শহীদ বুলু খান শহীদ হওয়ার পর বহুবছর পার হয়ে গেছে। তিনি যে শহীদ হয়েছিলেন এ নিয়ে বিতর্ক করার কোন অবকাশ নাই। যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। তাঁর শাহাদাতের পরে তৈয়ার হয় শহীদ বুলু খান মহিলা কলেজ। আরো আছে শহীদ বুলু স্মৃতি সংসদ। স্মৃতি সংসদ প্রতি বছর শহীদ বুলু স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। বিশাল জাঁকঝমকের আয়োজন। শহীদ বুলুর নামে প্রতি বছর টুর্নামেন্টে গোল্ড কাপ দেয়া হয়।
দেশে ভদ্রলোকের সংখ্যা অতি নগণ্য। কিন্তু নিন্দুকের সংখ্যা অতিরিক্ত। নিন্দুকেরা বলে বুলু খান শহীদ হননি চরের জমি দখল করতে গিয়ে মারা গেছেন। চরের ভূমিহীন লোকজন একদিন তাঁকে একলা পেয়ে মেরে বস্তায় ভরে নদীতে চুবিয়ে রাখে। পরে সেই বস্তাও আর নাকি পাওয়া যায়নি। তাই বুলু খানের কোন মাজার করা সম্ভব হয়নি। কলেজ আর স্মৃতি সংসদ সেই অভাব কিঞ্চিত পরিমানে হলেও পূরনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বুলু খান মরার পরে নাকি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিল হারু শেখ। সে সেদিন বাড়ির বড় সাইজের মোরগটি জবাই করে খেয়েছিল, আনন্দে। কারণ এর পূর্বে সে একসপ্তাহ না খেয়ে ছিল। খান সাহেব হারু শেখকে বলেছিল তালগাছ তলের জমিটা তাঁকে লিখে দিতে। টাকা পয়সা নিয়ে খামাখা চিন্তা করতেও নিষেধ করেছিলেন। কারণ তিনি বেইনসাফী নন, তাঁর ইনসাফ আছে। খান সাহেবের মুখের উপর না করা শেখের পো’র পক্ষে সম্ভব ছিল না।
এ বছর হারু শেখের জমিতে ফসল ফলে দারুন। যাকে বলে বাম্পার ফলন। ফসল চুরির ভয়ে রাত্রি বেলা তাঁবু খাটিয়ে ক্ষেতের পাশে পাহারা দেয় শেখের পো। আধাআধি রাত্রির সময়ে হারুর গা চমচম করে উঠে। দেখে তালগাছের আগা থেকে কে যেন লম্বা লম্বা পা ফেলে নেমে আসছে তার তাঁবুর দিকেই। কাছে আসতেই সে পরিষ্কার চিনতে পারে খান সাহেব। হাতে কাগজ-কলম। বললেন, “হারু, তোরে কইছিলাম, জমিটা দিয়া দে। আমার বড় মায়া লাগেরে হারু জমিটার জন্য। ফলন হইছে দারুন। আমি কাগজ কলম নিয়া আসছি। তুই খালি লেইখা দে।”
বেঁহুশ হয়ে পড়ে থাকে হারু। পরদিন লোকে দেখল হারুর নাকের ফুটোতে পিঁপড়ারা বাসা করেছে।
প্রকৃতই এমন অসংখ্য না জানা ঘটনা এই বাংলার মাটিতে ঘটেছে এবং ঘটছে।
আমরা কজনাই বা তার খোঁজ রাখি বা রাখতে পারি !!
সত্য গল্পের বয়ান সত্যের মধেই বসত গাড়ে।
অতিপ্রাকৃত নয়; অতিপ্রাকৃতের মতেই বিশ্বস্ত।
অনেক ধন্যবাদ স্যার সবার আগে এসে উৎসাহিত করেছেন বলে।
ঘটনা আসলে এক অর্থে সত্য। আমি বলতে চেয়েছি, শোষককে নির্বংশ করা কঠিন । যারা শোষণ করে তাদের যদিও বা পরাজিত করতে পারি, অনেক সময় দেখা যায় ফিরে আসে প্রেতাত্মা হয়ে। অনেক সময় দেখা যায় এক শোষকের অবসানে অন্য রূপে অন্য শোষকে আভির্ভাব হয় অথবা পুরনো শোষকই পুনর্জীবিত হয়।
শোষকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম তাই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।
শ্রেণী সংগ্রাম এর আপাত কোন প্রয়োজন দেখি না;
অবিকৃত এইসব শোষকের বিরুদ্ধে সংগ্রামই হোক মুখ্য।
সমাজের বাস্তব চিত্রের বর্ণনা সত্যইতো।
ভাল উপস্থাপনা।
একটা ভূতের গল্প লিখে তার উপর কিছু সামাজিক রঙ মাখিয়ে নিলাম।
ধন্যবাদ স্যার।
রূপক অর্থে চমৎকার গল্প।
মরার পরও নিস্তার নাই এদের হাত থেকে।
আপনার থেকে নতুন গল্প চাই। ভাল থাকুন।
আসলে একটা ভূতের গল্প। আর ভূতই বাস্তবের রূপে ধরা দিয়েছে।
ধন্যবাদ।
সত্য বা মিথ্যা কিনা জানিনা বা জানতে চাইওনা তবে গল্পের পটভুমি অতি বাস্তব। এ দেশের আনাচে কানাচে প্রকাশ্যে অপ্রাকাশ্যে অহরহই এমন ঘটনা শোনা যায়।
ঠিক বলেছেন স্যার।
ভূতের গল্পের মাধ্যমে শোষকের চরিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিবেন।
চমৎকার গল্প।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সাবু ভাই।