মনিরুজ্জামান মনির এর সকল পোস্ট

কবি-র বাড়ী

দিনটি ছিলো শুক্র বার
অফিস ছিলো বন্ধ,
বন্ধু বল্ল-চল কবি,র বাড়ী ?
বলিসনি তো মন্দ !
//
গিয়ে দেখি-একি অবস্থা
কবি লিখছে কবিতা,
স্টার জলসা দেখছে টিভিতে
তার স্ত্রী ববিতা।
//
ছেলেটা পড়ার টেবলে এ
করছে লেখা পড়া,
মেয়েটা তুতা পাখির মতো
মুখস্ত করছে ছড়া।
//
এ যেন ছোট পৃথিবীর
সুখ-শান্তির নীড়,
আমরা দু,জন এখানে এসে
করিলাম শুধু ভীড়।
//
অনেক ক্ষণ পর কবি,র
ধ্যাণ টুকু ভাঙ্গিল,
আমাদের কে দেখে কবি
হঠাৎ চমকে উঠিল ?
//
খাওয়া দাওয়া করিলাম মোরা
একে বারেই অল্প,
সারা দিন আড্ডায় থেকে
করিলাম অনেক গল্প।
//
সন্ধার পরে-বিদায় নিয়ে
নিজ বাড়ীতে আসি,
সেই থেকে কবি পরিবারকে
আজোও অনেক ভালবাসি।

_________________
মনিরুজ্জামান মনির
বিষ্ণুরামপুর-বাঞ্ছারাম পুর
বি-বাড়ীয়া-৩৪১৮
তাং ৩০/০৪/২০১৯ইং

যে চিঠির উত্তর আজোও পাইনি

প্রিয়তমা মানসী আমার,
জীবনের অফুরন্ত সময় পেরিয়ে মানুষ যখন যৌবনে পদার্পন করে তখন, সঙ্গী হীন জীবন নিয়ে একাকী বাস করতে পারে না। তাই সে, যে কোন কিছুর বিনিময়ে হলেও সঙ্গীর হাত ধরে বিনিসুতার মালার বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়। একটু সুখ ও শান্তির জন্য। আমি সেই লক্ষ্যে কাংখিত পথিকের মত পথ চেয়ে তোমার নামঃ স্বর্ণাক্ষরে বুকের ভিতর লিখেছি, তোমার প্রেমের ছোঁয়াতে হৃদয়ে শুধু তোমার শ্লোগানই জেগে উঠছে – তাই নিভাতে না পেরে তোমায় পত্র লিখছি।

আমার হাতের প্রথম লিখা পত্র, তুমি যত্ন করে রেখো।
আমি শনিবার তোমার স্কুলের প্রধান ফটকে যাব বেলা ১ঃ০০ ঘটিকায়। আশা করি দেখা হবে। সে পর্যন্ত তুমি ভালো থেকো। শান্তিতে থেকো, কোন দুঃখ যেন তোমার ধারে কাছেও না আসতে পারে, সেই দোয়াই দূর থেকে করি।

পত্রে কোন ভুল হলে অনিচ্ছাকৃত ভেবো।

আমার প্রিয় ব্যান্ডের গানটি দিয়ে শেষ করলাম।।

আবার দেখা হবে, আবার কথা হবে
এখানেই শেষ দেখা নয়———
—————
——- ইতি,
তোমার পরিচিত একজন
তাং ০২/০১/২০০০ ইং

কবিতাঃ সেই মেয়েটি

ঢাকার যাত্রা বাড়ীর মূঁড়ে
কত মানুষই ঘুরে,
হঠাৎ এক সুন্দরী মেয়ে
পড়ল আমার নজরে।

মেয়েটি এসে বল্ল আমায়
একটু শুনুন ভাই ?
রাগে ভয়ে উত্তর দিলাম
এখানে কি চাই ?

আমায় একটু তুলে দিবেন
নরসিংদী যাওয়ার বাসে ?
ও আচ্ছা আমিও তো যাবো
ভূলতা-নরসিংদীর পাশে ।

বৃহস্পতিবার হওয়াতে মানুষজনের
উপচে পরা ভীরে,
অনেক লোকেরাই ছুটছে গ্রামে
নারীর টানে নীড়ে ।

অবশেষে সিলেটের মিতালি
একটি বাস পাইলাম,
ওটাতেই দুজন মিলে মিশে
পাশা-পাশি বসিলাম ।

তাহার সাথে বাসের ভিতর
করিলাম খোশগল্প,
কথার ফাঁকে ফাঁকে চিবিয়েছি
সিমের বিচি অল্প।

গল্পের স্থলে জিগ্যেস করিলাম
বিয়ে সাদী হয়েছে ?
হাসি দিয়ে উত্তর দিলো
একটি সন্তান রয়েছে।

এই কথা শুনিয়া মাথায়
ঝরছিলো চিকোন ঘাম,
মন্টা চাচ্ছিল লাগাই একটু
ঘোড়া মার্কা মিল্লাত ভাম।

কি আর বলিব আমি
তাহার গুন গান ?
মেয়েটি ছিল অসম্ভব সুন্দরী
আমার দূর্বলতাই প্রমান।
——————–

লেখক, মনিরুজ্জামান মনির
বাঞ্ছারাম পুর” “বি-বাড়ীয়া ৩৪১৮

লেখার তারিখঃ ১০/০৬/২০২০ ইং