‘জগতের আনন্দযজ্ঞে‘ লিখে থামলাম, আনন্দ খুঁজতে থাকলাম… আমার মেয়ের বন্ধু ফোন করেছে, ওর বাবা করোনা আক্রান্ত, গত কয়েকদিন ধরে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে… ডাক্তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃত্রিম শ্বাসের অবসান ঘটাবে, কারণ ফিরে আসায় সম্ভাবন শূন্য…
গত তিন সপ্তাহ ধরে ছেলে-মেয়েরা বাবাকে দেখতে পারেনি, করোনা ওয়ার্ডে দেখাসাক্ষাৎ নিষেধ… যেহেতু ডাক্তার কৃত্রিম শ্বাসের যন্ত্র বন্ধ করে ফেলবে তাই শেষবারের মত বাবাকে দেখার অনুমতি দিয়েছে… বাচ্চারা দ্বিধান্বিত দেখা করতে যাবে কি যাবে না, দ্বিধার কারণ তাদের মা গুরুতর অসুস্থ, যেসব কারণে করোনা রোগীর অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করে তার কিছু উপসর্গ তাদের মায়ের আছে, বিশেষ করে শ্বাস কষ্ট এবং ডায়াবেটিক… সব ধরণের নিরাপত্তা সরঞ্জাম পড়েও করোনা মুক্ত থাকা যাচ্ছে না, এ অবস্থায় বাবাকে দেখতে যাওয়া মায়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে…
আমার মেয়ের বন্ধু মেয়ের কাছে পরামর্শের জন্য ফোন করেছে, মেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছে…
শেষ মুহূর্তে বাবাকে দেখতে যাওয়া ঠিক কিনা, আমি দ্বিধান্বিত… আমি বড়দিনকে আনন্দের উৎস ভাবতে চাচ্ছিলাম, দেখতে চাচ্ছিলাম যীশু পুনরুত্থিত হচ্ছেন… অশুভ পালাচ্ছে, করোনা পালাচ্ছে…
(সাহস সঞ্চয় করে ছেলে-মেয়েরা বাবাকে দেখে এসেছে, মা আল্লাহর ইচ্ছাকে মেতে নিতে রাজি হয়েছেন… তারা মানসিক ভাবে প্রস্তুত, আগামীকাল একটা ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে…)
শুভ নববর্ষ প্রিয় কবি আবু মকসুদ ভাই। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন। শুভেচ্ছা।
নতুন বছর হোক চাঁদের আলোর মতোই শুভ্র, সুন্দর…
আপনাদের সুস্থতা কামনা করি।
হ্যাপি নিউ ইয়ার……. ২০২১ ❤️❤️❤️