সীতেশের প্রেমিকা সমাচার

সীতেশ যখন বলল আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। আমি বললাম ‘যা ব্যাটা ঝুলে পড়’। সে অবিশ্বাসের চোখে তাকালো, আমি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু; কোথায় সমবেদনা দেখাব উল্টা আত্মহত্যার উস্কানি দিচ্ছি।
আমি বললাম ‘তুই মরে যা’, ‘ব্যাটা লাড়কি তোকে ছেড়ে অন্যের গলে মালা পড়িয়েছে তোর মরে যাওয়া উচিৎ’।

শিখার সাথে সাড়ে উনচল্লিশ দিনের প্রেম শেষমেশ বিয়েতে গড়াল, অবশ্য সীতেশের সাথে নয় নিতাইয়ের সাথে। বিয়ের আগ পর্যন্ত সীতেশ জানতো না শিখা দুই ডাল থেকেই পেড়ে খাচ্ছে। নিতাই জুয়েলারির মালিক; গয়নার কমতি রাখবে না বলে ওয়াদা করেছে, শিখা তাতেই কুপোকাত।

সীতেশের আত্মহত্যার খায়েশ নতুন নয় শিখার আগে যার সাথে প্রেম ছিল সে ছেড়ে যাওয়ায়ও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। সেই মেয়ের নাম ছিল নুপুর। বলাবাহুল্য নুপুর এখন আমার প্রেমিকা, সীতেশের এটা অজানা। নুপুরের আগে দীপা, দীপার আগে টিঙ্কু।

সীতেশের প্রেমিকা বেশিদিন টেকে না তাতে কি; ছেড়ে গেলে কিছুদিন মনমরা থাকে ঠিক কিন্তু নতুন জোসে প্রেমিকা যোগারে লেগে যায়। শিখার বিয়ের তৃতীয় দিনই সীতেশ নতুন প্রেমিকা যোগার করে ফেললো।

আমার কাছে নতুন প্রেমিকার গুণগান করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে, আমি বললাম ‘তুই না শিখার জন্য আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলি’। সেই কথায় আমার উপর কি রাগ, জীবনে আর মুখ দর্শন করবে না।

তেরোদিন পরে পুনরায়; দোস্ত এবার সত্যি সত্যি মরে যাব, বুঝলাম এই প্রেমিকাও তাকে ডাম্প করেছে।

2 thoughts on “সীতেশের প্রেমিকা সমাচার

  1. ভালো লিখা। শুভেচ্ছা প্রিয় কবি প্রিয় আবু মকসুদ ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।