জীবন চক্র

জয়ত্রী জয়ের প্রেম প্রত্যাখ্যান করেছে। জয় শেষ পর্যন্ত জয়ী হতে পারেনি। জয়ত্রীর ধারণা পরাজিতরা সারা জীবন পরাজিত থেকে যায়। অকেজো কেউ ঘাড়ে চাপলে তাকে কেজো বানানো প্রায় অসম্ভব। জয়ত্রী দ্রুততর মানবী; দৌড়ে তাকে এখন পর্যন্ত কেউ হারাতে পারেনি। তার চাই দ্রুত বাহন; যে নিমিষেই দিগন্ত পার করিয়ে দেবে। জয়ের মধ্যে সেই স্পৃহা দেখতে পাচ্ছে না। কলেজের সামান্য দৌড়; এখানেই কোয়ালিফাইড হতে পারল না।

পনের বছর পরের কথা। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। জয়তীকে রাস্তা পেরুতে হবে কিন্তু স্ক্রাচে ভর দিয়ে রাস্তা পেরানো অসম্ভবই মনে হচ্ছে। এগিয়ে এলো জয়। তার হাতের ইশারায় থেমে গেল দুপাশের সমস্ত চলাচল। জয়ত্রী নির্বিঘ্নে রাস্তা পেরুলো। অপর পারে পৌঁছে কিছুক্ষণ জয়ের কথা ভাবলো। বুকে সুক্ষ্ম ব্যথা অনুভূত হচ্ছে বুঝতে পারল।

1 thought on “জীবন চক্র

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।