আগারগাঁও কলোনিতে নয়তারা ফুল কেন নেই সে কথা কে বলতে পারে? হয়ত সেখানে নয়ততার ফুল আছে অথবা অন্যকোন ফুল আছে। এতদিনে হয়ত কলোনিটাই নাই। এতকথা কে বলতে পারে? কত লোকেইতে আগারগাঁও থাকে, কিন্তু এইসব খবর বলতে পারে কেবল ভূতের গলির, দক্ষিণ মৈশুন্দির শহীদুল জহির। শুধু আগারগাঁও কলোনির খবর না শহীদুল আরো খবর দিবেন ‘ডুমুর খেকো মানুষ’, ‘ডলু নদীর হাওয়া’ এইসবের। কোথায় পাব তারে – সেই খবরও আপনি পাবেন শহীদুল জহিরের কাছে। অবশ্য যদি আপনি এইসব জানতে চান। শব্দনীড়ের ব্লগারদের যে অবস্থা তাতে কেউ শহীদুল জহিরের কাছে কোন খবর চাইবেন তা বিশ্বাস করা কষ্ট। তবুও বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর এই ভেবে মনেকরি শব্দনীড়ের অনেকেই হয়ত শহীদুল জহিরকে চেনেন।
১৯৫৩ সালে জন্মের পর ২০০৮ সালে মৃত্যুর আগে তিনি ‘ডুলু নদীর হাওয়া, কোথায় পাব তারে, আগার গাঁও কলোনীতে নয়নতারা ফুল কেন নেই, পারাপার, ডুমুরখেকো মানুষ, ইন্দুর বিলাই খেলা, ঘেয়ো রোদের প্রার্থনা নিয়ে, আমদের কুটির শিল্পের ইতিহাস, কাঠুরে ও দাঁড়কাক এইরকম আরো অনেক গল্প লিখেন। জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, সে রাতে পূর্ণিমা ছিল, আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু, মুখের দিকে দেখি এইসব উপন্যাসও তিনি লিখেন।
শহীদুল জহির কেমন লিখতেন? সেটা জানতে হলে তাঁর লিখা পড়তে হবে। আমার ভাল লাগে। তাঁর গল্প বলনের স্টাইল আমার পছন্দ। অন্যান্য গল্পকারের সাথে যে সুন্দর একটা পার্থক্য টেনে নিয়ে আসতে পেরেছেই সেইটাই আমার পছন্দ। অব্যয়ের ব্যবহারের এমন সুন্দর ছন্দময় গতি অন্যান্য লেখকের মাঝে আপনি পাবেন না। কয়েকটা গল্প পড়ে দেখেন কেমন লাগে আপনার।
আমি তার লেখা পড়েছি আমারও বেশ ভালো লাগে।