজেন তিনি ক্ষমতার সাদাসিধে যুক্তি
ভোটটা দিবেন সাহস রাখেন করে গেলাম চুক্তি
যতটুকু জনসেবা দিলাম সমাজের দায় রাখি।
বিশ সতেরো সকালে স্বাধীনতা প্রভাত ফেরি
পাঁচ-ছয় গুণ পুস্তক দিয়ো মেটাব সব কার্তি
ফূর্তি করে ব্যাগে ভরি অপেক্ষা শুধু অনুমতি
সারাদিন ফুরাল কী কষ্টে হৃদয় হলো মূর্তি।
মোড়লের আজব কারবার মন যোগাবে জনতার
উল্টাপাল্টা বারং বার ব্যক্তিকে দেই প্রতিশ্রুতি
মোড়লের যত ধ্যান-ধর্ম জনসেবায় মহৎ কর্ম
প্রতিশ্রুতি রাখবে মোড়ল জনতার মান অনন্ত।
নিত্য দেই প্রতিশ্রুতি আমরা ক’জন পালন করি
আসুন আজ পণ করি ভাবনা চিন্তার প্রতিশ্রুতি।
২৬-০৩-২০১৭
রাত ১১.২৩

এম এ বাসেত সম্পর্কে

সাংবাদিক এম.এ. বাসেত গত ১৯৮৫ খ্রি. তেঁতুলিয়া সদরের বারঘরিয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মো. নিজাম উদ্দিন, মাতার নাম মোছা. আয়েশা খাতুন। পরিবারে ৬ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি সপ্তম। শৈশবে তেঁতুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি পাসের পর কালান্দিগঞ্জ ফাযিল মাদরাসা থেকে দাখিল/এসএসসি সমান বোর্ড পরীক্ষায় ১৯৯৯ খ্রি. দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ২০০৩ খ্রি. তেঁতুলিয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচ.এস.সি বোর্ড পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ পেয়ে সাফল্যের সংগে উত্তীর্ণ হন। ২০০৭ খ্রি. সালে মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ পঞ্চগড় (পঞ্চগড় এম আর কলেজ) থেকে ইতিহাস বিভাগে বিএ (অনার্স) পরীক্ষায় ২য় শ্রেণিতে এবং ২০০৮ খ্রি. রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে মার্স্টাস ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি শৈশবে কবিতা ও ছোট গল্প লিখার মধ্যে দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ২০০০ সালে দিনাজপুর জেলার পাবর্তীপুর উপজেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক উত্তরের আলো পত্রিকার মাধ্যমে মফস্বল সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সাল থেকে দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে অদ্যাবধি কাজ করে আসছেন। এছাড়া ২০০৪ সালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছেন। তিনি দৈনিক করতোয়া পত্রিকার উপসম্পাদকীয় পাতায় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখে আসছেন। ইতোমধ্যে তাঁর অর্ধশতাধিক কলাম প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থ মেলায়, শিক্ষা তথ্য পাবলিকেসন্স থেকে তাঁর লিখা ‘‘ লাল সবুজের পতাকা হাতে যুদ্ধা ফিরে ঘরে” এবং ”স্মৃতির কাছে’’ নামে দুটি কাব্যগ্রন্থ বই প্রকাশ হয়েছে। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ঋণ সহায়তা নিয়ে ২০০১ সালে তেঁতুলিয়া উপজেলায় জেনুইন কম্পিউটার কমপ্লেক্স নামে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার চালু করেন। পরবর্তীতে উক্ত ট্রেনিং সেন্টারটিকে বাংলাদেশ কম্পিউটার এডুকেশন (বিসিই) তেঁতুলিয়া শাখা হিসেবে রুপান্তর করেন এবং পরিচালক ও ট্রেইনার হিসেবে বেকার-যুবক/যুব মহিলা ও ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মনির্ভরশীল প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তিনি ২০০৪ সালে পঞ্চগড় জেলার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

4 thoughts on “প্রতিশ্রুতি

  1. এভাবেই চলে। সঠিক বাস্তবতাকে তুলে এনেছেন প্রিয় বাসেত ভাই।
    শুভ সকাল। :)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।