গোধূলির গান
সে আমারে দিয়েছিনু গান
স্বযতন ভরে,
আমি তারে দিতে চেয়েছিনু এই মুল্যহীন প্রাণ!
তাহার আপন দুটি কড়ে,
নিলে না সে অবহেলা করে ।
বললে……
কিইবা এমন দিয়েছি তোমায় ?
এ তো নয় একাই তোমার
গেয়েছিনু আনমনে,
যখন তুমি ও ছিলে অন্য সবার সনে ।
আমি শুধু বললেম
সকলই কি শুনেছে সে গান ?
যেমনটি আমি শুনলেম !
–
সময়ের সাথে সবই হয়ে যায় ম্লান
কিন্তু আমার একি হলো !
সুরের লহরী মালা দোলা দিয়ে যায় ক্ষণে ক্ষণে
যখন সে গোধূলি ফুরলো !
দিবা অবসান
রাতের সৌন্দর্য্য যত বাড়ে,
নিদ্রাহীন চক্ষু কর্ণ
খুঁজে খুঁজে ফেরে শুধু তারে ।
–
তারপর বহু যুগ পরে
আজি এ লগন
শুধুই নিজের মাঝে আত্মমগন ।
বৃষ্টি ধারার সনে
শন্ শন্ বায়ু যদি বহে কোন ক্ষণে
চিরচেনা সেই সুর ভেসে আসে কানে
আজিকের কোন এক গানে ।
ঈশান কোণেতে যদি কভু
চমকি বজ্র ধ্বনি হানে,
না পেয়েও পাওয়া সেই হারানোর ব্যথা
দূরু দূরু বেজে ওঠে প্রাণে !
২৬ মে, ২০১৬
প্রথম স্টাঞ্জাটা বেশ ভালভাবেই শুরু করেছেন।
পরের কোন কোন জায়গায় এসে গতি কেটে গেছে। আরেকটু কাজ করলে আমার মনে আরো বেশ দারুন একটা কাজ হবে বলে আমার বিশ্বাস। কিছু বানান বিভ্রাট আছে, সেগুলো ঠিক করে নিলে শুনতে আরো বেশ লাগবে।
শুভেচ্ছা ও ভালবাসা সতত
* আমার মনে হয় আরো দারুন একটা কাজ হবে।
ভেবে চলেছি, কোথায় কি পরিমার্জনা করবার আছে আর ? কোথায় ? কোথায় ? কি ? কি ?
আপনি ঠিকই ধরেছেন। এখানে দুই সময়ের দুইটি ভিন্ন ভাব ও পরিস্থিতির চিত্র বর্ণিত হয়েছে। এটা করা হয়েছে সচেতন ভাবেই। যদিও দুটি ভিন্ন অংশের মধ্যে একটা ছন্দ পতন স্পষ্ট কিন্তু তা শুধু কবিতার ছন্দ পতন নয়, একই সাথে প্রেমিক হৃদয়ের অনুভূতিরও ছন্দ পতন।
*কিছু ভুল বানান সংশোধিত হল। কবিতার ভিন্ন লয়ের অংশ দুটিকেও একটি – চিন্হ দিয়ে আলাদা করা হল পাঠকের বুঝার সুবিধার্থে !
অত্যন্ত সুক্ষ পর্যবেক্ষণের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে !
গোধূলির গান পড়ে মনে মনে এর সুর ভাঁজলাম।
বেশ একটা স্বতন্ত্র চেতনা নিয়ে ব্যাক করেছেন মি. আনিসুর রহমান।
মি. আনু আনোয়ার যেমন সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন; আমি হয়তো তেমনটা পারতাম না … তবে উপলব্ধিটুকু অভিন্ন। মন্তব্যে তিনি দিয়েছেন প্রাণ আর আমি মুগ্ধ পাঠক।
কবিতার প্রথম অংশ স্বপ্নের বা আশার এবং দ্বিতীয় অংশ স্বপ্ন ভঙ্গের বা হতাশার । এই দুই অংশ দুটি ভিন্ন মাত্রার অনুভূতি প্রকাশ করছে। আমার মনে হয় এই দুটি ভিন্ন লয়ের অংশের সামঞ্জস্যহীনতা পাঠককে স্পষ্ট দুটি ভিন্ন অনুভূতি দিবে এবং পাঠক মনে তৈরি করবে একটা দন্দের। যেটা আমারও হয় কবিতাটা জতবার পড়ি ততবার।
আপনাদের দুইজনের মন্তব্যই আমি খুব গুরুত্তের সাথে বিবেচনা করছি এবং বুঝার চেষ্টা করছি এমনটা কেন হলো ? নাকি এটাই ঠিক ?
প্রথম অংশকে যদি নস্টালজিয়া ধরে নেই তবে দ্বিতীয়াংশ হবে তার রেশ।
ঠিক তাই। তবে রেশটা এখানে স্মৃতিকাতরতার সুখে আবিষ্ট না হয়ে স্মৃতি যন্ত্রণা, বিরহ কষ্ট ও একাকিত্বের সুরে বাজছে !
আশা এবং আশা ভঙ্গের দুটি অংশই ভালো লাগল। তবে মনে হয় আর একটু যতন নিলে আরও ভালো হতো ভাই
আমারও তাই মনে হচ্ছে এখন ভাই ! আপনাদের আন্তরিক ও সযত্ন মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই !