বর্ধিত চুম্বন

জগৎসংসার একপেশে লাগছে;
যে সবুজ বৃক্ষ একসময়
সুখ নিদ্রায় ছায়া হয়ে থাকতো;
বিবর্ণ হয়ে গেছে;
পাশে গেলে আগের সজীবতা
অনুভূত হয় না। প্রবাহিত নদী
গেছে শুকিয়ে, দুর্বার যৌবন
ভাটা পড়েছে। প্রতিটি দিন ছিল
সম্ভাবনার, প্রতিটি ভোরে দিগন্তের
ডাকে উড়াল দিতাম।
দিগন্ত এখন ধূসর। উড়ালপুরের ডাক
আগের মত আলোড়ন তুলে না।

মরে গেছে জীবনের রঙ; ফ্যাকাসে
দিনের পরে আসে নির্জীব রাত।
থেমে গেছে কোলাহল, থমকে
গেছে চলার ইচ্ছা। জীবনকে আর
গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে পারছি না।

জলের কাছাকাছি থাকবো বলে
একদিন পরিখা খুঁড়েছিলাম।
জলমগ্ন সময় শেষে
অসংখ্যবার পায়রা উড়িয়েছি।
স্বাধীন সত্ত্বার কাছে ভিড়তে
দেইনি অন্য কিছুকে। জীবনকে
জীবনের মত উপভোগ করতে
রঙের বাজারে দোকান খুলেছিলাম।

দোকান ঠিকই আছে; মরে গেছে
ভিতরের রঙ। পুনরায় রাঙাবো
উৎসাহ জাগে না। বিধ্বংসী চিন্তা
মাথায় ভর করে। আত্মবিনাশে
উপশম হতে পারে।

যখন নিভে গেছে রঙ, রাত্রি ছেয়ে
আসছে, পাণ্ডুলিপির প্রয়োজনীয়তা
ফুরিয়ে। যখন স্থবির সময়কে বর্ধিত করার
ইচ্ছা জাগছে না; তুমি এসে দাঁড়ালে।

বর্ধিত চুমু জীবন চাগিয়ে দিল
আত্মহননের চিন্তা পুনঃ বিবেচনায় বাধ্য করল।
এই যাত্রা বেঁচে গেলাম, একটি চুম্বন
মৃত্যুর চেয়ে শক্তিশালী হয়ে দেখা দিল।

1 thought on “বর্ধিত চুম্বন

  1. শুভ কামনা প্রিয় কবি প্রিয় আবু মকসুদ ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।