আমাদের এই নিস্তরঙ্গ জীবন হতে চলো পালাই, চলো ফের লং ড্রাইভে যাই। আলমারিতে রেখে যাই সকল উত্তাপহীন স্পর্শ, বিমর্ষ চুম্বন, মেয়াদত্তীর্ণ আলিঙ্গন। আলমারিতে রেখে যাই- স্মৃতি ও বিস্মৃতি, প্রণয় ও বিভ্রম, পিতার ওম ওম চাদর এবং মায়ের শাসন।
এক্সেলেটারে চাপ, স্পিডমিটারে উদ্দাম কাটা- ৮০.. ১০০… ১২০..১৪০.. ১৬০..। আমাদের সব ‘দুজনে দেখা হলো মধুযামিনীতে”… আমাদের সব “জানি জানি তুমি এসেছো এ পথে মনেরও ভুলে”… আমাদের ক্রন্দন জুড়ে ‘আর তো হলো না দেখা জগতে দোহে একা…।”
পথ যায়না কোথাও, পথ স্থির। বৃক্ষ বেড়ে ওঠে একা, সাবলীল। শুধু আমাদের চাই পেরুনোর পথ, পথের শেষ। আমাদের চাই বেড়ে ওঠা, বড় হবার তাগিদ। আমাদের চাই প্রতিদিন নতুন রোদ, জোছনার আস্তরণ। সব চাওয়া জুড়ে সময় বাজায় হাহাকার।
আমাদের এই নিস্তরঙ্গ জীবন হতে চলো পালাই, চলো ফের লং ড্রাইভে যাই, যদিও জানি আলমারির তালা ভেঙে ছায়ার মত সাথে সাথে আসবে সব, আসুক। পালানো যখন মূল লক্ষ্য- চলো সম্মিলিতভাবে পালাই। আলগোছে রেখে যাই সংঘাত, রাষ্ট্রের সকল অসভ্যতা ও সন্ত্রাস।
রাষ্ট্রের মৃত্যুতে শোক করার ঢের লোক আছে, আমাদের কেউ নেই, চলো পালাই।
আমাদের চাই পেরুনোর পথ, পথের শেষ। আমাদের চাই বেড়ে ওঠা, বড় হবার তাগিদ। আমাদের চাই প্রতিদিন নতুন রোদ, জোছনার আস্তরণ।
আলগোছে রেখে যাই সংঘাত, রাষ্ট্রের সকল অসভ্যতা ও সন্ত্রাস।
অভিনন্দন কবি হরবোলা আবু সাঈদ আহমেদ ভাই।
আলগোছে রেখে যাই সংঘাত, রাষ্ট্রের সকল অসভ্যতা ও সন্ত্রাস।
আমাদের চাই পেরুনোর পথ, পথের শেষ।
আলগোছে রেখে যাই সংঘাত, রাষ্ট্রের সকল অসভ্যতা ও সন্ত্রাস।
আমাদের এই নিস্তরঙ্গ জীবন হতে চলো পালাই।
আলগোছে রেখে যাই সংঘাত, রাষ্ট্রের সকল অসভ্যতা ও সন্ত্রাস।
চলো পালাই! আর ভাল্লাগেনা!
আলগোছে রেখে যাই সংঘাত, রাষ্ট্রের সকল অসভ্যতা ও সন্ত্রাস।
সুচি শুদ্ধ হোক ধরণীতল শুভকামনা
আলগোছে রেখে যাই সংঘাত, রাষ্ট্রের সকল অসভ্যতা ও সন্ত্রাস।
রাষ্ট্রের মৃত্যুতে শোক করার ঢের লোক আছে, আমাদের কেউ নেই, চলো পালাই।
সে এক অসহ্য বয়স ছিলো আমাদের।