জলাতঙ্ক বনাম ইভটিজিং
ইভটিজিং একটা মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মহামারীর রূপ নিচ্ছে। এর থেকে সত্বর প্রতিকার পেতে হবে। কিন্তু উপায় কি, ইভটিজিং কিভাবে নির্মূল করা যাবে!
জলাতঙ্ক বলে একটা রোগের নাম ছোট বেলায় শুনতাম, কুকুর বাহিত রোগ। কুকুর দেখলে ভয় এবং আতংকে অন্তরাত্মা বেড়িয়ে আসতো। পাগলা কুকুর জলাতঙ্ক ছড়ায় কিন্তু কোন কুকুর পাগল এবং কোনটা পাড়ার পোষা নেড়ি দেখে ঠাওর করতে পারতাম না বলে কুকুর দেখলেই উল্টো দিকে দৌড় দিতাম।
জলাতঙ্কের সাথে ইভটিজিং এর কিছু সাদৃশ্য আছে অর্থাৎ দুটোই অস্বাভাবিকতায় ঘটে, রেবিস ভাইরাস কুকুরকে আক্রমণ করে ক্রমান্বয়ে জলাতঙ্কে রূপ নেয়, এসময় কুকুর তার স্বাভাবিক প্রবাহ ভুলে যায়। তার আচরণ মারমুখো এবং অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। সে যে কাউকে কামড়ে দিতে উদ্যত হয়। ইভটিজিং এর রাসায়নিক গবেষণা হলে আমি নিশ্চিত আক্রান্তের শরীরে রেবিস ভাইরাসের জিনোম পাওয়া যাবে, এ রোগের আক্রান্তরাও স্বাভাবিক জীবনাচারণ ভুলে যায়, সভ্য কিংবা শুদ্ধ চিন্তা এদের জন্য রহিত হয়ে যায়। কুকুরের মতো এরাও কাউকে কামড়ে দিতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। কামড়ে উপশম হবে এই চিন্তায় এরা সমাজ, সামাজিকতার তোয়াক্কা করা ছেড়ে দেয়।
জলাতঙ্কের আতংক এখন অনেকাংশে কমে এসেছে। এ রোগের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ত্বরিত সিদ্ধান্তে আক্রান্ত কুকুরকে নির্মূল করা হয়েছে অর্থাৎ পাগলা কুকুর যেন জলাতঙ্ক ছড়িয়ে বেড়াতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে কুকুরকে গুলি করে কিংবা অন্য প্রক্রিয়ায় হত্যা করা হয়েছে। ফাঁকফোকরে হয়তো দুয়েকটা আক্রান্ত রয়ে গেছে কিন্তু এতে সমাজ তেমনভাবে আর প্রভাবিত হচ্ছে না।
ইভটিজিং নির্মূলে জলাতঙ্কের মতো ত্বরিত সিদ্ধান্ত নেয়ার এখনই সময়। এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত না নেয়া গেলে ইভটিজার কুকুরেরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এদের এখনই থামাতে হবে।
চারপেয়ে কুকুরদের নির্মূল করা সহজ কিন্তু দু’পেয়ে কুকুরদের প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা সভ্য সমাজে কিছুটা অসুবিধার কারণ হতে পারে সে জন্যই প্রয়োজন ত্বরিত সিদ্ধান্তের। এই পশুদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
একজন নারীর জন্য সবচেয়ে অপমানের বিষয় হচ্ছে লিঙ্গের কারণে নিগৃহীত হওয়া। আজকের ইভটিজার কালকের ধর্ষক কিংবা খুনি। নারী তথা মানবের সম্মান সমুন্নত রাখতে এখনই ইভটিজিং নির্মূল করা হউক!
ইভটিজিং নির্মূলে জলাতঙ্কের মতো ত্বরিত সিদ্ধান্ত নেয়ার এখনই সময়। এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত না নেয়া গেলে ইভটিজার কুকুরেরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এদের এখনই থামাতে হবে।
আজকের ইভটিজার কালকের ধর্ষক কিংবা খুনি। নারী তথা মানবের সম্মান সমুন্নত রাখতে এখনই ইভটিজিং নির্মূল করা হউক! একদম সত্য বলেছেন আবু মকসুদ ভাই। একমত।
সহমত পোষন করছি ভাই।
দারুণ কম্পেয়ারিজম। ইভটিজিংকে না বলি।
ইভটিজার কুকুরেরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে ওদের এখনই থামাতে হবে।
একমত।
আজকের ইভটিজার কালকের ধর্ষক কিংবা খুনি।
আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এসব।যুব সমাজকে যথাযথ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অবক্ষয় সমাজে,ভোগবাদী সমাজে মানুষের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য হচ্ছে না তার প্রাপ্তি।মাদকের প্রভাব ও বাড়ছে।সম্মান করছে না কাউকে।এরকম সমাজে ইভটিজিং ধর্ষন বাড়ছে।শাস্তির পাশাপাশি সমাজ রিফর্ম করা দরকার