মুনা এর সকল পোস্ট

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ

FB_IMG_1639609864663

আজ ১৬ই ডিসেম্বর।
বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে আনন্দের দিন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আজকের এই দিনে ছোট্ট বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে পৃথিবীর বিশাল মানচিত্রে নিজের জায়গা টুকু অর্জন করে নিয়েছিল।
-এই কথা গুলো আমরা সবাই জানি।
জানি সেদিন মূল্য স্বরূপ ঝরাতে হয়েছিল অগণিত বুকের তাজা রক্ত।
আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।
বাংলায় কথা বলতে পারি।
দেশটা ত স্বাধীন কিন্তু মানুষ হিসেবে আমরা কতটুকু স্বাধীন?
আজও আমরা পারিনা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। আজও পারিনা বুক ফুলিয়ে সত্য কথা বলতে। আজও আমরা বর্ণ, শ্রেণি আর শক্তির পূজারী।
আজও আমাদের চোখে কুসংস্কারের চশমা আঁটা। আজও আমাদের বিবেক অন্ধকার কারাগারের মোটা শিকলে বন্ধি ।
ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো আছে কিন্তু নেই তার প্রতিফলন। মুখের বুলিতে বুলিতে আজ অমার্জিত শব্দের সাবলিল প্রয়োগ।
মুমূর্ষু আদর্শ কবরের প্রতিক্ষায়। ভাঙনধরা সমাজে একতার স্থলে পারস্পরিক বিরোধ আর নিন্দার ছড়াছড়ি। ভালো কাজ চক্ষুগোচর না হলেও ভুল ধরিয়ে দেওয়ার মত মানুষ অগণিত।
কখন মিলবে এসব থেকে মুক্তি?
স্বাধীনতা অর্জন করেছি বুকের রক্ত দিয়ে এখন রক্ষা করব কিভাবে?
আরেকটি শুভ দিন আর স্বাধীনতার প্রতিক্ষায়-
শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ।
শুভ হোক আগামীর যাত্রা।

পাখি

খুব যত্ন করে পুষেছিলাম ছোট্ট পাখিটাকে… এত্ত ভালবাসতাম পাখিটাকে কখনও খাঁচায় রাখিনি, কষ্ট পাবে বলে। আমার পড়ার টেবিলটার পাশে ছোট্ট একটা ঘর বানিয়ে দিয়েছিলাম ওকে। যেন নিজের মত নির্ভয়ে থাকে।

আম্মুর অনেক বকাও খেয়েছিলাম সেবার, পাখিটাকে ঘর বানিয়ে দিতে কাঠমিস্ত্রিকে নিজের জমানো দু’শ টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম বলে। এরপরও পাখিটা যখন ফুরুৎ করে ঘরটিতে ঢুকে আপন মনে পাখনা ছড়িয়ে বসত তখন আমার সমস্ত মন জুড়ে অদ্ভুত এক ভাল লাগা কাজ করত। এই বুঝি স্রষ্টার এক সৃষ্টির প্রতি আরেক সৃষ্টির নিবিড় টান.. কোন এক ঝড়ের রাতে আমি পড়তে পড়তে পড়ার টেবিলে ঘুমিয়ে পড়ি। জানালাটা বন্ধ করার কথাও ভুলে যায় সেদিন।

মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি পাখিটা আমার রুমের মেঝেতে পড়ে আছে। ঝড়ের ঝাপটায় পাখিটা একেবারেই নেতিয়ে পড়েছিল। ওড়ার শক্তিটুকুও ছিলনা।
ঐদিন থেকেই ও আমার কাছে। সেদিন ওকে ছোট্ট একটা কাপড় পেঁচিয়ে আমার বালিশে রেখেছিলাম খুব সাবধানে। সকাল হতেই নাওয়া-খাওয়া ভুলে ওকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম ডাক্তার দাদুর কাছে। আমাদের পাড়ার ডাক্তার ওনি। ছোটবেলা থেকেই ওনাকে ডাক্তার দাদু বলে ডাকি। প্রতিবার ওনার চেম্বারে গেলে একটা করে চকোলেট দিত দাদু। পাখিটাকে চেক করে ওর পায়ে একটা ব্যান্ডেজ করে দিল দাদু। পায়ে নাকি চোট পেয়েছে। কয়েকদিনেই সেরে যাবে বলল দাদু।

পাখিটাকে নিয়ে যখন বাসায় ফিরলাম তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে। স্কুল বাসটা চলে গেছে অনেক আগে। আম্মুর বকা খেয়ে কানে আমার তালা লেগে যায় সেদিন। এরপর কেটে যায় অনেকটা সময়…

আজ আমার মনটা অনেক খারাপ। কারন আমার আদরের ছোট্ট পাখিটা আমায় ছেড়ে চলে গেছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই পাখিটা সকালে জানালা দিয়ে ওড়াল দিত আবার সন্ধ্যাবেলায় ফিরে আসত। আজ আর ফিরেনি.. পাখিটার প্রতি অনেক রাগ জমছিল মনে একটু একটু করে। ও কি জানেনা ওর জন্য আমার খুব চিন্তা হয়?
কখন চোখের কোনায় পানি জমেছে জানিনা ওর কথা ভাবতে ভাবতে।
সত্যিই কি আর ফিরবেনা আমার পাখিটা?
জানালাটা খোলাই ছিল পাখিটার অপেক্ষায়…
সকাল বেলা আমার এক সহপাঠী নাম কিরণ ফোন দিয়ে বলল,
-আচ্ছা তোর পাখিটা কি কাল বাসায় ফিরেছিল?
বললাম,
– না তো!..কেন?
ও বলল,
– আচ্ছা, ওর পায়ে কি একটা নুপুর আছে?
বললাম,
– হ্যা, আছে ত!
ও বলল,
– তোর পাখিটাকে এখন আমি দেখতে পাচ্ছি আমাদের বেলকনি দিয়ে আমাদের পাশের বাসার বেলকনিতে। মা আমাকে কাল রাতেই বলছিল আমাদের পাশের বাসার দুষ্ট ছেলেটা নাকি কাল দুপুরে একটা পাখিকে ঢিল মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর ওটাকে খাঁচায় করে বাসায় এনে বেলকনিতে রাখে।
সারারাত গলা ফাটিয়ে চেঁচামেচি করেছে পাখিটা। আজ সকালে আমার চোখে পড়ল ওর পায়ের নুপুরটা।
মনে আছে? তুই আর আমি মিলেই কিনেছিলাম নুপুরটা তোর পাখির জন্য?

ওর কথা শেষ হতেই আমি লাফ দিয়ে উঠলাম।
বললাম,
-আমি আসছি।
এই বলেই ফোনটা রেখে আম্মুর কাছে গেলাম আর সব খুলে বললাম।
এই প্রথম আম্মু আমাকে বকলনা।
হয়ত আমার চোখে কিছু একটা দেখতে পেয়েছিল তাই…
আমাকে সাথে নিয়েই আম্মু কিরণদের বাসায় গেল।
আমার আম্মু অনেক রাগী এটা আমার সহপাঠীরা সবাই জানত। তাই আম্মুকে দেখে কিরণ একটু দমে গেল। আম্মু কিরণকে বলল পাশের বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। ও চুপচাপ নিয়ে গেল আমাদের। আম্মু ঐ বাসায় গিয়ে গৃহকর্ত্রী কে জিজ্ঞেস করলেন ওনার ছেলের নাম কি। ওনি জানালেন তিমির। এবার আম্মু চেঁচিয়ে তিমিরকে ডাকলেন। তিমির নামের ছেলেটি কাঁচুমাচু হয়ে বেরিয়ে আসল। আম্মু ওকে পাখির কথা জিজ্ঞেস করলেন। ও স্বীকার করলনা।
বলল, ওদের বাসায় কোন পাখি টাকি নেই।

এবার আম্মু ওকে ইচ্ছামত ঝারি দিয়ে চট করে ওদের বেলকনির দিকে এগিয়ে গেলেন। আমরাও আম্মুর পিছন পিছন গিয়ে দেখলাম আমার ছোট্ট পাখিটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে খাঁচার ভিতরে! আমি এবার তিমিরের নাক বরাবর একটা ঘুষি দিয়ে বললাম,
– আমার পাখিটাকে কি করেছিস তুই?
আমরা ওখানে আর বেশি সময় নষ্ট না করে পাখিটাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
ছোট্ট পাখিটা আমার আধমরা হয়ে পড়ে আছে… চোখটাও খুলছেনা।
আম্মু আমাদের সাথে নিয়ে একটা পশু ও পাখি নিরাময় কেন্দ্রে গেলেন।
ওখানে আমার পাখিটাকে ভালভাবে পর্যবেক্ষন করা হল।
ওর ডানায় ব্যান্ডেজ করে দেয়া হল।
আর তাড়াতাড়ি সেরে ওঠার জন্য একটা অষুধ দেওয়া হল।
পাখিটা আমার চোখ মেলেছে।
কিন্তু এখনও অনেক দূর্বল।
অনেক ঝড়-ঝাপটার পর ওকে আবার ফিরে পেলাম।
মনটা আবার খুশিতে ভরে উঠেছে আমার।

রাগ সমাচার

আচ্ছা মানুষ যখন রাগ করে তখন কি কি করতে পারে?..
উত্তরের লিস্টে মনে হয়না দুনিয়ার তাবৎ জিনিসের মধ্যে কোন কিছু বাদ পড়বে।

রাগের অনেক গুলো ধাপ আছে। এরমধ্যে রাগের সর্বোচ্চ ধাপের স্থায়িত্বকাল কিন্তু একেবারেই কম। এই ধাপে মানুষ নিজের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। আর তাই সে এই সময়টাতে যা করে তা পুরোপুরিই তার স্বাভাবিক আচরণের বাইরে। কেউ কেউ জিনিসপত্র ভাংচুর করে। কেউবা তার প্রতিপক্ষকে আঘাত করে বসে। কেউবা সব ছেড়ে দূরে নিজেকে আড়াল করে ফেলে আবার কেউ কেউ হয়ত অতি রাগে নিজেকেই নিজে আঘাত করে বসে।

রাগ যখন পড়ে যায় তখন এর সবই তার কাছে পাগলামী মনে হয়। ভাল আর মন্দ গুণাবলির ভিত্তিতে মানব মস্তিষ্কের দুইটা স্তর আছে। মস্তিষ্কের উপরের স্তরে ভালবাসা, দয়া, ক্ষমা সহ যাবতীয় ভাল গুণগুলো অবস্থান করে। আর এর নিচের স্তরে থাকে রাগ, ঘৃণা, জিঘাংসা সহ মানব চরিত্রের সকল খারাপ দোষ-ত্রুটি। ভাল গুণগুলি উপরে থাকায় মানুষ সব সময় এগুলোর প্রভাবেই চলে। কিন্তু কখনও যদি এই স্তরের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয় তখন ধীরে ধীরে এই স্তরটি দূর্বল হয়ে পড়ে। ফলে নিচের স্তরের চাপা দোষগুলি আস্তে আস্তে মানুষটির উপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। আর এভাবেই আমরা মানুষকে বদলে যেতে দেখি চোখের সামনে। এবার আসা যাক উপরের স্তরে কখন চাপ সৃষ্টি হয় এই প্রসঙ্গে।

মাঝে মাঝে এমন কিছু পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যখন একটা মানুষ সত্য বলছে অথচ তার চারপাশের কেউ তাকে বিশ্বাস করছেনা কিংবা তার উপর মিথ্যা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার কেউবা অন্যের দ্বারা অপমানিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত কিন্তু সবাই দেখেও তা দেখছেনা। অর্থ সংকট, ব্যর্থতা, আকস্মিক দূর্ঘটনা, ঝগড়া-দ্বন্দ্ব ইত্যাদি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যক্তি যখন তার বর্তমান সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয় তখন তার মধ্যে আস্তে আস্তে রাগ আর হতাশা জমতে থাকে। রাগ আর হতাশাও কিন্তু নিচের স্তরের অংশ। ব্যক্তির মনের নাজুক পরিস্থিতিতে এরা প্রভাব বিস্তার করা শুরু করে। আর এভাবে যদি দীর্ঘদিন একটা মানুষ সমস্যার মধ্যদিয়ে চলতে থাকে একসময় এরা পুরোপুরিই তাকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। আর তার মধ্যে দয়া, ক্ষমা সহ ভাল গুণগুলি আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হতে থাকে।

কিন্তু শুরুটা শুরু হয় এই রাগ দিয়েই। আর এই রাগ তার বিভিন্ন ধাপের মধ্য দিয়ে একসময় যখন সর্বোচ্চ ধাপে গিয়ে পৌঁছে তখন সব কিছুই তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

হতাশা


এই মূহুর্তে মানসিক চাপে কে কে আছেন? হাত তুলুন..
এমন প্রশ্ন করা হলে হয়ত শতকরা আটানব্বই জনই হাত উঠিয়ে বলবেন- আমিইই…
আচ্ছা এটা কি ছোঁয়াচে রোগ? নয়ত সবাই কেন একই রোগেই আক্রান্ত?
“সংসার সাগরে সুখ-দুঃখ তরঙ্গের খেলা, আশা তার একমাত্র ভেলা…”
-এই ভাব সম্প্রসারণটি না পড়ে স্কুলের গন্ডি পেরোতে পেরেছেন এমন কারও ভাগ্য হয়েছে বলে আমার মনে হয়না। সুতরাং বলা যায় খুব অল্প বয়সেই স্কুল আমাদের জানিয়ে দিয়েছিল –
‘জীবন হল সুখ-দুঃখের পালাবর্তন।’
কিন্তু এটা জানার পরও কেন আমাদের সবার মাঝে দুঃখ জয়ের দৃঢ়তা জন্ম না নিয়ে হতাশা জন্ম নেয়? সমস্যা সমাধানের উপায় না খুঁজে স্রষ্টার অপার সম্ভাবনাময় সৃষ্টি এই ‘মানব মন আর মস্তিষ্ক’ বিকল হয়ে হতাশার মাঝে ডুবে যায়?
সবচেয়ে মজার বিষয় হল আমরা মানবরা সকল প্রাণীকূলের মধ্যে বিচক্ষণ আর বুদ্ধিমান প্রাণী অথচ আজ পর্যন্ত মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রাণীকে হতাশা, মানসিক চাপ এসবে ভুগতে দেখা যায়নি। আমাদের জীবন আর অন্য প্রাণীদের জীবন তুলনা করে দেখুন কারা বেশি উন্নত, নিরাপদ আর আয়েশি জীবন যাপন করছে?
উত্তর- মানুষ।
তাহলে সহজ ভাবে বললে দাড়ায় মানুষ ছাড়া পৃথিবীর অন্য সকল প্রাণীরই প্রাত্যহিক জীবন নিত্য নতুন সমস্যায় ভরা এরপরও ওরা টিকে থাকে এসবের সাথে লড়াই করে। একজন মানুষকে যদি জীবনটা পাল্টে একটি কীট অথবা পাখির জীবন দেয়া হয় ভাবুন তো ফলাফল কেমন হতে পারে? দেখা যাবে ক্ষুধা-তৃষ্ণা-মৃত্যু এসবের সাথে লড়তে গিয়ে হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিবে কিছুদিনের মধ্যেই।
বলতে পারেন কেন?
কারণটা আমিই বলছি।
আপনার আশে পাশে একটু চোখ বুলিয়ে নিন। আপনার চারপাশের মানুষ গুলো কি সবাই একই রকম?
-না।
আমরা মানব জাতির মাঝেই কত শ্রেণী বিন্যাস! মেধা, বংশ, গায়ের রং, পেশা, চরিত্র, টাকা-পয়সা, রুচি, শিক্ষা প্রত্যেকটা বিষয়েই ভাল-মন্দ-উঁচু-নিচু কত বৈষম্য! আপনার মেধা কম, গায়ের রং ভালোনা, তৃতীয় শ্রেণীর পেশা, কম শিক্ষা যেদিকেই আপনার ঘাটতি থাকুক না কেন আপনার সমাজ তথা সমাজের মানুষ আপনাকে প্রতিনিয়ত চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে আপনার অপূর্ণতাকে। যার যত বেশি অপূর্ণতা তাকে তত বেশি কথার খোঁচা নামক বুলেট হজম করতে হয়। আর এই বুলেটে জর্জরিত মানুষগুলোর পরিণতি দাড়ায় হতাশায়। পশু-পাখিদের মাঝে এসব বৈষম্য নেই। ওরা একজন আরেকজনকে ছোট করে মজা নেয়না। ওদের মাঝেও ঝগড়া হয়, মারামারি হয় কিন্তু উদ্দেশ্য একটাই বেঁচে থাকা…
সুতরাং দেখা যাচ্ছে আমাদের আশেপাশের মানুষগুলোই একজন আরেকজনের মাঝে হতাশার জন্ম দিয়ে যাচ্ছে পালা করে। কি লাভ হচ্ছে এতে বলতে পারেন? আরেকজনের অপূর্ণতাকে পুঁজি করে নিয়মিত তাকে কথার অনলে না পুড়িয়ে দিন না তাকে একটু আশার আলো…একদিন পাশে বসে তার মনে চেপে রাখা হতাশার গল্পটি শুনুন আর মাথায় হাত রেখে বলুন – তুমি পারবেই। বিশ্বাস করুন আপনার এই ছোট্ট কাজটি বদলে দিবে ঐ মানুষটির জীবন আর পুরো সমাজকে। হোক সে আপনার বোন-মা-বাবা-ভাই-বন্ধু কিংবা প্রতিবেশি। প্রতিদিন এভাবে অন্তত একটি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে দেখুন না। দেখবেন একদিন ঝলমলে সকালে পাখির কলকাকলি ছাপিয়ে চারদিক মুখরিত হতাশামুক্ত সুখি মানুষের সরব হাসিতে।
জীবনে দুঃখ-অপূর্ণতা-ব্যর্থতা এসব থাকবেই। তাই বলে নিজেকে কখনও অযোগ্য ভাববেন না। আপনি স্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এটাই আপনার বড় যোগ্যতা।

অপেক্ষা

সত্য, তুমি জেগে উঠ।
তোমার অপেক্ষায় কত বিনিদ্র চোখ প্রহর গুনে চলেছে,
তোমার দোর খুলবে বলে
কত শত মুখ ক্লান্তিহীন পথ চেয়ে আছে।
না বলা কথাগুলো চাপা পড়ে আছে,
অশ্রুগুলো চোখের কোনে লুকোনোর ঠাঁই খুঁজে ফিরছে,
ব্যথার কূলে ঢেউ আছড়ে পড়ছে
শুধু তোমার অপেক্ষায়।
আশার আলোয় বান ডেকেছে
ভোর হয়ে এল বলে
সত্য তুমি জাগবেনা?
এখনই ত সময় জেগে উঠার।