এক পাতা ঝরার দিনে, ধরা হাত শিথিল হয়ে দু’জনের পথ দুটি দিকে বেঁকে যেতেই, প্রশান্ত মহাসাগরীয় হাবুডুবু খাওয়া আর থেকে থেকে অনুভবে তীব্র সাইনাস পেইনে জর্জরিত হওয়ার শুরুটা সেদিন থেকেই।
কাছের সম্পর্কগুলোর মুখোশের আড়ালের চেহারা বড্ড তীব্র ভাবে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে প্রকট হতে দেখে বিমর্ষ হয়েছিল তখন শিহাব।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে একটা ভাবনায়ই অণুক্ষণ ডুবে থেকে ভাবে সে এখনো, ‘পারু এটা একটা কাজ করলো! কিছু বলে গেল না, দু:খগুলোও জেনে গেল না!’
সেই থেকে পারুর শহর অভিমুখী হৃদয়কে উন্মুক্ত ছেড়ে দিয়ে নিজের শহরের স্টেশন মাস্টার, একজন হৃদয়হীন শিহাব অপেক্ষায় থাকে, পারুর হৃদয়ের খবর নিয়ে নিজহৃদয় ফিরে এসে আবার তাকে হৃদয়বান বানাবে! অপেক্ষার প্রহরগুলিতে হৃদয়হীনের শুণ্য গহবরে অনন্ত নীল জোছনা বিরাজ করে!
‘পারু কিছু একটা বলে গেল না, ওরা এমন কেন?’ এক বিষন্ন মাঝরাত শুণ্য এক গহবরে নির্জনতার কুহকী প্রহর বুকে নিয়ে নীল জোছনায় পাক খেতে থাকে..।
“অতন্দ্রিলা,
ঘুমোওনি জানি
তাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়ে
বলি, শোনো,
সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায়
—সূক্ষ্মজাল রাত্রির মশারি—
কত দীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন,
আলাদা নিশ্বাসে—
এতক্ষণে ছায়া-ছায়া পাশে ছুঁই
কী আশ্চর্য দু-জনে দু-জনা—
অতন্দ্রিলা,
হঠাৎ কখন শুভ্র বিছানায় পড়ে জ্যোৎস্না,
দেখি তুমি নেই “। *
_______________________________
* কবিতাঃ রাত্রি, কবিঃ অমিয় চক্রবর্তী
#কিছু_বলে_গেলে_না_মামুনের_অণুগল্প_৫৪২
শিহাব এর গল্পকে আমি আমার গল্প মনে করি। অভিনন্দন মি. মামুন।
জি ভাইয়া, শিহাব ব্যাপারটি জেনে অবশ্যই খুশী হবে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভেচ্ছা…
অণুগল্পটি সুন্দর এসেছে। শুভেচ্ছা আল মামুন ভাই। শুভ সন্ধ্যা।
ধন্যবাদ সুমন ভাই। সাথে থাকার শুভেচ্ছা রইলো।
আপনার অণুগল্প গুলোন অসাধারণ হয় মহ. আল মামুন ভাই। ভালোবাসা।
ধন্যবাদ কবি দাদা। আপনার অনুভব সবসময়েই আমার লেখার প্রের। ভালো থাকুন..
গল্পে কবিতাটি দারুণ যোগ হয়েছে মামুন ভাই।
জি বন্ধু, অমিয় চক্রবর্তী আমার প্রিয় একজন.. ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা..
অপেক্ষার প্রহরগুলিতে হৃদয়হীনের শুণ্য গহবরে অনন্ত নীল জোছনা বিরাজ করে!
এভাবে বেঁচে আছে এখন শিহাব.. ধন্যবাদ রিয়া দিদি গল্পটি পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা…
