আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে ভণ্ডামী ও প্রতারনার বসবাস তা থেকে কোনভাবেই মুক্ত নয় বৈশাখের বর্ষবরণ। আমাদের শিক্ষিত ও সমাজের উপরের তলার মানুষেরাই ভান ও ভণ্ডামীতে আক্রান্ত সর্বাধিক। সেই ভান ও ভণ্ডামী এখন এমন একটা পর্যায়ে এসে পৌছেছে যে সেটা পুরোপুরি ফ্যাসীবাদী রূপ পরিগ্রহ করেছে। আমরা দাবী করি বৈশাখের বর্ষবরণ আমাদের শেকড়ে ফেরার প্রচেষ্টা, আমাদের ঐতিহ্যকে ধারন করা। বাস্তবতা কিন্তু উলটো। বংশ পরম্পরায় আবহমানকাল ধরে পুরুষানুক্রমে যেটা আমাদের নিঃসংকোচ আচরিত সেটাই আমাদের ঐতিহ্য হওয়ার কথা। বিজাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি আমাদের আষ্টে-পৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে তখনি আমরা ফিরে যেতে চাই নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কারের কাছে। যুগ যুগ ধরে আচরিত এই আচরণ এই অভ্যাস এই প্রথা আমাদের রক্তে মিশে আছে। আমরা যখন নিজেদের রক্ত নিজেদের আচরণ ভুলে যাই তখনি আসে শেকড়ে ফেরার কথা।
বাস্তবে শেকড়ে ফেরার চরিত্র বৈশাখে কতটুকু? শেকড়ে ফেরার কিংবা শেকড়ের কোন চরিত্রই এই বৈশাখী বর্ষবরণের উৎসবে আমরা রাখিনি। এখানে তৃণমূল মানুষের আচরিত চিরাচরিত আচারের পরিবর্তে আমরা করেছি একে পরিনত আরোপিত উৎসবের এক ভুল ঐতিহ্যের মহোৎসবে। বর্ষবরনের সবচেয়ে বড় আয়োজন তা হল মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রার শুরু ১৯৮৯ সালে। ঢাকা ইউনিভার্সিটির চারুকলায়। এই শোভাযাত্রাকে আমরা দাবী করি অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব। আমাদের গণমানুষের ঐতিহ্যে কখনোই এই ধরনের শোভাযাত্রার অস্তিত্ব ছিল না। এই শোভাযাত্রার মধ্যে যেমন ঐতিহ্যের কোন সম্পর্ক নাই তেমনি এর অণুষঙ্গের সাথে আমাদের দেশীয় চিরাচরিত কোন ঐতিহ্যের দূরতম সম্পর্ক নাই। এই শোভাযাত্রায় মুখোশ পরি আমরা। আমদের দেশের তৃণমূল মানুষ মুখোশ পরা তো দূরে থাকুক অনেকে মুখোশ দেখেছেন কিনা সে নিয়ে সন্দেহ করার অবকাশ আছে। আমরা কিসের মুখোশ পরি, পেঁচার, ময়ূরের। আরো আছে ভাল্লুক, হনুমান, পেঁচা, অসুর, রাক্ষস-খোক্কস, ডাইনি, পেত্নি। এইগুলার সাথে আমাদের তৃণমূল গণমানুষের কি সম্পর্ক? নিদেন পক্ষে যদি দোয়েলের মুখোশ দেখতাম তাও ভাবতাম ঐতিহ্য না হলেও জাতীয় পাখি তো।
এবার আসি আমাদের এই উৎসবের অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র নিয়ে। এই চরিত্র পুরোই প্রশ্নবিদ্ধ। আমি যখন একটা বিষয়কে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ দাবী করব তখন সব সম্প্রদায়ের ও ধর্মের মানুষের কাছে তথা দেশের সকল নাগরিকের কাছে সেটা অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ মনে হতে হবে। আমার কাছে ধর্মনিরপেক্ষ তো আমার বিবেচনায় কিন্তু দেশের আপামর জনসাধারনের কাছে যদি সেটার এরকম ধর্মনিপেক্ষ আবেদন না থাকে? এই দেশের নাগরিকদের একটা অংশ মোটেই অসাম্প্রদায়িক হিসেবে মানতে রাজি নন। এর মধ্যে তাঁরা একটা সুনির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের আচরিত ধর্মীয় আচারের আচরনগুলি স্পষ্ট দেখতে পান। প্রকৃতই এগুলোর মাঝে এক সুনির্দিষ্ট ধর্মীয় রীতিনীতি ও অর্চনার সম্পর্ক বিদ্যমান। যেমনঃ প্যাঁচা, ময়ূর, ভাল্লুক, হনুমান, পেঁচা, অসুর, রাক্ষস-খোক্কস, ডাইনি, পেত্নি।
আমি যাকে ধর্মনিরপেক্ষ মনে করি সেটা যদি অন্যের কাছে সাম্প্রদায়িক মনে হয় তাহলে তো এর অসাম্প্রদায়িক চরিত্রটাই থাকে না। ধরুন, আমি সবাইকে এক অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিলাম আর এসে সবাই দেখলেন সেটা ওয়াজের মাহফিল কিংবা কীর্তনের অনুষ্ঠান তাহলে একে কি আপনারা ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান বলবেন?
পহেলা বৈশাখের উৎসব মূলত শহুরে শিক্ষিত উচ্চবিত্ত মধ্যবিত্তের অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান ধীরে ধীরে এই বলয়ের বাইরে বের হচ্ছে। রাজধানী থেকে ছড়িয়ে পড়ছে বিভাগীয় শহরে, জেলা-উপজেলায়। শেকড়ে চরিত্রটাতো এখানেই মার খায়। শেকড়ে ফেরার হলে তো প্রত্যন্ত অঞ্চলে, তৃণমূলে বছরের পর পর আচরিত হয়ে একটা পোক্ত আসন নিয়ে নিজেই ধাববান থাকার কথা। তৃণমূল থেকে বিত্তবানের ড্রইং রুমে আসার কথা। তাহলে এখানে আমরা কোন শেকড়ে ফিরছি। নাকি ধার করা সংস্কৃতি চাপিয়ে দিচ্ছি সাধারনের উপর। এই ধরনের বাস্তবতায় ইংরেজী নববর্ষ আর বাংলা নববর্ষের উৎসবের চরিত্রগত ও তাৎপর্যগত তফাত কোথায়? দুটোই ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করছে। দুটোতেই সরকারকে নিরাপত্ত বিধানে গলদগর্ম হতে হয়। দুটোতে মেয়েদের শ্লীলতাহানির, যৌণ নিপীড়নের উদাহরণ আছে।
আমরা যখন একটা অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, সার্বজনীন উৎসবের শুরু করব তখন সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারের মতামতের মূল্য আমাদের দিতে হবে। আমি আমার মত করে গায়ের জোরে বলে দিব এটা অসাম্প্রদায়িক, এটা ধর্মনিরপেক্ষ এবং সার্বজনীন, আর কেউ এটাকে যদি অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ বলে না মানে তো তাকে মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক, বলে গালাগালি করব। তাদের মতপ্রকাশকে বলব অশনিসংকেত, অশুভশক্তি আর বৈশাখে তাদের নিপাত কামনা করব, তাহলে তো সেটা হবে একপেশে, প্রতিক্রিয়াশী এবং সভ্য নয় মোটেই বর্বর।
একটা সার্বজনীন উৎসব বা প্রথা সৃষ্টির জন্য সর্বজনের মতের মূল্য দিতে হবে। সে যদি আমার মতে বিরোধী হয় তার মূল্য দিতে হবে সর্বাধিক। তবেই না যুক্তি-তর্ক-বিতর্কের মাঝে সমাজের একটা প্রগতিশীল রূপ দাঁড় হবে। তা না হলে সেটা হবে একেবারেই ফ্যাসিবাদি। কেবল ফ্যাসিবাদই নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়।
আজকে মঙ্গল শোভাযাত্রা যাদের কাছে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ নয় এবং যারা এই প্রোগ্রামে শামিল হতে চায় না তাদেরকে তো এটা চাপিয়ে দিতে পারি না। একটা সাম্প্রদয়িক অনুষ্ঠান শুধু মাত্র অসাম্প্রদায়িক বললেই সেটা অসাম্প্রদায়িক হয়ে যায় না। এই রাষ্ট্রে যারা মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিশ্বাস করে আর যারা করে না, সকলেই এই রাষ্ট্রের নাগরিক এবং তাদের সবার টাকায় রাষ্ট্র চলে এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ও অন্যান্য সরকারী বৈশাখী অনুষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহ হয়। সুতরাং এই সব আয়োজনে তাই সকলের মতামত প্রতিফলনের দরকার আছে। আমার দেশে শুধু আমার মতই চলবে, আমার বিশ্বাস ও নীতে রাষ্ট্রকে মেনে নিতে হবে বাকিদের কথা মানা যাবে না, আমার মত ও পথের বাইরে গেলেই সে সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদি এই ধরনের চিন্তা ভাবনা চরম প্রতিক্রিয়াশীল ফ্যাসিবাদী ভাবনা।
অন্যের উপর আমার মত চাপিয়ে দেয়ার অধিকার সংবিধান আমাকে দেয়নি। তাই সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক ও সার্বজনীন উৎসব নির্মান করতে হলে প্রকৃত মুক্তমন নিয়ে যুক্তি-তর্কের মধ্য দিয়ে সকলের অংশগ্রহনমূলক বিনির্মান দরকার। নচেৎ এগুলো কেবলি ভান তৈরি করবে।
==============================
থার্ড আই ও ফকির আবদুল মালেক ভাইকে উৎসর্গীকৃত।
“একটা সার্বজনীন উৎসব বা প্রথা সৃষ্টির জন্য সর্বজনের মতের মূল্য দিতে হবে। সে যদি আমার মতে বিরোধী হয় তার মূল্য দিতে হবে সর্বাধিক। তবেই না যুক্তি-তর্ক-বিতর্কের মাঝে সমাজের একটা প্রগতিশীল রূপ দাঁড় হবে। তা না হলে সেটা হবে একেবারেই ফ্যাসিবাদী। কেবল ফ্যাসিবাদই নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়।”
মঙ্গল শোভা যাত্রায় আমি নিজেও অংশগ্রহণ করি নি এবং আমার মনে হয় এটি সার্বজনীন কোন উৎসব নয়।
বিষয়টি তুলে আনায় অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাই।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মামুন ভাই।
আমাদের সমাজে সহনশীলতার অভাব অনেক বেশি। শিক্ষিত, অশিক্ষিত, শহুরে, গ্রামীণ, সংস্কৃতি কর্মী, সংবাদকর্মী সকলেই গণতন্ত্রে কথা বলি, অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা বর্তমানে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে লালন করছি না। দিন দিন নিত্য নতুন সাম্প্রদায়িকতার আমদানী করছি।
দেশের সব মানুষ সমান, সকলের মতে মূল্য আছে। কাউকে হেয় করা নয়, শ্রদ্ধা করা এই হোক আমাদের নীতি।
সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষতার জয় হোক।
বর্তমানে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে অসাম্প্রদায়িকতার মোড়কে ফেরি করছি সাম্প্রদায়িকতা। গণতন্ত্রের নামে করছি আমরা অগণতান্ত্রিক আচরণ। প্রগতিশীলতার নামে সবচেয়ে বড় প্রতিক্রিয়াশীল আচরণগুলো করা হচ্ছে।
মঙ্গল যাত্রা বা শোভা যাত্রা বুঝি না তবে আমার মতে বছরের প্রথম দিনে একটু নির্মল আনন্দ করলে তাতে ক্ষতি কি? য্রা এই বছর অনুসরন করে তারা সবাই এই এনন্দ করতেই পারে।
বছরের প্রথম দিনে নির্মল আনন্দে ক্ষতি থাকবে কেন? বরং আনন্দ আছে। বছরের প্রথম দিন এবং যেকোন দিন আমরা আনন্দ করব।
বৈশাখ আমাদের তাই আমাদের মতই একে উদযাপন করব তাতে আমি তো কোন সমস্যা দেখি না।
আমি শুধু বলতে চেয়েছি ঐতিহ্যের নামে আমার উপর যেন ভুল ঐতিহ্য চাপিয়ে দেয়া না হয়। আমাকে জোর করে যেন গেলানো না হয় ভুল ঐতিহ্য, ভুল আচরণ।
জোর করে চাপিয়ে দিলে আনন্দ আর আনন্দ থাকে না। অমৃত তখন গরল হয়ে যায়। বৈশাখের হালখাতা আমাকে আমার মতই করতে দেয়া হোক আমি শুধু তাই চাই।
এমন করে নাচে গানে জীবনটা কাটাতে চাই, কোন সরযন্ত্র বা মৌলবাদের শীকার হতে চাই না! চাই না! চাই না!!!

কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা যেমন ভাল নয় তেমনি জোর করে কিছু চাপিয়ে দেয়াও উচিত নয়। সাধারণ মানুষ অত তত্ত্ব কথায় যায় না তারা নির্মল আনন্দের জন্যই দিনটাকে গুরুত্ব দেয় কিন্তু গুটিকয় মানুষের ইচ্ছাকৃত ভাবে আরোপিত বিষয় গুলো দিন দিন জটিল রুপ নিচ্ছে আর সৃষ্টি করছে বিতর্ক। আমরা সাধারণ জনগন, আমরা সাধারণ ভাবেই নিজের মত করে বন্ধু পরিজন নিয়ে একটা দিন কাটাতে চাই।
সেই বিতর্কের অবসানের জন্য আমি চেয়েছি সত্যিকারে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ আচরন। অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ভণ্ডামীর অবসান চাই।
আমার বৈশাখের হালখাতা আমাকে আমার মত করতে দাও – এই আমাদের চাওয়া।
এটা হচ্ছে শব্দনীড়ের বৈশিষ্ট্য, আপনি আমার সাথে দ্বীমত পোষন করে পোষ্ট আমাকে উৎসর্গ করেছেন। একটি লেখার সাথে সবাই একমত হবে না এটা স্বাভাবিক। আপনার পোষ্টটি আমি কয়েকবার পড়েছি। আমি অগ্নিপরীক্ষায় আাছি
শাড়ি পড়া থেমিসের মূর্তিটি সরিয়ে ফেলাই যুক্তিযুক্ত।
একটু ঘুরে যান।
ভেবেছিলাম আপনার সাথে একটু যুক্তি-তর্কে মেতে উঠব সে আর হল কই!
ঐ জায়গা থেকে ঘুরে আসলাম। সত্যি বলতে কি এই সব জায়গায় যেতে রুচি হয় না। আলোচনা সমালোচনা যুক্তি-তর্ক-বিতর্ক এগুলো সুস্থতা প্রগতিশীলতার লক্ষণ। কিন্তু ওখানে যা দেখলাম তা হল অসুস্থতা। যুক্তি তর্ক নাই, বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা নাই, গায়ের জোরে কথা বলা এগুলো ছাড়া আর তো কিছুই দেখলাম না।
যারা নিজেদের প্রগতিশীল বলে দাবী করে তারা কি পরিমান প্রতিক্রিয়াশীল তা আপনি আপনার এই পোস্টের আলোচনা থেকে বুঝতে পারেন।
এ বিষয়ে আরো কথা বলার জন্য ফিরে আসব। আপনাকেও আশা করছি।
আপনার এই পোষ্টে আসতেই হবে আমাকে।
আসছি—–
সেই সাথে আরেকটা দু:খের কথাও স্বীকার করতে হয়। ওরা যুক্তি দেয়ার জন্য হোক, কুযুক্তি দেয়ার জন্য হোক, কুকথা বলতে কি গালি দিতে হলেও মন্তব্যের পর মন্তব্য করে। আমাদের লোকজন ‘ভাল লেগেছে’ ‘ধন্যবাদ ‘ এর বাইরে কথা বলতে পারে না।
ঐ ব্লগে আরেকটা জিনিস খেয়াল করলাম, আপনার পোস্টটি নির্বাচিত তালিকাতেও নাই। আপনার পোস্টের সাথে একমত হোক আর না হোক, নির্বাচিত তালিকায় যাবার কোয়ালিটি কিন্তু এই পোস্টের আছে। ওদের মডারেশনের অবস্থা বোঝেন।
শব্দনীড়ের যে সৌন্দর্যের কথা বলেছেন তা ত এখানেই স্পষ্ট।
গণতন্ত্রের নামে করছি আমরা অগণতান্ত্রিক আচরণ। এই অগণতন্ত্রই হচ্ছে আত্মধ্বংসী। কথিত প্রগতিশীলতার নামে বড় প্রতিক্রিয়াশীল আচরণগুলো ভাইরাসের মতো সমাজে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এটা সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্রের মাঝামাঝি। এর চূড়ান্ত হবে ভয়ঙ্কর।
যদিও সকালেই শব্দনীড়ে হাজিরা দিয়েছেন আপনাকে স্বাগত জানাতে আমার দেরীই হয়ে গেল। সারাদিনে অনেকের সাথে ব্লগীয় যোগাযোগ হলেও আপনার সাথেই দেরী হলেও। ঘরের লোকের সাথে ত পরে কথা হয়। আপনাকে আমার ঘরের লোকই ভাবি।
গণতন্ত্র মানে বহুমতের বহুপথের মেলবন্ধন। সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হলে সবার মতের প্রতিফলনের সুযোগ থাকতে হবে। এর বিপরীত হলে প্রগতিশীল সমাজ নির্মান করা যাবে না।