“তেরোই জুলাই কথা দিয়েছিলে আসবে।
সেই মত আমি সাজিয়েছিলাম আকাশে
ব্যস্ত আলোর অজস্র নীল জোনাকি।
সেই মত আমি জানিয়েছিলাম নদীকে প্রস্তুত থেকো,
জলে যেন ছায়া না পড়ে মেঘ বা গাছের।
তেরোই জুলাই এলে না।
জ্বর হয়েছিল? বাড়িতে তো ছিল টেলিফোন
জানালে পারতে। থার্মোমিটার সাজতাম।
নীলিমাকে ছুঁয়ে পাখি হতো পরিতৃপ্ত।” *
জীবনের শুরুতে, এরকম অনেকগুলি তেরোই জুলাই মিস হয়েছিলো শিহাবের কণাকে ঘিরে। ইচ্ছে-অনিচ্ছায় কিংবা কার ভুলে? আজ আর তার স্মরণের কোনো প্রয়োজন দেখে না সে।
এরপর বিস্মৃতির আড়ালে অনেকগুলি বছর… হারানো এক অন্য জীবন! আদৌ সেটা জীবন ছিলো কিনা সে অনেক গবেষণার বিষয় হতে পারে, তাই সেদিকেও যেতে চায় না শিহাব।
তারপর? অপ্রত্যাশিতভাবে একদিন আরেক ভিন্ন প্ল্যাটফরমে আবারও দেখা হলো দু’জনের। হাসলে গালে টোল পড়ত কণার। যদিও সেদিন টোল পড়েছিল, কিন্তু কোথায় সেই হাসিমুখ? অপূর্ব মুখশ্রীর সেই মেয়েটি সেদিন শিহাবের সামনে দাঁড়িয়ে মুখে হাসি ধরে রাখলেও, সেই হাসিটুকু শিহাবের জন্য ছিলো না! সে এখন অন্য কারও জন্য হাসে!
নীলিমাকে ছুঁয়ে পরিতৃপ্তি পেতে, মাত্র একজীবন, অনেক পাখির জন্যই খুবই অল্প সময়।।
_____________________________
#মামুনের_অণুগল্প … কায়া // অণুগল্প ৫৩৮।
* কথোপকথন_২২ঃ পূর্ণেন্দু পত্রী
ছোট হলেও অসামান্য লিখা মহ. আল মামুন ভাই।
ধন্যবাদ কবি দাদা। আপনার প্রেরণা লেখার পাথেয় আমার। ভালো থাকুন সবসময়।

'অপূর্ব মুখশ্রীর সেই মেয়েটি সেদিন শিহাবের সামনে দাঁড়িয়ে মুখে হাসি ধরে রাখলেও, সেই হাসিটুকু শিহাবের জন্য ছিলো না! সে এখন অন্য কারও জন্য হাসে!'
এমন সব লাইন পড়লে মনটা বিষণ্ন হয়ে আসে প্রিয় গল্প দা।
প্রিয় দিদি, লিখতে গিয়ে 'লেখকের' মন পুড়ে ক্ষয়ে ক্ষয়ে গলন্ত মোম হয়ে যায়.. বিষন্নতার চাদরে ঢেকে লেখক শব্দের সাথে শব্দের মিলনে বেশীরভাগ সময়ে কষ্টের প্রতিচ্ছবি ছাড়া আর কোনো দৃশ্যায়ণে সক্ষম হয় না।
ধন্যবাদ আপনাকে।

সুন্দর অণুগল্প।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
পড়লাম।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শিহাব। আমার প্রিয় চরিত্রের রূপায়ণ। শুভেচ্ছা মি. মামুন।
শিহাব আমারও অনেক প্রিয় চরিত্র। ধন্যবাদ এবং আপনাদের জন্যও অনেক শুভেচ্ছা…
