হুনছো ঘটনা! আমি হালায় পুরা তব্দা খায়া গেছি। আফজলের ফার্মাসীতে আড্ডা দিতাছি। এশার জামাত পইড়া মন্নাফ হাজী আইলো। আড্ডা দিলো। হাকিমপুরী জর্দা দিয়া পান খিলাইলো। ফজরের ওয়াক্তে জানলাম মইরা গেছে।
পঞ্চাতের গোরস্তান। আমি, পান্নু, সাপু, আলম, তাইজু কব্বর খুদতাছি। তারাতারি কব্বর না দিলে মুর্দার আজাব অয়। জোহরের পরে দাফন।
১২টার মৈদ্যে কব্বর খুদা শ্যাষ। কব্বর থেকা য্যান রোশনাই বাইড়াইতাছে। মন্নাফ হাজীর আমল বালা।
আলি বেপারী গোরস্তানেই চা আর বাখরখানি পাঠাইছে। খাইতাছি আর বাতচিত করতাছি। আচমকা পান্নু হালায় কয় “চাচ্চা, জীবনে এত্ত সোন্দর কব্বর খুদি নাই। একটু হুয়া দেহি কিমুন লাগে! নসীবে আল্লাহ কিমুন কব্বর রাখছে কে জানে!! ”
পান্নু কব্বরে হুয়া ঘুম দিতাছে। তাইজু কইলো, “মাম্মা, কব্বরে হুইয়া পোংটামি করিছনা, উইঠা আয়।” মাগার পান্নু আর উইঠা আইলোনা।
আফসোস, মরনের আগে পান্নু হালায় জাইনা যাইতে পারলোনা সোন্দর কব্বরটা অর নসীবে আছিলো, হাজী সাবের নসীবে না।
#অণুগল্প
অসাধারণ অণুগল্প।
ধন্যবাদ আজাদ ভাই।
এটা কি হুনাইলেন বস, পান্নুরে মাইরা ফেলালেন, পান্নু তো ফাযলামী করতাছিল,,,,,ও যদি কাঁদতে কাঁদতে কবর থেইকা উঠে আসতো এমন সময় মুন্নাফ হাজির লাশ জানাযা শেষে আইয়া পরল,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
হ মান্নান ভাই। যা কইছি তো কইছিই।
বুঝতে বুঝতে শেষতক বুঝে নিলাম হরবোলা ভাই।
এইতো ভালো পাঠক। ধন্যবাদ সুমন ভাই।
কব্বর থেকা য্যান রোশনাই বাইড়াইতাছে। মন্নাফ হাজীর আমল বালা।
ঠিক কইছেন সৌমিত্র ভাই।
ইন্টারেস্টিং।
জ্বী।
অভূতপূর্ব।
ধন্যবাদ।
ব্লগে কবিতা সন্ত্রাসের ভীড়ে এরকম সুন্দর শব্দমালার গল্পের খুব বেশী প্রয়োজন
সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে হবে। কথা দিলাম নিয়মিত পাইবেন স্বপ্ন ভাই।