ফয়জুল মহী এর সকল পোস্ট

ফয়জুল মহী সম্পর্কে

হে পরমেশ্বর,এই নশ্বর নিখিল সৃষ্টিতে রেখো না ওই মানুষ যার ভিতর নরত্বের অভিনিবেশ নাই ।

শকুনি মামা ও মজিদ চাচা

GPd

দুই পিণ্ড মাংসের জন্য কতনা হা-হুতাশ
মজিদ চাচা অনেক দিন ধরে পায় না খেতে
তা দেখে আনন্দে নাচে বিদ্যা বালান।

প্রচণ্ড তাপদাহ মজিদ চাচা কাহিল প্রায়
মাথার উপর থাকা পাখা স্থির এখন
গামছা কাঁধে গালি গায়ে করে উন্নয়নের মিছিল।

বিদ্যা বালান মানবিক গুণে পরিপূর্ণ
তাই বিলিয়ে দিতে চায় মাংস পিণ্ড
আশপাশ তেল বিহীন খালি বোতল
কেউ খাবে কেউ খাবে না তা হবে না তা হবে না

কম্পিত আকাশ বাতাস তিনটা শব্দ বিকট
খেলবো খেলবো খেলবো শুধু মাংস পিণ্ড চাই l

তারা কেনো খসে পড়ে

hqde

খসে যাওয়া তারার জন্য হৃদয় কাঁদে
কখনো কখনো আকাশ পানে চেয়ে
থাকতে থাকতে চোখ ভিজে নোনা জলে।

কালো আধার রাতে খসে পড়া তারার স্মৃতিতে
ব্যাকুল হই,,ব্যথিত হই নীল কষ্টে
ছুটে যাই রাস্তার পাশে কবরের কাছে
তড়িৎ জিজ্ঞাসা করি তারা কেনো খসে পড়ে।

তারার আলোয় চলতো জাহাজ নামক জীবনটা,
দমকা হাওয়ায় ছিড়ে যেত পাল
তারা জ্বল জ্বল করে পথ দেখিয়ে নিয়ে যেত আপন ঠিকানায়।

তারা যখন আলোকিত করে ঘর
বুঝি না আমরা অনেকে
খসে পড়লে ছুটতে থাকি মিথ্যা মায়া মোহে।

প্রাক্তনের সঙ্গে যদি আবার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে যায় তবে মাথায় রাখতে হবে কিছু কথা

31330

সময় মাঝে মাঝে আমাদের সাথে আজব আচরণ করে। কখনো কোনো রাস্তার বাঁকে চলতে চলতে দেখা হয়ে যায় এমন কারো, যার সাথে একসময় একটা রোমান্সের সম্পর্ক হয়েছিল কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে এই হঠাৎ দেখা থেকে শুরু হয় ফের যোগাযোগ। কথাবার্তা চলতে চলতে দু’জন মিলে হঠাৎই আবিষ্কার করি, একসময় মনের মধ্যে পরস্পরের প্রতি যে অনুভূতি জমেছিল তার ওপর সময়ের পলি পড়লেও গভীরে তা একই রকম টাটকা রয়েছে।

এরকম পরিস্থিতিতে অনেকেরই নতুন করে সম্পর্কটা শুরু করতে চায়। প্রাক্তন নতুন করে সম্পর্ক শুরু করাটা নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার, কিন্তু দ্বিতীয়বার হ্যাঁ বলার আগে মাথায় রাখতে হবে কিছু জরুরি বিষয়।

প্রেমটা কেন ভেঙে ছিলঃ
প্রাক্তনের নতুন করে পথ চলা শুরু করার আগে নিজেকে উপরের প্রশ্নটা করা দরকার। একটা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পেছনে নানারকম কারণ থাকতে পারে। সম্পর্কটা দীর্ঘ বা সংক্ষিপ্ত যাই হোক না কেন, ভেঙে যাওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ ছিল। অনেক সময় এমন সব কারণে সম্পর্ক ভাঙে যার উপর কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যেমন- পারিবারিক চাপ, চাকরি সূত্রে অন্য দেশে চলে যেতে বাধ্য হওয়া। এরকম কোনো কারণে বিচ্ছেদ হয়ে থাকলে চিন্তার কিছু নেই, নতুন করে জীবন শুরু করতেই পারে যে কেউ। কিন্তু যদি মতের অমিল, ঝগড়াঝাঁটির মতো কারণে আলাদা হয়ে থাকলে, নতুনভাবে সব কিছু শুরু করার আগে একটু ভাবার দরকার আছে। কারণ সমস্যাগুলো যে আবার ফিরে আসবে না, তার কোনো গ্যারান্টি কিন্তু নেই!

অতীতের কথা ভুলে যেতে হবেঃ
যদি সব পার্থক্য উপেক্ষা করে প্রাক্তনেরই নতুন করে জীবন শুরু হয়, তা হলে কিন্তু অতীতের সমস্ত তিক্ততা ভুলে যেতে হবে। পুরোনো বোঝা নিয়ে ঘুরে লাভ নাই।

অতীতের তুলনা করা যাবে নাঃ
নতুন করে সম্পর্ক শুরু মানে আর মতপার্থক্য হবে না, তা তো নয়! কিন্তু তর্কবিতর্কের সময় বর্তমান সময়টাকে অতীতের নিরিখে বিচার করা ঠিক না। বর্তমান সমস্যাটা মেটানোর ওপরে জোর দিতে হবে, সঙ্গীর আচরণে পুরোনো প্যাটার্ন খুঁজে বের করার চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। অতীত থেকে বের করে আনতে হবে নিজেকে।

পারফেকশনের পিছনে দৌড়ে লাভ কীঃ
কেউই নিখুঁত হয় না। তাই জুটি কেন পারফেক্ট কাপলের উদাহরণ হয়ে উঠছে না তা ভেবে মাথা নষ্ট করার মানে হয় না। প্রত্যাশার পারদ নামিয়ে রাখতে হবে, জীবনের ছন্দের তাল মেলানোর চেষ্টাই করা উচিত।

পা বাস্তবের মাটিতে রাখা বাঞ্ছনীয়ঃ
যদি প্রাক্তনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক শুরু করার ব্যাপারে কেউ সিরিয়াস হয়, তাহলে তার খোলামেলা কথা বলতে হবে। তার মতামত জানতে হবে। আগে থেকে খোলাখুলি কথা বলে নিলে ভবিষ্যতে অনেক অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়ানো যাবে।

(বিবাহিত সকল নর-নারী সংসারে সুখী হন।)

.
সূত্র: ফেমিনা/ঢাকা ট্রিবিউন।

কালো চশমার ফাঁক ফোকর

202

সেই থেকে তোমার দেশে শরৎকাল আসলে
আমার দেশে বর্ষার প্লাবন আসে।
শরতের পর শীতকাল তখন তুমি দামী
কম্বলের উষ্ণতায় ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলাও।

আমি তখন প্রকৃতির সাথে লড়াই করি
ভাগ্য বদলে দিগভ্রান্ত হয়ে ছুটে বেড়াই
প্রকৃতির মত মানুষগুলিও হয়তো মজা পায় ।

আমার প্রতি তোমার মোহ কমতে শুরু করেছে
আগেই আমাকে জানাতে পারতে
আবেগ দিয়ে প্রেম ভালোবাসা হয়
শরতের কাশফুলে ভ্রমর হওয়া যায় না।

এই চোখ উঠার জটিল সময় আমি কালো
চশমা পরে পথ চলি
সত্যিই বলছি এটা কেনো আভিজাত্য নয়
তোমার নজর হতে বেঁচে থাকার ব্যর্থ প্রয়াস মাত্র।

.
ছবি# মাইশা। (আর্ট, আমার বড় মেয়ে)

ছোটন ভাই এবং আমাদের গোল্ডকাপ

im

পোস্টারে, মিডিয়া এবং আলোতে সবাই আছে কিন্তু নেই শুধু মহিলা ফুটবল দলের কারিগর কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ২০০৯ সাল হতে জীবনের সব কিছু বিসর্জন দিয়ে পড়ে আছেন মহিলা ফুটবল দলের পিছনে। নিজ সন্তানের মত অত্যন্ত আদর যন্ত্রে গড়ে তুলে এশিয়া সেরা করেছেন। মানুষের কটু কথা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এমনকি রটনা ও ঘটনা কোনো কিছুই তোয়াক্কা করেননি।

কলসিন্দুর স্কুলের শিক্ষক মিনতি রাণী শীল ও মফিজ উদ্দিন, এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের অজপাড়া গাঁয়ে নিরীহ স্কুলে নীরবে তৈরি করেছেন দেশ সেরা এক মহিলা ফুটবল টিম। নিজ টাকায় খেলার সরঞ্জাম এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের। অথচ মিডিয়ার আলোর ঝলকানিতে তাঁরা নেই, এমনকি নামও নেই কোনো প্রিন্ট মিডিয়া কিংবা ইলেকট্রিক মিডিয়ায়। মফিজ উদ্দিন অবশ্যই মারা গিয়েছেন কয়েক বছর আগে তবুও উনার নামটা স্মরণ করা যেত। প্রচার করা যেত উনার পরিবারের গভীর অনুভূতি।

আজ বড় বড় কর্মকর্তাদের ছবি আর বক্তব্যে সয়লাব সব মিডিয়া। সামনের মানুষ গোলাম রব্বানী ছোটন আর সাবিনা পিছনে অসহায় দাঁড়ানো। মেদওয়ালা পিছনের মানুষ হাসি মুখ নিয়ে সামনে চেয়ারে বসা। ছোটন ভাই আপনি ঘরহীন সম্পদহীন সংগ্রামী একদল আন্তরিক লড়াকু সৈনিক দিয়ে ফুটবল দলকে জিতিয়ে দেশকে সম্মানিত করেছেন তাই আপনার স্থান ১৬কোটি মানুষের হৃদয়ের গভীরে।

আপনাদের অবহেলা আর অপমান জনগণ মেনে নেয়নি তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের প্রচণ্ড ঝড়। মাথা মোটা কিছু লোক হয়তো অচিরে আপনাকে কিংবা আপনাদেরকে জনগণ হতে দুরে সরিয়ে দিবে। তবে এর বিচারও জনগণ কঠোরভাবে করবে, নিশ্চিত থাকুন। দেশের প্রতি আস্থা রাখুন ভালোবাসায় অবিচল থাকুন। গোল্ডকাপ জেতা ওরা সবাই জনগণের মাথার মুকুট।

Pic# LinkedIn

বৃষ্টি জল

307

বৃষ্টি মানে জানা হয়নি কোন দিন
তবুও বৃষ্টিতে মন হয় উতলা
বৃষ্টি মানে খোলা জানালায় দূর দৃষ্টি
আর কদম ফুলের ঘ্রাণ।

বৃষ্টি মানে বিরক্তিতে ভরা উদাস দুপুর
বৃষ্টি মানে বই হাতে গুনগুন গান
বৃষ্টিতে জেগে ওঠে বনবীথি
জেগে ওঠে সকল বৃক্ষের প্রাণ।

বৃষ্টিতে জাগে মনের কোণে
চুপি চুপি প্রেমের দোলা
রাশি রাশি ইচ্ছেগুলোর আনন্দে ভাসা।

বৃষ্টি মানে নীল পরীর ছাদ গোসলে
মাতাল হাওয়ায় কোমর দোলা
সেই দোলার ছন্দে ছন্দে নিজেকেও হারিয়ে ফেলা।

বৃষ্টি মানে গাও গেরামে নকশি কাঁথায় সুই সুতা
বৃদ্ধ মায়ের পান সুপারির কষ্টের এক গল্প কথা।

সফেদ জমিন

2022

সূর্যের তাপে পুড়ে সারা শরীর
মিছিলের অগ্রভাগে দাড়িয়ে স্লোগান ধরি
ঘামের গন্ধ মেখে তামাটে হয়েছে মুখ
রক্ত জমাট বাঁধা তবুও মুখে বজ্রকণ্ঠ
স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্ত গণতন্ত্র
এই আমাদের মৌলিক অধিকার ।

অনাবাদী সফেদ কাগজে লাঙ্গলের ফলায়
তুলে আনি চাপ-চাপ মাটি
শরীরের নোনা ঘাম ঝরে সিক্ত হয় জমিন
অভাবের ভরা মৌসুমেও অম্লান হাসি ।

বুনে দেবো দুঃখে ভরা বর্ণমালা
বেবাগ জমিনে অনাগত যুদ্ধের বীজ বপনে
দরকার সোনালী যৌবন
অচিরে স্বর্ণালী ফসল ঘরে তুলবো
ক্ষ্যাপাটে বাতাসে ছড়িয়ে পড়বে যুদ্ধ জয়ের নতুন ধ্বনি।

অতঃপর উনি পকেটে রাখলেন … চেয়ে থাকলাম

3009h রাস্তার পাশে জমিনটায় সবুজ ধান গাছ, বাতাসে হেলেদুলে লুটিয়ে পড়ছে। আমার লাগানো কৃষ্ণচূড়ার গাছটা ফুল ফুটে লাল রক্তিম হয়ে আছে। বাতাস এবং বৃষ্টির ঝাপটায় কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি কিছু রাস্তায়, কিছু ধান ক্ষেতে পড়ে আছে। বৃষ্টিতে ভেজা গন্ধ বিহীন কৃষ্ণচূড়ার কচি কচি পাপড়ি পড়ে রাস্তায় যেনো শহুরে রমণীর গাঢ় লাল রংয়ের লিপষ্টিকের ঠোঁটের আকার ধারণ করেছে।

শিমুল, পলাশ কিংবা কৃষ্ণচূড়ার সময়কাল আমাকে করে পাগলপ্রায়। কতোদিন ভেবেছি শুভ্র-শ্বেত আকাশের নিচে কৃষ্ণচূড়ার মৌসুমে তোমার হাত ধরে দাঁড়াবো। তোমার কালো কালো কেশে ঝরে পড়বে পাপড়ি ঠোঁটে থাকবে গাঢ় লাল লিপষ্টিক। আলতো করে হাত ধরে হেঁটে যাব বাঞ্ছারাম পুকুর, পাড় হতে সেই নামহীন স্বর্গে।

চিকন সরু কাঁদা মাটির রাস্তা। দুই পাশে লম্বা লম্বা দূর্বা ঘাস, মাঝখানে সাদা মিহি বালু। রাস্তার পশ্চিম পাশে নানাজাতের গাছের মাঝে কৃষ্ণচূড়া গাছ তারপর ফসলের জমি। পূর্ব পাশে কচুরি পেনায় ভরপুর বাঞ্ছারাম পুকুর। পেনায় জড়িয়ে লক লক করা কলমি শাক, পুকুর পাড়ে বসত করা লেদু মিয়া রান্না করে খায়। পুষ্টহীন ষাট বছরের লেদু মিয়াকে দেখলে মনে হয়, কলমি শাক খেয়েই কোনো রকম বেঁচে আছে। দরিদ্রতার প্যাচে পড়ে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য কারো কোনো রকম সাহায্য ছাড়াই এই প্রাণপণ লড়াই। তারপরও দেখা হলে হেসে উঠে জানতে চায় “কেমন আছো বাবা”। আমিও হাসি মুখ করে উত্তর দিই “স্বর্গে আছি” চাচা। মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস ফেলে সংসারের অভাব -অনটন তুলে ধরে। দীর্ঘশ্বাস আরো বড় হয় যখন বলে পুত্র সন্তান না থাকায় সংসারের হাল ধরার কোন মানুষ নাই। তারপরও আগে জিনিস সস্তা ছিলো ডাল ডিমে চলে যেতো দিন আর এখন সব।

আওয়াজ শুনে আমার ঘুম ঘুম ভাব ও স্বপ্নটা ভেঙ্গে যায়। সন্ধ্যা ৬-১৫ মিনিটের বাস যাত্রীদের আসন গ্রহণ করার জন্য কতৃপক্ষের অনুরোধ। প্রচণ্ড গরমেও বিশ্রামগারে চেয়ারে বসতেই তন্দ্রাচ্ছন্নভাব গ্রাস করে আমাকে। আজ কয়েকদিন হাসপাতালে ইদুর বিড়াল দৌড়ে ক্লান্ত শরীর, তাই আর রাজধানীতে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে না। ডাক্তার দেখানো শেষ হলেই দৌড় দিলাম বাস ধরতে। পকেট হতে মোবাইল বাহির করে দেখি ছয়টার কাছাকাছি, আর আমার বাস ছাড়ার সময় ৬-১৫ মিনিট। অনেক আগে একবার “দেশ বাংলা ট্রাভেল” করে ঢাকা হতে বাড়ি গিয়ে ছিলাম, খুব আরামদায়ক ও নিরাপদ মনে হয়েছে। তাই এইবার আবারও “দেশ বাংলা ট্রাভেল”-এ ভ্রমণে মনস্থির করি। টিকেট হাতে নিয়ে ধাক্কা খাই বাস ভাড়া বৃদ্ধি করেছে শুনে কারণ তেলবাজ এই দেশেও তেলের দাম বেশী।

ব্যাগটা চেয়ারে রেখে বেসিনে যাওয়ার জন্য রওনা হই মুখটায় পানির ঝাপটা দিতে। পরিচ্ছন্ন টয়লেট এবং বেসিন আমাকে অনেকটা স্বস্তি দিলো। টয়লেট হতে বাহির হয়ে দেখি গায়ে একটা বিশেষ বাহিনীর পোষাক পরা মুখের দাড়ি ও মাথার চুলে লাল মেহেদি করা প্রায় পঞ্চাশ বছরের এক লোক টাকা গণনা করতেছে। একটাই বেসিন ওটার সামনে ওনি দাঁড়ানো হাতে নতুন পুরাতন পঞ্চাশ /শত টাকার নোট কচ কচ করে গণনা করছে এবং ভাঁজ করছে। ভাবলেশহীন উনি আমি দেখেও না দেখার ভান করে চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, হচ্ছে না আমার মুখ ধোঁয়া। রোদে পুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই লোকটা অন্যের ডিম ডাল খাওয়ার টাকা আইনের দোহাই দিয়ে ছিনতাই করে দিন শেষে এই বাস কাউন্টারে হিসাব করে পকেটে নিচ্ছে নিজের উদর পূর্তি করতে। কার হবে এইসব টাকা রিক্সা, অটো রিক্সা, বাস, ট্রাক চালকের নাকি রাস্তার কোনো ফেরিওয়ালার। ভাবতে ভাবতে বাসে উঠে আসন গ্রহণ করি, হেডফোন কানে দিয়ে পাতলা কম্বল জড়িয়ে গান ছেড়ে দিই “এমন দেশটি পাবে…”।

অলিখিত উপন্যাস

30

জীবন পথে চলতে চলতে খুঁজে পেলাম
আঁকড়ে ধরার খড়কুটো‚
পান পাতার মতো দেখতে ঠিকই
কষ্ট নামক পোকায় করেছে হৃদয় ফুটো!

বেঁচে থাকার রঙিন ছোঁয়ায়
স্বপ্ন ছিল নীল আবেগে বোনা
কত শত বেদনা চাপা পড়ে আছে
হৃদয়ের ফাটল যায় যে গোনা!

পথ হারাবে পথের ভুলে
পূর্ণতা পাবে হয়তো শেষে
ভাঙ্গা হৃদয়ের নামও লেখা হবে
প্রেমের অলিখিত উপন‍্যাসে।

যে কারণে প্রাক্তনকে ভুলে যাওয়াই শ্রেয়

2949

বিচ্ছেদের পর প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাইলে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত।

প্রেমের মতো বিচ্ছেদও জীবনের একটি অংশ। নারী-পুরুষের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার প্রথম ধাপই হচ্ছে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের ওপর ভিত্তি করে যোগাযোগ, মেলামেশা ও ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে বিপরীত লিঙ্গের কারও প্রতি প্রেমের অনুভূতি জেগে উঠতেই পারে। এইটা মোটেই দোষের কিছুই নয়। বিভিন্ন কারণে সেই সম্পর্ক ভেঙ্গেও যেতে পারে। কখনো সেই প্রেম ভেঙে গেলে অপর পাশের মানুষটার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা উচিত কিনা তা নিয়ে অনেকেই কনফিউজড থাকে? আবার কেউ কেউ বিচ্ছেদের পরেও প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক বজায় রাখেন। অনেকেই ভেঙে যাওয়া প্রেমের স্মৃতি ভুলে যেতে প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ তো দুরের কথা মুখও দেখতে চান না।

আসলে বিচ্ছেদের পরেও প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখা কিংবা না রাখার সিদ্ধান্তটি যার যার একান্ত নিজস্ব বিষয়। তবে মনোবিদেরা কিন্তু প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছেন। তারপরেও প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা নিয়ে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত যাতে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। যেমনঃ

(১) ফ্লার্ট বা রোমান্স না করা: প্রাক্তনের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব রাখতে হয় তাহলে কখনোই তার সঙ্গে ফ্লার্ট করা অথবা রোমান্টিক কোনো কথা বলা উচিত না। কারণ দুই পক্ষের মধ্যে কেউ যদি একটু মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তাহলে আবার তাদের মধ্যে একে অপরের প্রতি অনুভূতি জেগে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে মানসিক ও সামাজিক জটিলতায় পড়তে হতে পারে, তখন দুজনের মধ্যে তৈরি হবে বিব্রতকর পরিস্থিতি।

(২) দূরত্ব বজায় রাখা: বন্ধুত্বের সম্পর্কে পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং দূরত্ববোধ একপাশে সরিয়ে রাখা একটি অলিখিত নিয়ম। কিন্তু যদি প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে হয়, তাহলে অবশ্যই এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটবে। প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাইলে যেমন তার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, তেমনি অপরকেও নিশ্চয়তা দিতে হবে যে আপনার দিক থেকে দূরত্ব ঘোচানো হবে না।

(৩) অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে রাখা: প্রেমের সম্পর্কে থাকা অবস্থায় পরস্পর রংময় পৃথিবীতে থাকে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর কিন্তু অপরিচিত আগন্তুকের মতো হয়ে পড়ে। যদি প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতেই হয়, তাহলে তার প্রতি নিজের অনুভূতিকে চার দেয়ালের সীমানায় বন্দি করে ফেলতে হবে। নয়তো যদি একে অপরের প্রতি আবার অনুভূতি সৃষ্টি হয় তাহলে তা অবশ্যই ক্ষতিকর পর্যায় চলে যাবে। কারণ একজন বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলে, অপর জন মনোকষ্টের ভুক্তভোগী হবেনই।

.
প্রচ্ছদ ছবি—ঢাকা ট্রিবিউন।

৭১ সালে স্বাধীন হওয়া দুইটা দেশ এখন একটা ভূ-স্বর্গ আরেকটা ?

recei

আরব আমিরাত আর বাংলাদেশ ৫০ বছর আগে একসাথে স্বাধীন হলেও, তাদের হতে আমরা ৫০ বছর পিছিয়ে? সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশ যথাক্রমে ১৯৭১ সালেই স্বাধীন হয়। মরুভূমি অধ্যুষিত এই দেশে সারা বিশ্বের পর্যটক ও বিনিয়োগকারীরা আসতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন! পক্ষান্তরে নৈসর্গিক বাংলাদেশ কেনো বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে পারেই না! আসলে তফাৎটা কোথায়? বিদেশিদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হচ্ছে সময়। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাগজপত্র ও রেসিডেন্স ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে প্রায় একমাস। পাশাপাশি সরকারি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অপেশাদার সুলভ আচরণ, সিঁড়ি এবং লিফটে পানের পিক ও থুথুর দাগ, টয়লেট এর কথা না বলাই ভালো।

টয়লেটে চরম দুর্গন্ধ, না আছে হ্যান্ড শাওয়ার, হ্যান্ডওয়াশ লিকুইড ও টিস্যু পেপার। নেই কোনো ঠান্ডা কিংবা গরম চা, কফি বা পানির কোনো ব্যবস্থা। ঘুষ, দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সিন্ডিকেট, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও সিবিএ তো আছেই। আমাদের দেশে কর্মকর্তা কর্মচারীদের নেই কোনো ড্রেস কোড। ভাঙ্গা রাস্তা ও যানজট তো আছেই। গত কয়েক বছরে আমরা দুবাইতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে দেখেছি।

এখানে সরকারি অফিস গুলো অত্যন্ত সুন্দর ও পরিপাটি। পুরুষরা অফিসিয়াল ড্রেস হিসেবে বড় জামা এবং মহিলারা আবায়া বা বোরখা পরিধান করে থাকেন। কাস্টমার কেয়ারে যারা থাকেন তারা অত্যন্ত ইয়াং ও দক্ষ, সুশ্রী, স্মার্ট, বিনয়ী এক কথায় ১০০% প্রফেশনাল। তারপরও সব অফিসারের পেছনে থাকে সিসি টিভি যাতে অফিশিয়াল কাজের বাইরে অন্য কোন কাজে সময় নষ্ট না করেন। অফিসের টিম লিডার সব সময় মনিটর করেন কোন কাস্টমার কোথায় কোনো প্রবলেম ফেস করছেন কিনা।

যেটা সবার জন্য জরুরী তা হচ্ছে, পাবলিক টয়লেট যাকে অনেকেই রেস্টরুম বলে থাকেন সেখানে গেলে আপনি এয়ার ফ্রেশনার, এসি, হ্যান্ডওয়াশ লিকুইড, একেবারে পরিষ্কার ও শুকনা টয়লেট, হ্যান্ড শাওয়ার, টিস্যু পেপার পাবেন। চা-কফি এবং ঠান্ডা ও গরম পানির ব্যবস্থা তো আছেই। পাশাপাশি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা মসজিদ ও রেস্ট নেওয়ার জায়গা আছে। প্রেগন্যান্ট মহিলারা, ফিজিক্যালি ডিজেবল ও সিনিয়র সিটিজেনরা আলাদা প্রিভিলেজ পেয়ে থাকেন সর্বক্ষেত্রে।

বাচ্চাদের জন্য আছে খেলার রুম। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিনা ঘুষে ১০০% মালিকানায় কোম্পানির লাইসেন্স, দুবাই চেম্বার অব কমার্সের মেম্বারশিপ, মেমোরেন্ডাম পাবেন পাক্কা এক ঘন্টায়। তিন দিনের মাথায় মিলবে রেসিডেন্টস ভিসা, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইডি পেতে সময় লাগবে মাত্র ৫ দিন। এখানে রাস্তাঘাটে জোড়াতালি কিংবা কোন রকমের গর্ত খুঁজে পাবেন না। গাড়ি তো পানির দরে পাওয়া যায়। অন্যান্য সুযোগ সুবিধা তো আছেই। আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকেরা এগুলো নিজেরাই জানে কিন্তু পরিতাপের বিষয় বাংলাদেশে বাস করে সবকিছু ভুলে যায়। হ্যাঁ, কিছু ব্যতিক্রম তো অবশ্যই আছেই।

সৌদি ও বাহারাইন সংযোগ সেতু, আরব সাগরের উপর নির্মিত।
দৈর্ঘ্য—২৫ কি মি। চার লেন বিশিষ্ট।
১৯৮৬ সালে ৮০০ মিলিয়ন ডলারে তৈরি।
সেতুর উপর আজও হয়নি কোনো বাসর।
(তথ্যসূত্রঃ লিকডিন ও ফেসবুক। ছবি—ইন্টারনেট )

গোধূলি বেলায় তোমার চেহারা

GS4B

এখানে দুঃখিত হওয়ার কিছুই নেই মিতালি। তুমি আমার মা-বাবার প্রতি রাগান্বিত থাকা স্বাভাবিক। তা ঠিক এক সময় প্রচণ্ড রাগ ছিলো উনাদের উপর, কারণ অনেক কটু কথা আমাকে বলেছে। এখন উনারা মৃত, আর মৃত ব্যক্তির উপর রাগ করে থাকা উচিত নয়। এখন সব সময় উনাদের আত্মার পরম শান্তি কামনা করি। তাছাড়া তুমিই যেহেতু আমার খবর নাওনি সেখানে উনারা বিরক্ত হওয়াই স্বাভাবিক। যদি পারো মা-বাবার সাথে সাথে আমাকেও ক্ষমা করে দিও, সবাইকে হারিয়ে আমি একটা জীবিত লাশ। শুধু দেহ নামক মেশিনটা বয়ে বেড়াই দেশ বিদেশ।

হাঃ হাঃ হাঃ।
এখানে হাসির কী হলো মিতালি।
তুমি এখন স্পেনবাসী। বাড়ি, গাড়ি, টাকা ও নারী ফুঁ দিলে পেয়ে যাবে।
আগে এক জনের ভালোবাসার মোহ ছিলো এখন কোনো কিছুর প্রতি মোহ নাই আর আমি বহুগামী নই।
তাহলে,কেনো তুমি আমাকে——-রোহিত।
স্পেন যেতে পথে পথে কাটে বহুদিন বহু বিপদে। রোজগার করার উপযুক্ত হতে হতে তুমিও হারিয়ে যাও চিরতরে, তখন নিজেকেও হারিয়ে ফেলি।

নিজেকে হারিয়ে ফেলি কাজের ভিতর। রোজগার করতে গিয়ে কোনো পিছুটান ছিলো না একমাত্র শুধূ ছিলো হৃদয় ভেঙ্গে যাওয়ার ঝনঝন শব্দ। যে শব্দ আমাকে আকুল করতো , কখনো কখনো করতো কান্নায় মাতাল।
কখনো খোঁজ খবর নিতে চেষ্টা করো নাই কেনো ?
খোঁজ নিতে বহুবার চেষ্টা করেছি মিতালি ।
তবে, আমার পরিবারের বারণ ছিলো প্রচণ্ড রকম। রাগ করে চিঠি দেওয়া বন্ধ রাখতাম। কিন্তু আমি যে তাদেরই সন্তান মা বাপকে ফেলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমার মা লিখতো মিতালি একজন বিবাহিত নারী যোগাযোগ করলে তার সমস্যা হবে। আস্তে আস্তে মায়ের যুক্তিসংগত কথায় আমার মন বুঝ মানে। টাকা উপার্জনে মনোযোগী হয়ে প্রচুর টাকার মালিক হই কিন্তু অমনোযোগী হই নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। সময় এবং সুযোগ যেহেতু আমাকে যাযাবর করেছে এইভাবে কেটে যাবে বাকি জীবন।

যাযাবর ভাবছো কেনো নিজেকে। সারা পৃথিবী মানুষের হাতের মুঠোয় এখন। এক সেকেন্ডে পৃথিবীর এক পান্থ হতে অন্য পান্থের খবর মানুষ নিমিষে পেয়ে যাচ্ছে। এক সেকেন্ডে বিশ্বের যে কোনো পান্থ হতে প্রবাসীদের টাকা এসে যায়।
হাঃ হাঃ হাঃ। তা ঠিক মিতালি। কিন্তু প্রবাসীদের লাশ নিমিষে আসে না। বহু দেনদরবার করে টাকা পয়সা খরচ করে তারপর লাশ আনতে হয়। এই জন্য অনেকের লাশ বিদেশেই পড়ে থাকে। হয়তো আমার লাশও পড়ে থাকবে বিদেশে।

মানুষের ব্যক্তিত্ব হলো একটি দোকান। মুখ হচ্ছে তালা। তালা খুললেই বুঝা যায় এটা কী হিরার দোকান নাকি কয়লার দোকান। সোজা কথা হল, কথা বলা একটি আর্ট বা শিল্প, এর শক্তি বিস্ময়কর। সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে সঠিক শব্দ প্রয়োগ করে সুন্দরভাবে গুছিয়ে বললে যে কাউকে বশ করা যায়। চুপ করে থাকলে, উল্টো দোষী হতে হয় , অনেক সময় ভুল বুঝে মানুষ। জীবন জীবিকাও ঠিক তাই সুন্দর করে সাজাতে হয়, না হয় এলোমেলো হয়ে যায় সব। আর এইটা অনেক সময় টাকা থাকলেও কিছু লোক করতে পারে না তাদের ভিতর হয়তো আমিও একজন। আর তুমি সঠিক সময় সঠিক কাজ করে এবং স্বামীর সাথে সঠিক আচরন করে জীবন সুন্দর করেছো। জয় হয়েছে তোমার।

ফয়জুল মহী।

(শেষ)

হে আল্লাহ দয়া করো

bonna

টানা বৃষ্টি, ভারত থেকে আসা উজানের ঢল আর নদীর পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হার মানিয়েছে সকল প্রস্তুতিকে। ক্রমশ বাড়ছে পানির উচ্চতা। দুর্ভোগ বর্ণনাতীত। গলা পানিতে ভেসে থাকা মানুষগুলো খড়কুটো ধরে ভেসে থাকার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। উদ্ধারকর্মীদের নৌকা দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে আটকে পড়া মানুষ। পানিতে ভেসে গেছে বাজার ঘাট। ঢলের পানি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে স্থানীয় মুদি দোকানগুলো। একদিকে আশ্রয়ের খোঁজ। অন্যদিকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও কাজ করছে না। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ইন্টারনেট সেবাও। ফলে আক্রান্ত এলাকার বাসিন্দারা দেশে ও দেশের বাইরে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় স্বজনরা।

আর্তনাদ করছে মানুষ। ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। বৃষ্টি থামছে না। অঝোরধারায় হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেই। একটু আশ্রয়ের আশায় পরিবার নিয়ে ছুটছে মানুষ। অভুক্ত অবস্থায় কাটছে দিন। জীবন বাঁচানোর জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা। ঢলের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতাও। বাড়িঘর থেকে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে সড়কে। বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই মুহূর্তে সিলেটের মানুষ কঠিন সময় পার করছেন।

অথচ আমরা বলি দেশ এখন সিঙ্গাপুর, দেশ এখন কানাডা। মানুষের মাথাপিছু আয় এখন আকাশসম। তবে কিছু লোক ধনী হতে ধনী হয়েছে আর কিছু লোক গরিব হতে গরিব হয়েছে। এই গরিবের সংখ্যা বেশী তা বুঝা যায় কম দামে পণ্য কিনতে দৌড় দেখে। রাস্তায় পড়ে যাওয়া চাউল শিশুর কুড়ানো দেখলে। নতজানু হওয়ার কারণে সময় অসময় স্বামী নামক দেশটা পানি দিয়ে ভাসিয়ে দেয় চুপ থাকি আমরা।

মন্ত্রী বলেছেন ঢাকাতে ফ্লাট-প্লটের মালিক অবৈধ টাকার কুমির। এখন ধরেন তাদের,কালো টাকা দিয়ে পানিতে বন্দি মানুষকে খাবার দিন পানি দিন ঔষধ দিন। বিদেশে পাচার টাকা ফেরত আনেন তা দিয়ে ঠিকসই বাঁধ নির্মাণ করে দিন। সিঙ্গাপুর প্রকৃতিকে জয় করেছে বহু আগে। আর আমরা স্বামীর দেওয়া পানিতে তলিয়ে যাচ্ছি নিরবে।

Picture # manobzamin

আমার ঘর হতে বাংলাদেশ খুব কাছে

GOCnGRpteniHFeYlfLOflwOyxUT

আগুন আগুন স্লোগানে মুখরিত রাজপথ
আগুনের কসম করে বাকবাকুম নেতাজি
দ্রব্য মূল্যের আগুনে পুড়িয়ে মারবো
গুম করবো, খুন করবো, মাদকের সুগন্ধি দিবো
মিথ্যার জোয়ারে আয় বাড়াবো, ইউরোপের নাগরিকও করবো।

এক শিয়ালের হুক্কাহুয়ায় সব শিয়াল
সুর করে বাজনা বাজাবো, তাল লয় বিহীন মিউজিক বাজিয়ে আকাশে উড়বো।

আগুনে পোড়ানোর বর্জ তেল নদে ঢেলে জল করবো,
টুকরো টুকরো মানুষ বানাবো, ভয় পেয়ে কাঁদলে কেউ গ্যাস বিদ্যুৎ এর তাপ দিবো।

মানুষের চোখে মুখে ফরমালিন দিবো
কখনো কখনো ভালো বিচারের প্রহসন করবো
এইসব দেখে চুপ না থাকলে টুপ করে জলে ভাসাবো।

জল জমা রাখতে নদীর সাথে সন্ধি করবো।
বাতি নিভানোর মতো সূর্যকে আড়ালে করে কিছুটা অন্ধকারের আয়োজন করবো।

তারপরও নিদ হীন চোখ জুড়ে‚ আলোর খোয়াব
তুমি যাকে নগণ্য বলো‚ আমি তাকে মানব ভাবি।

ফালিফালি করা বিকাল

5450346_n

ক্লান্ত বিকালে, হেলে পড়া ক্লান্ত সূর্য
এক মুঠো নীল
শান্ত আবরণে ঢাকা সবুজ প্রকৃতি
তার মাঝে নিখোঁজ শান্ত সেই চোখের চাহনি।

নেমে আসে সন্ধ্যা, ঝির ঝির বৃষ্টি
ধুয়ে যায় দামী লিপস্টিক
ভেজা ভেজা চুল, চিবুকে নালিশ
কালো মেঘে ঠাসা চারদিক।

তখনও মুঠোয়, মৃত্যু মন্ত্র
ঘুমিয়ে পড়ার প্রচণ্ড আশায়।
একবার যদি ঘুমিয়ে যাই আর
জাগবো না তোমার দিব্যি।