‘অনেক প্রহর নিঃসঙ্গ
সাঁওতালি গানের সুরে,
কাটিয়ে দিলাম তোমায় ভেবে
ঝাউ মহুয়ার বনে’
– তপনের মায়াবী কন্ঠের সুরলহরী ভেসে চলেছে বদ্ধ কেবিনের যান্ত্রিক শীতল বাতাসে। এখন লাঞ্চ টাইম। খেতে ইচ্ছে করছে না। কি মনে করে গান শুনতে ইচ্ছে হল।
এই তুমিটা কে?
যাকে উদ্দেশ্য করে শিল্পী গেয়ে চলেছেন? শ্রোতার মনে এই গানটি শুনলেই প্রথম যে অনুভূতি জেগে উঠে তা হল- একটি নির্জন দুপুরে অপেক্ষার প্রহরগুলো বুকে নিয়ে কেউ একজন, কারো আসার মুহুর্তপানে চেয়ে আছে… তীব্র তীক্ষ্ণ অনুভবে। এক ফরেস্ট হীল ভালোলাগা কারো পদভারে মূর্ত হবে বিষন্ন ঘোরলাগা ভালোবাসায়।
এমন কেউ কি শিহাবের রয়েছে?
হ্যা! আছে তো।
কল্পনায় এবং বাস্তবেও। তবে তাঁরা দুজন কি একজন – এই ব্যাপারটি শিহাব ভাবতে গেলে কেমন তালগোল পাকিয়ে ফেলে।
মাথার দুই পাশে দুই বেনী ঝুলিয়ে যে মেয়েটি চৌদ্দ বছর আগে বেনী ঝুলানোর আনন্দ দিয়ে শিহাবকে প্রগলভ করে তুলেছিল, কদাচিৎ সে কল্পনায় কাছে আসে। কল্পনার সেই মেয়েটির কোনো নির্দিষ্ট অবয়ব নেই। সেদিন কবি রুকসানা হকের একটি কবিতা পড়েছিল। চমৎকার সেই কবিতাটিতে যেন শিহাবের সেই মেয়েটির বর্ণনাই ছিল…
” তোমাকে রাখতে চাই না মেঘ ভালবাসায় খোদার কসম,
স্নানের শেষে ভেজা চুলে যদিও বা লেগে থাকে
তোমার চোখের কাঁপন, তবুও
রাখতে চাই না তোমায় জল করে চুলের ভেতর।
স্মৃতির মত করে তোমাকে ঘাটতে চাই না আর
তুমি না হয় থাকলে আমার একচিলতে দুঃখময় আকাশ হয়ে।”
হ্যা! শিহাবের জন্য ঐ আবছায়া মুখটি একচিলতে দুঃখময় আকাশ ই এখন… তখন… সবসময়!
রুমু হল ওর দুই বেনীওয়ালা সেই জন যে আনন্দ সাগরে প্রশান্ত ঢেউয়ের মাঝে নিজেকে খুঁজে ফেরায় শিহাবের সহচরী। এভাবেই কেটে চলেছে নিরন্তর সময়গুলো।
দুই মেয়েকে নিয়ে রুমু অন্য শহরে থাকে।
শিহাব আরেক শহরে। ইচ্ছে করে নয়। জীবিকার প্রয়োজনে আজ এই দূরত্ব। মাসে দু’বার একদিনের জন্য ছুটি নিয়ে এলে রুমুর সংসারটিতে এক অনানুষ্ঠানিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। বাবা-মা-কন্যাদের হাসি-আনন্দ দুঃখ-বেদনার মুহুর্মুহু কিছু আনন্দ-মধুর প্রহর কখন যে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে শেষ হয়ে যায়! কেউই টের পায় না। এভাবে অনুভব করাও যায় না।
একটু আগে বসের রুম থেকে এসেছে। মনটা প্রচন্ড খারাপ লাগায় আক্রান্ত। এই মানুষটির রুমে ডাক পড়া মানেই হৃদয়ে কিছু অশান্তির জায়গা করে দেয়া… নিকষ কালো কিছু মুহুর্তকে ঘিরে বার বার বেদনায় পাক খাওয়া।
আসলে ইমিডিয়েট বসের সাথে সম্পর্ক ভালো না থাকলে সেখানে চাকরি করে শান্তি নেই। এটি শিহাবের পঞ্চম চাকুরি। বিগত চৌদ্দটি বছরে এর আগে চারবার অফিস বদল করেছে। প্রতিবারই সেই একই কাহিনী। বস ভালো না…
রুমু কিছু জিজ্ঞেস না করলেও অন্যান্য আত্মীয়রা প্রতিবার চাকরি ছেড়ে দেবার পরই নিরবে ওকে যেন জিজ্ঞেস করে, ‘ হুম… শুধু তুমি ই ভালো, তাই না?’ সবার অনুচ্চারিত প্রশ্নবোধক চোখের চাহনি দেখে দেখে শিহাবের কাছে তাই ই মনে হয়।
শেষবার রুমু শুধু বলেছিল, ‘ এভাবে আর কত? মেয়েরা বড় হচ্ছে। তুমি একটু কষ্ট করে…’
রুমু এরকমই। কথা শেষ করে না। অনুভূতিগুলো কেন জানি শিহাবের সামনে কখনোই পুর্ণতা পায় না। কিন্তু কিভাবে যেন শিহাব সেটা বুঝে যায়। তাইতো আজ চার বছর ধরে একই অফিসে রয়েছে সে। এটা একটা ‘ওয়ার্ল্ড রেকর্ড!!’ ‘গিনেজ বুক অভ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ এ ব্যাপারটি স্থান পাবার মতই।
ভাবনা চিন্তার এই পর্যায়ে এসে শিহাব হাসে।
হ্যা, হাসির ভিতরেই আসল শিহাব লুকিয়ে থাকে। কিন্তু এরকম মুহুর্ত ওর জীবনে খুব কমই আসে। নিজেকে তাই আসল রূপে দেখাটা খুব অল্পই হয়ে থাকে শিহাবের।
রুমুর চাওয়াতেই আজ এতগুলো বছর একই অফিসে কাটাচ্ছে। যখনই ভাবে, ‘ধুত্তুরি, ছেড়ে দিচ্ছি না কেন?’ তখনই চোখের সামনে দুই বেনীওয়ালা একটি মুখ ওকে বলে,’ তুমি একটু কষ্ট করে…’ এরপর আর কিছুই করার থাকে না শিহাবের।
সকল অপমান তিরষ্কার বেমালুম হজম করে যায়।
আসলেই কি হজম হয়?
এখন সময় এমনই খারাপ যে নতুন করে একটা চাকরি খুঁজে পাওয়াটাই খুব কষ্টসাধ্য। প্রথমতঃ শিহাবের বয়সের ব্যাপারটি। এরপরে রয়েছে যে ট্রাকে শিহাব জব করে, সেখানে কিভাবে যেন একে অন্যের সাথে ‘লিংকড’। এই তো সেদিন এক বায়ার কিউ.সি এসে ওকে দেখেই বললেন,’ আরে, শিহাব সাহেব যে। এখানে কতদিন?’ তার হাসিমুখের আড়ালে প্রচ্ছন্ন ব্যঙ্গটুকু শিহাবের নজর এড়ালো না। সেদিনই বসের কেবিনে যথারীতি ডাক পড়ে ওর। আগের ফ্যাক্টরীর কিছু অনাকাংখিত মুহুর্তকে আবারো নতুন ভাবে নতুন করে কিছুটা রং মাখানো অবস্থায় বসের মুখ দিয়ে শুনতে হয়।
বস মানুষটি কেমন?
সকল বস-ই কি এমন ? শিহাব ভাবে। এই মানুষটির সামনে গেলে ইদানিং কেমন এক ভয়ই কাজ করে ওর ভেতরে। ভয় লজ্জার… অপমানের… চাকুরির অনিশ্চয়তার… আরো অনেক বোধের অবোধ্য কিছু কারণ রয়েছে। সেগুলো নিজের মনে নিজে অনুভব করা যায়। ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কষ্টকর অনেক কথাই শিহাবের হৃদয়ে জমে আছে। কিন্তু কি লাভ সেগুলোকে ভেবে আরো কষ্ট পাবার?
এখন খুবই দুঃসময়। দেশের অবস্থা খারাপ। প্রতিটি পরিবার চরম আতংকে ভুগছে। এর ভিতরে ইটপাথরের এই নগর জীবনে হুট করে চাকরিটা চলে গেলে ফ্ল্যাট বাসায় রুমুর সংসারের কি অবস্থা হবে ভেবে মাটি কামড়ে শিহাব পড়ে আছে। অসহ্যকর প্রতিটি মুহুর্ত এখন আগের থেকে আরো বেশী তীব্র দহনে ওকে দগ্ধ করে। মাস গেলে এক কাড়ি টাকা হাতে পায়। একদিনেই সকলের ধার দেনায় আর সারা মাস জীবনধারণের উপকরণগুলোর পেছনে কিভাবে যেন শেষ হয়ে যায়। আবারো বাকিতে পথচলা শুরু হয়… আবারো নিষ্ঠুর প্রতিটি মুহুর্তে প্রতিটি নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে মরে যাওয়া…
এর ভিতরেই একচিলতে আনন্দময় আকাশ ছিল শিহাবের অবরুদ্ধ অনুভূতিগুলো অক্ষরে রূপ দিয়ে একটু শান্তি পাওয়া। বেশ কয়েকটি ব্লগে সে লিখে থাকে। তার নিজের নামেই। ফেসবুকভিত্তিক কয়েকটি গ্রুপেও লেখালেখি করে আসছে। তাঁকে না দেখলেও ওর লেখার সুবাদে অনেকের সাথেই হয়েছে সখ্যতা।
আজ সেই আনন্দের আকাশটিও কালো মেঘে ঢেকে গেল!
একটু আগে ওকে বস ডেকেছিলেন। সে ব্লগে লেখে এটা জানতে পেরেছেন। একজন ব্লগারের নির্মম হত্যার ঘটনাটি উল্লেখ করে বললেন,’আপনি লিখুন আর যাই করুন, আপনার জন্য আমাদের কোম্পানি পরবর্তীতে যে কোনো ধরণের তদন্তের সম্মুখীন হোক তা আমরা চাই না। আজ থেকে আপনার লেখালেখি বন্ধ করুন। না হলে চাকরি ছেড়ে অন্য কোথায়ও চলে যান।’
মানুষের কত ধরণের অজ্ঞতা থাকে। ওর নিজের বসকে দেখে শিহাবের সেটাই মনে হল। সে কোনো ধরণের রাজনৈতিক লেখা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় অথবা অপরের চিন্তা-ভাবনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে, এমন লেখা লিখে না। তারপরও ওর বস ‘ব্লগার’ শব্দটির প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত চিন্তা-ভাবনায় তাড়িত হয়ে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিলেন।
দুপুরের খাবার ওর সামনে পড়ে আছে। পেটে ক্ষুধা কিন্তু মনে নেই। মনের খোরাক মেটানোর সেই ‘খাবার’ তো আজ থেকে সে গ্রহন করতে পারবে না।
কি করবে শিহাব?
কি করা উচিত এই মুহুর্তে?
ভাবনাগুলো ক্রমশঃ দিশেহারা করে তোলে শিহাবকে। চরম এক আতংক দুঃসহ সময়কে সাথে নিয়ে ওকে ঘিরে যেন নৃত্য করতে থাকে।
মোবাইলে রিঙ বেজে উঠে।
রুমুর ফোন। রিসিভ করে।
‘হ্যালো!
– হ্যালো! কেমন আছো?
‘ভালো। তুমি কেমন আছো?’
-ভালো। খেয়েছ?
এভাবে একটি কেবিনের ভিতরের একটু আগের দমবদ্ধ পরিবেশ ভালোলাগার একজনের বিনা তারে ভেসে আসা ভালোবাসায় স্বাভাবিক হতে থাকে। শিহাবের ভ্রুর কোঁচকানো রেখাগুলোও একই সাথে সমান হয়। হৃদয়ের প্রতিটি ভালোলাগার কোষে কোষে দোমড়ানো মোচড়ানো কুহকী প্রহরগুলো একটু একটু করে ভাললাগাদের ফিরে আসায় উজ্জীবিত হতে থাকে। তবে এই অনুভূতি থাকবে কিছুক্ষণ।
তারপর?
আবারো একটা ভীতিকর পরিবেশে জীবনযাপনের বোধগুলো অসময়ের ভিতর দিয়ে পরিবাহিত হবে।
তবে শিহাব কেন আরো ভালো একটি জায়গায় নতুনভাবে শুরু করছে না? কিংবা লেখালেখিকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে না?
প্রথমটির সমস্যাগুলো একটু আগেই নিজের মনে ভেবেছে। আর দ্বিতীয়টির উত্তর হল, শিহাব নিজের মনের আনন্দে লেখালেখি করে। তাই পেশা হিসেবে নেবার প্রশ্নই আসে না। আর সে এমনই বা কি লিখে?
আবারো হাসে শিহাব। নিজের মনে এই প্রশ্ন উদয় হওয়াতে একটু কি লজ্জাও পায়?
বসা থেকে উঠে শিহাব।
জানালার কার্টেন সরিয়ে বাইরের খোলা তাজা বাতাসকে প্রবেশের সুযোগ দেয়। জানালার নিচেই একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ। লাল সবুজের একটা গালিচা নিমিষে মনকে ভালোলাগায় আপ্লুত করে তোলে। একটা কবিতা লেখার ইচ্ছে জাগে। কিন্তু নিজের হাতে ইচ্ছেটির গলা টিপে মেরে ফেলে শিহাব। তবে কেন জানি নির্দয় হতে পারে না। একটু আরাম দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। বুকের গভীর থেকে বের হয়ে আসে একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস । নামেই এরা দীর্ঘ। কিন্তু আদতে এগুলো হৃদয়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চাওয়া-পাওয়ার অপমৃত্যুকে ঘিরে জমে থাকা ছোট ছোট অণুশ্বাস। প্রচণ্ড কষ্টকর এবং তীব্র অনুভূতিসম্পন্ন।
কিন্তু আমরা ক’জনই বা এগুলোর খবর রাখি?
আমরা অনেককেই বাইরে থেকে তাদের চাকচিক্য দেখে ধোঁকা খাই। কিন্তু সেই মানুষগুলো তাদের একান্ত অবরুদ্ধ কর্পোরেট জীবনে নিজেদেরকে নিয়ে আসলেই কেমন থাকে কখনো আমরা জানতে পারি না। জানতে চাইও না। এই ইটপাথরের নগর জীবন তাদের ভিতরের সকল রস-কষ নিংড়ে তাদেরকে রোবটে পরিণত করে চলেছে। একটা ‘সিস্টেমেটিক’ জড়বদ্ধতা মানুষগুলোকে ক্রমশঃ বোধহীন বানাবার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এর মাঝ থেকে শিহাবের মত দু’ একজন যা ও বা ফিরে আসতে চেষ্টা করে-অন্যদেরকে ফেরানোর নিরন্তর প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। তাদেরকেও এক সময় থেমে যেতে হয় যে কোনো অনাকাঙ্গখিত কারণে।
নিজের মনের ভিতরের ভয়কে জয় করার আপ্রাণ চেষ্টা চালায় একজন ‘মিড-লেভেলের’ কর্মকর্তা। তবে হয়তো কেবলই একজন কর্মকর্তা হলে সে হয়তো একে জয় করেই ফেলতো। কিন্তু একজন শিহাব যে এক একজন বাবা ও!
একজন শিহাবকে ঘিরে অণুক্ষণ একজন দুই বেনীওয়ালার হরিণী আঁখি নিরবে বলে যায়,’… একটু কষ্ট করে… থাকো না… কিছুদিন।‘
সুদিন কি কিছুদিন পরে? দুই কন্যার হাসিমুখ প্রতি পনের দিন পর, প্রশান্তি বইয়ে দিতে অপেক্ষা করে একজন শিহাবের জন্য। একজন বাবার জন্য।
তাই নিজের হৃদয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র ঝড়-ভয়-ভীতি-অসহায়ত্বকে নিজের মনেই কবর রচনা করে একেবারে শান্ত থাকার চেষ্টা করে শিহাব। এজন্যই একজন রুমুকে কখনোই কিছু জানতে দেয় না সে। অনেক সময় নিজেকেও কিছু জানতে দেয় না। তাই তো প্রচন্ড মন খারাপের সময়ে রুমুর ফোনের, ‘কেমন আছো?’ প্রশ্নের উত্তরে অতি স্বাভাবিক উত্তরটিই চকিতে বের হয়ে আসে,’ ভালো আছি।’ একটুও গলা কাঁপে না। অনুভূতির তারতম্যে হয়তো রুমু বুঝে যাবে সে ভালো নেই।
আসলেই কি রুমুরা কখনো বোঝে?
শিহাবেরা আসলেই কি ভালো থাকে?
(শেষ)
শিহাব চরিত্রটি ঔপন্যাসিক নিবন্ধকার গল্পকার মি. মামুন যেন নিজেরই প্রতিবিম্ব বানিয়েছেন। ভেরি গুড।
সুন্দর বলেছেন ভাইয়া।
গল্পকার চরিত্র চিত্রণে অন্যদের দেখার আগে নিজেকেই দেখেন সাধারণত। এতে করে বাস্তবতার যথার্থ প্রতিফলন সম্ভব হয়।
আপনার অনুপ্রেরণায় সামান্য একজন ফেসবুকার থেকে অল্প অল্প লিখতে শিখেছি আমি।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা আপনার জন্য নিরন্তর।
অসাধারণ প্রিয় গল্প দা। এফবি তে পড়েছি।
ধন্যবাদ রিয়াদি আরো একবার পড়ার জন্য।
শুভেচ্ছা…
মোর ভাবনারে কি হাওয়ায় মাতালো……….
বাউরি বাতাসে ভাবনায় ভেসে বেড়ান প্রিয় খালিদ ভাই।
শুভেচ্ছা সব সময়ের জন্য…
শিহাবরা আপাত ভালো না থাকলেও আপনার লিখন ভালো হয়েছে মহ. আল মামুন।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবিদা। শিহাবরা কখনোই ভালো থাকে না।
আপনি ভালো থাকুন এই কামনা সব সময়ের জন্য।

ঠিকই বলেছেন মামুন ভাই। যে কোন বিখ্যাত উপন্যাস বা লেখকের লেখা প্রথম উপন্যাস লেখক তার যন্ত্রণার বহিপ্রকাশ থেকেই শুরু করে। আর যে কোন গল্পে নিজের বাস্তব সম্পর্ক না থাকলে লেখার গতি আসতে চায়না। আমি নিজেও রেশমি গল্পটা লিখার আগে আমাদের ঝিটকা ঘাটে বেদেদের নৌকার পাশে বসে ওদের সাথে কথা বলে
ওদের জীবন যাত্রা ইত্যাদি প্রায় মাস খানিক প্রত্যক্ষ করে শুরু করেছিলাম।
সহমত পোষনের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় খালিদ ভাই।
ভালো থাকুন সবসময়।