ঠাণ্ডা মেয়েটা
ঠাণ্ডা মেয়েটা বহু পেরেশানির পরে
একটু স্থিত হতে চেয়েছিল
গেরস্থের ঘরে হতে চেয়েছিল ক’দিনের মেহমান
তেমন কোন চাওয়া ছিল না
কোন রকম জোরাজুরিও করেনি
ঝঞ্ঝাট সময়ের তাড়ায় অতিষ্ঠ
নিঝঞ্ঝাট কিয়ৎক্ষণ বসতে চেয়েছিল
শান্ত সমাহিত দীঘির মত কাটাতে
চেয়েছিল পক্ষকাল
জিপসি কন্যার মতো এ ঘাট ও ঘাট
করতে করতে ক্লান্তি নেমেছিল
দুচোখ জুড়ে, একটু অবসরের লিপ্সা
তাকে ঘরমুখি করেছিল
গেরস্থের দরজার ফাঁক দিয়ে
চুপি চুপি ঢুকে
খাটের নীচে, কাবার্ডের আড়ালে
তোষকের তুলায়
জুতোর বাক্সে
এমনকি লকারের অন্ধকারে
নিজেকে আড়াল করেছিল
কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি
নির্দয় গেরস্থ ঠিকই টের পেয়ে গেছে
ঠাণ্ডার অমন সৌকুমার্য মুখাবয়বও
ভুলাতে পারেনি গেরস্থের পাষাণ হৃদয়
দারুণ কাঠিন্য দেখিয়ে সে লেলিয়ে দিয়েছে
ইলেকট্রিক হিটার
ঠাণ্ডা পালিয়েছে, কিন্তু যাওয়ার প্রাক্কালে
অভিশাপ দিয়ে গেছে
ঠাণ্ডার ছোঁয়াচ থেকে কেউ রক্ষা পাবে না
কেউ রক্ষা পায় নি, সর্দি কাশিতে
ব্যতিব্যস্ত গেরস্থের পুরো পরিবার
বরাবরের মতো স্নিগ্ধ একটি পরিবেশনা। মুগ্ধ হতে হয় এমন লিখায়। অভিনন্দন কবি।
অসাধারণ মানের কবিতা। কেন যে আপনার লিখা নিয়মিত পাই না জানি না।
আপনার লেখায় অসাধারণ স্নিগ্ধতা লক্ষ্য করি। আমার ভীষণ প্রিয়। শুভেচ্ছা জানবেন কবি দা।
আমার কাছে ভালো লেগেছে লেখার স্টাইল।
ভালো কবিতা।